ভস্ম হই। মৃত্যুর চুমু আমার কপোল ছুঁয়ে যায়। বেঁচে উঠি আবার। নতুন দিনের আশায়। বেঁচে উঠি বারবার।
(জানি কেউ হয়তো পড়বেন না। তবু লেখার জন্য লেখা। আর শোমচৌ এর মত করে চিন্তাটাকেও গুছিয়ে নেয়া। )
কোন কোন প্রতিষ্ঠান আছে যারা এখনও আদ্যিকালের বিরাট বিরাট যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে। বিশেষ কারনে প্রতিষ্ঠানটির নাম বলতে পারছিনা, কিন্তু বিশ্বাস করুন এরকম প্রতিষ্ঠান খোদ আমেরিকাতেই আছে যারা 30/40 বছরের পুরোনো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে।
পুরোনো যন্ত্রপাতি মেইনটেনেনসের ঝক্কিও অনেক। আর যেসমস্ত কোম্পানী যন্ত্রগুলো বানিয়ে ছিল হয় তারাই বিলুপ্ত হয়ে গেছে, নতুবা তারা আর স্পেয়ার পার্টস বানায় না। প্রয়োজনের তাগিদে এই স্পেয়ার পার্টস তখন ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানকেই বানিয়ে নিতে হয়।
পুরোনো পার্টস থেকে নতুন পার্টস বানাবার সময় প্রাথমিক ভাবে যে পদ্ধতি অনুসরন করা হয়েছিল দেখা যায় সে পদ্ধতি অনুসরন করা সম্ভব নয়। উদাহরন স্বরুপ, কম্পিউটারের কেসিং ঢালাই করে তৈরী করা হয়ে থাকে।
কিন্তু নতুন করে এই কেসিং বানাবার সময় ঢালাই করার উপযুক্ত প্রযুক্তি নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে হাতের কাছে যে পদ্ধতি আছে সেটা দিয়ে জিনিসটা তৈরী করতে হবে। তাই সে সমস্ত ফিচার ঢালাই করে তৈরী করা সোজা সেটা আর সোজা নাও থাকতে পারে।
প্রাথমিক ভাবে যে পদার্থ দিয়ে পার্টটি তৈরী ছিল এখন হয়ত সেই ম্যাটেরিয়াল পাওয়াই যায় না বা পাওয়া গেলেও হাতের কাছে নেই। সুতরাং আগের চেয়ে কিছু পরিবর্তন দরকার যাতে করে নতুন ম্যাটেরিয়ালে এটা খাপ খায়।
যেমন, প্লাস্টিকে তৈরী কম্পিউটার কেসিং যদি স্টিল শীট দিয়ে তৈরী করতে হয় তাহলে তার থিকনেস কম হলেও চলে।
আর অন্যান্য ফ্যাক্টর যেমন খরচ, সময় এগুলোও যত কম লাগে তত ভাল।
আমার কাজটা হল এইরকম একটা সিনারিওতে, পুরো প্রসেসটাকে অটোমেট করা। প্রথমে আমাকে একটা পার্ট দেয়া হবে, ক্যাড মডেল হিসেবে। এবং বলে দেয়া হবে কি ভাবে ম্যানুফ্যাকচার করা হয়েছিল, প্রাথমিক ম্যাটেরিয়াল কি ছিল, কি রকম লোড ছিল এর ওপর, অন্যান্য লিমিটেশন কি ইত্যাদি।
আমার কাজ হবে এই সমস্ত তথ্য এনালাইজ করে আমাকে দেয়া ক্যাড মডেলের উপর ভিত্তি করে আরেকটি নতুন ক্যাড মডেলের জন্ম দেয়া যেটা এই নতুন পদ্ধতির সাথে খাপ খেতে পারে।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন পুরো কাজটা আসলে কম্পিউটারে। মূলত প্রোগামিং আর জিওমেট্রিক কারনেল নিয়ে ঘাটাঘাটি।
কেউ কি ক্যাড ক্যাম নিয়ে কাজ করেছেন? বা রিলেটেড ফিলডে আছেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।