মাদলের দ্রিমিকি দ্রিমিকি ছন্দে রক্তের গভীর থেকে ডাক দেয় দার্ঢ্য দ্রাবির। আমার এই পলল মাটির উপত্যকায়, আমার এই অসীম ভূ-সৌন্দর্যের লীলাক্ষত্রে আরব, হুন, শক, আর্য শকুনেরা হানা দিয়েছে বারংবার। সুফলা শ্যামল মৃত্তিকায় তারা হানা দিয়ে জন্মভূমিকে বানিয়েছে লু-হাওয়ার মরুভূমি আর নামিয়ে এনেছে সমাধির নিস্তবদ্ধতা।
অপরাধী ছন্নছাড়া ব্রিটিশরা যেমন সাগর পাড়ি দিয়ে এ্যাবরিজিনালদের পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে লাখে লাখে এবং দখল করেছে অস্ট্রেলিয়া তাদের রাণীর নামে কিংবা অতলান্তিক পার হয়ে নিষ্ঠুর শ্বাপদের মত নিধন করেছে রেড ইন্ডিয়ানদের আর শঠতায় দখল করে নিয়ে তাদের প্রকৃতি-দত্ত-ভূখন্ড কালিমা ছুঁড়ে দিয়েছে তাদের তিলকে বর্বর বন্য হিসেবে তেমনি কৌশলে বিচিত্র সব খুন লোভী তাতারের দল সর্বশান্তকরেছে আমার দ্রাবিড় জাতিকূলকে। আমরা শান্তিপ্রিয় ছিলাম বলে, আমরা জঙ্গলের অশ্বকে বশ করে তার গতির সুবিধায় ভিন দেশের মানুষের সম্পদ লুণ্ঠন করিনি বলে, নিজস্ব পলল মৃত্তিকার উর্বরতায় ফসল ফলিয়ে সুখের নীড় গড়ে তৃপ্ত ছিলাম বলে হার্মাদের দল, বেদুইনের দল মাংসপেশি আর অমানবিক সব অস্ত্রের শক্তিতে ছিনিয়ে নিয়েছে আমাদের জন্মভিটা, ফসলের মাঠ, আর সম্পদের গোলা আর ধ্বংস করেছে আমাদের সাংস্কৃতিক অর্জন ও সভ্যতার নজির।
পাশবিক রমণে ও ধর্ষণে গর্ভবতী করে আমাদের নারীদের জন্ম দিয়েছে পাপাচারী সন্তান আর বাড়িয়েছে তাদের তথাকথিত উঁচু ধর্মের হানাদার অনুসারী। কিসের সভ্যতা, ধর্ম আর কোন ঈশ্বরের বড়াই করে তারা?
শেকড়ের মধ্য থেকে জেগে ওঠা দ্রাবিড়েরা ডাক দেয় নতুন দীক্ষায়। অনাদিকালের সুপ্ত প্রাণবীজ জেগে ওঠো সনাতন প্রাণস্পন্দনে, পবিত্র হও স্নান করে মানবিকতার ঝর্ণায়, আর ধুয়ে ফেলে তোমার যত শ্বাপদের রক্ত-সূত্র উচ্চারণ করো নতুন স্বাধীনতার মন্ত্র। পুনর্বিজয়ের যুদ্ধে জয় করে নাও হারানো জমিন, বাস্তুভিটা, গলার গান আর বিস্তীর্ণ নদীতীর। ধনুকের ছিলায় রাখো হাত, সুতীক্ষ্ন করো নিশানা আর দখলদার জাতিসত্তার রক্তবীজে ছুঁড়ে মারো নির্বংশকারী তীর।
ডাক দেয় ডাক দেয় দীক্ষক দ্রাবিড়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।