অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
বাংলাদেশের আদালত ব্যাবস্থা একটা প্রহসন, খোলা বাজারে রাতের আঁধারে নারী মাংস বিক্রি হয় আর আদালতে জজ বিক্রি হয়। খুনের মামলা 302 ধারা, নারী নির্যাতন মামলা জামিনের অযোগ্য নারীর ক্ষমতায়ন হবে এদেশে একদিন তাই খুনিরা জামিন পেয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় আর বৌ তালাকের অভিপ্রায় জানিয়ে ছামাদ শেখ 3 মাস ফাটক খাটে, তার পরিবারের পরিবার ঘটা করে তার মা ভাই দুলাভাই সহ 5 জনকে আসামি করে মামলা করে বিয়ানিগঞ্জ থানায়, করিতকর্মা পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় ছামাদ শেখকে, তার মা কেঁদে কেটে ফাটকরেহাই পেলেও ছামাদ শেখ আর তার দুলাভাইয়ের জামিন হয় নাই, উকিল সাহেব গম্ভির মুখে বললেন ছামাদ তুই এইটা কুনো কাম করিলু রে বেহায়া, মাইয়া মানুষের কি বুঝশুঝ আছে, তালাক দিবা চাহিছিলি দিবি তাই বলে তুই বৌকপিটাবি? এইটা কুনো কাম করিলু তুই? ছামাদ শেখ বেশ কবার বুঝানোর চেষ্টা করেন উকিল সাহেব কে দবিরুদ্দি চাচা মুই এ্যাংকা করবার পারো তুই এইটা কইবার পারলি, মোর কথা তো একখান ফাতিমা বিবি জয়নাল মিয়ার লগে মুদই দোকানোত গিয়া ফিসির ফিসির আলাপ করে, রংঢং করে, বিয়াইত্যা মাইয়া মানুষ একটু লাজশরমের বালাই নাই, মুই খিনু, দেখ ফাতিমা এ্যাংকা করে না, তুই মাইয়া মানুষ তার উপর সুন্দরি, তো বেহায়া মাগি কি আর আমার কথা শুনে,পেত্যেক দিন বৈকালে যায় জয়নালের দোকানত, আপনিই কন চাচা আমার রক্তে কেমন লাগে, সারাদিন খাটি বাড়ি আইসে যদি দেখি বৌ বাড়িত নাই মিজাজটা খারাপ হয় না?
ছামাদ শেখের বোন পালটা মামলা ঠুকে দেয় ফাতিমার বাপ ভাইয়ের নামে, নারি নির্যাতন মামলা। তার জামাই ফাতিমার ভাইয়ের কাছে হাজার দশেক টাকা পায়, এই টাকা চাইতে গেছিলো বলে ওরা বাসায় আসে শাসাইছে, এমন কি ওর পিন্ধনের কাপড় ধরে টানাটানি করছে,শমন যায় ফাতিমার বাপের বাড়ী, ফাতিমার বাপ সেদিনই সকালে চলে যান রায়তাতলা গ্রাম, টানা 2 দিন বৃষ্টি হয়েছে জমির তেষ্টা মিটেছে, মাটিও একটু জল টেনে নরম, এই সময়টায় লাঙাল দিলে ভেতর রস টানবে মাটি, যত লাঙল চলবে তত ভালো ফলন হবে, বেহায়া মাগির মতো উদাম শুয়ে থাকে ফাতিমার বাপের 3 বিঘার ডাঙা জমি, উত্তরের সিথানে কড়ই গাছের নীচে ফাতিমা বসে থাকে, ফাতিমার বড় ভাইকেও থানায় নিয়ে গেছে, 3 মাসের ফাটক হয়েছে তারও।
ছামাদ শেখের সাথে একই ওয়ার্ডে না ছামাদ শেখের 2 নাম্বার ওয়ার্ড আর তার সমুন্ধির ওয়ার্ড হচ্ছে 5 নাম্বার। সমুন্ধির ছেলে বুঝো মজা, ছামাদ শেখের সাথে মামলাবাজি, এখন বসে বসে ফাটকের হাওয়া খাও।
এখানে দিন শুরু হয় আজানের সাথে, লাইন করে ওয়ার্ডের বাইরে গিয়ে দাঁড়াও, ওরা বলে ফাইলিং, ফাইলিং শেষ হলে নামতা গোনার মতো 1 2 3 করে সব কয়েদই গোনা হয়, তার পর আবার হেট হেট করে খেদিয়ে ভিতরে ভরা হয় তাদের, সকালে নাস্তা আসে, লাল আটার পরোটা আর গুড়, ছামাদ শেখ চেটেপুটে খায়, অন্তত এইখানে আসার পর খাওয়াদাওয়ার সমস্যা হচ্ছে না মাশাল্লা। এর পর সারাদিন আর কোনো কাজ নেই, জেলখানার ভিতরটা ঘুরতে যায়, কখনও এই খানের কায়েদিদের গল্প শুনে, একটা চ্যাংরা মতো ছেলে আসছে, ও নাকি খুনের আসামি, যে দলিল লিখে ওর নাম শফিউল বগুড়ার ছেলে, ডাকাতি আর খুনের আসামি, 14 বছরের ফাটক হইছে, ফাটক শেষ হইছে তার এর পরও যাওয়ার নাম নাই, দলিল লেখায় অনেক টাকা, এরা কয়েদি কেনাবেচা করে,প্রতি কয়েদি 150 টাকা, ছামাদ শেখ আসার পর ওর কাছেও চেয়েছিলো, পরে ভিজিটর আসলে সেই টাকা সে দিয়েছে দলিল লেখককে, অন্য এক ছোকরা আসছে, মইনুদ্দি নামের, রাতের বেলা শফিউল গা টেপানোর জন্য ওকে ডেকে নিয়ে গেলো। পরদিন মইনুদ্দির কদর বেড়ে গেলো, শফিউল ওর জন্য স্পিশাল ডায়েটের ব্যাবস্থা করছে, হাসপাতালের খানা আসে মইনুদ্দির জন্য, প্রতি রাতে মইনুদ্দি একই কম্বলের নীচে গিয়ে শফিউলের গা মালিশ করে,
