একদা রবী ঠাকুর ও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে নিমন্ত্রন করা হয়েছিল বন্ধুর এক অনুষ্ঠানে। ভারী আমিষ খাবেন না বলে, খাদ্য তালিকায় সিদ্ধ ডিমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। অর্ধেক ডিম খাওয়ার পর শরৎচন্দ্র দেখলেন, তাঁর ডিমটি পঁচা, যার বেশীরভাগ ইতিমধ্যেই উদরে ঢুকেছে। শরৎবাবু কি করবেন চিন্তা করছিলেন! বন্ধুকে বলবেন? নাকি উঠে যাবেন? এই দোটানা পরিস্থিতিতে হঠাৎ দেখলেন! রবী ঠাকুরের পাতের ডিমটিও পঁচা। তাঁকে কিছু বলার কিংবা সতর্ক করার আগেই ঠাকুর পুরো ডিমটি মুখে ভরে দিয়েছেন।
অগত্যা অনেক কষ্টে শরৎবাবু খাদ্যপর্ব শেষ করলেন। খাওয়ার পরেও শরৎবাবুর পেটে কেমন জানি লাগছিল, তিনি রবী ঠাকুরকে প্রশ্ন করেন, মশাই আপনি কিভাবে একটা আস্ত পঁচা ডিম খেয়ে ফেললেন? রবী ঠাকুর আশ্চর্য্য হয়ে উল্টো প্রশ্ন করেন, আমিতো ডিম খাইনি, তুমি কি তোমারটা খেয়ে ফেলেছ? শরৎবাবু অতিশয় আশ্চর্য্য হয়ে বললেন, আমিতো খেয়েছি, এটাও দেখেছি আপনি পুরো ডিমটি মুখে ভরে নিয়েছেন! রবী ঠাকুর বললেন, আমি সে ডিমটি মুখে ভরিনি বরং সেটাকে দাড়ির জঙ্গল দিয়ে শার্টের ভিতরে পৌঁছিয়ে দিয়েছি, দেখ এই সেই ডিম। শরৎ বাবু আর বমি ধরে রাখতে পারলেন না। তিনি ভূলেও বুঝতে পারেননি, রবী ঠাকুর পঁচা ডিম মুখে দিয়েছেন নাকি দাড়ির জঙ্গলে ঢুকিয়েছেন? কারন বুদ্ধিমান রবী ঠাকুরের দাড়ি-মোঁচের জঙ্গলে মুখের অবস্থান ঠিক কোথায় তা একমাত্র তিনি ব্যতীত কেউ বুঝতেন না। এটি কৌতুক কিনা সত্য ঘটনা, তা না জানলেও দাড়ির অভিনব ব্যবহারের এটি একটি চমকপ্রদ ঘটনা।
কপি রাইটকৃত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।