সপ্তাহ খানেক পর সমুন্ধির সাথে দেখা হয় ছামাদ শেখের। বেচারা শুকায়া গেছে, মুদির দোকানদার, ছামাদ শেখের মতো ঘরামির কাজ করে না, বাসার সামনে দোকান দিছিলো, এখন ঐ দোকান নিয়া চিন্তা করি কি হবে কও দেখি ছামাদ শেখতো বৌটাকে আসলে তালাক দিতে চায় নাই, বৌটাকে ভালোবাসতো খুব, সুন্দরি, কচি বয়েসের মাইয়া, জয়নালের মতো লম্পটের চোখ পড়ছে, ও কি আর নিজেকে সামলায়া রাখতে পারে, বুঝানোর চেষ্টাতো কম করে নাই, বৈকালের অভিসার শেষ হতে হতে সন্ধ্যা লাগতো, তখনও মাগির মুখে হাসি থই থই করে, জয়নাল ওকে ফিতা চুড়ি দেয়, ছামাদ শেখ মানা করছে নিস না তুই, ঐ তোর কোন জন্মের ভাই লাগে যে তোকে মিনিমাংনা দেয়এই সব, সামলায়া চল ফাতিমা, নবির বিটির নামে নাম, নামের সম্মান রাখ। তো একদিন রাত করে ফিরলো বিবিজান, ঐদিন মতিমিয়ার দোকানে গরম ছবির শো দেখে ভিতরটা কামনায় জ্বলে যাচ্ছিলো, বাড়ী ফিরে বৌকে নাপেয়ে বিষম গোস্বা হলো, আর নটি খিলখিল করতে করতে আসলো সাঁঝবাতি দেওয়ার পর।
মায়ের খোঁটা শুনে লাফ দিয়ে বৌয়ের চুল ধরে গোটা কতক জুত মতো লাথি কষায় ছামাদ শেখ, মাগি সেই রাগে দোর দিলো ঘরে, পরদিন সোজা বাপের বাড়ী আর এর পর শমন আসলো আর ছামাদ শেখের দিনগুলো এইভাবে ফাইলিং নামতাপড়া আর ভর সন্ধ্যায় 20 ফুট বাই 60 ফুট টানা ঘরে 70 জনের সাথে ভাগাভাগি হয়ে গেলো।
ছামাদ শেখে সমুন্ধির চোখ দেবে গেছে চিন্তায়, মুদির দোকানটা সামনে নিবে সুনমের মায়, কিন্তু পাওনা টাকার তাগাদি দিলে কি কেউ শুনবে?মাইয়া মানুষ কি ব্যাবসা করতে পারে?
সেই চ্যাংরা মতোন ছেলেটার সাথে কথা হয় ছামাদ শেখের, ছেলেরা চয়াংড়া হলেও মনটা ভালো, ছামাদকে গোলডলিপ ছইগারেট দিছে, কত গল্প করলো ছামাদ শেখের সাথে, বড় দুঃখি ছাওয়াল,পীড়িতি ছিলো, মাইয়ার বড় ভাই রাজি ছিলো না একদিন শহরে পেয়ে কোবানি দিছে, চ্যাংরা মানুষ, মাথা গরম এক কোপে দুই অর্ধেক করে ফেলছে মাইয়ার বড় ভাইকে, কেস হইছে, এখন আপষ রফা চলতেছে,কোর্ট বদল করছে উকিল, সামনের শুনানিতে বাহির হয়ে যাবে, এর পর মাইয়ার বাপের সাথে আপোষ রফা, যে মইরা গেছে সেতো আর ফিরে আসবে না, বরং এই দিকে তার মেয়ে চ্যাংরার জন্য দিওয়ানা, 3 লাখ টাকায় রফা হইছে, ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব কে দইতে হইছে 30 হাজার, সামনের শুনানিতে আরও 20 হাজার দিলে নাকি জামিন দিয়া দিবে, এর পর যেই খানকির ছাওয়াল পুলিশের এস আই ওকে ধরছে ওকে খাগলাছলিতে পাঠাবে, চ্যাংরার বাপের দাপট আছে, এম পির চ্যালা, ওকে বলছে ছামাদ শেখ তার বিষয়টা দেখার জন্য।
ছামদ শেখের শ্বশুড় রখা প্রস্তাব পাঠািছে ছামাদ শেখের মায়ের কাছে, বলছে 10 হাজার দিবে আর শর্ত একটাই ছামাদ শেখকে ফাতিমাকে ঘরে তুলতে হবে,
ছামাদ সেহখ হিসাব কষে গিয়া জয়নাল মিয়াকে কোপাইয়া দুই অর্ধেক করে ফেললে কত খরচা হবে তার, ম্যাজিস্ট্রেট বাবুকে দিতে হবে 5ঝাজার আর জয়নালের মা'কে কত দিলে জয়নালের মা কেস উঠায়া নিবে, গরিবের জীবনের দাম আর কত হাজার বিশেক হলেই হবে, এমনিতেই জয়নাল মিয়া নেশা ভাং করে, ছামাদ শেখ যদি জোড়ে একটা হুরা দেয় মরে যাবে। এই 70 হাজারে বন্দোবস্ত হলেই ছামাদ শেখ জয়নালকে পথ থেকে সরিয়ে দিতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।