যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতুর আর কোনো টেন্ডার বাকি নেই। ঠিকাদারদের অনুরোধে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত পদ্মা সেতুর টেন্ডারের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মোট ৩টি প্রতিষ্ঠান এ কাজের দরপত্র জমা দিয়েছে। মূল সেতুর টেন্ডার ১০ হাজার কোটি টাকায় হবে। সর্বশেষ নদী শাসনের টেন্ডারও গত তিনদিন আগে হয়ে গেছে।
তিনি গতকাল ভাঙনকবলিত মাওয়া ঘাট পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহাবুদ্দিন খান প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, আগে ব্যবস্থা নেওয়া হলে হয়তো মাওয়ার ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো। আপাতত পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় নদীভাঙন রোধে কাজ করবে। সে লক্ষ্যে তারা এরই মধ্যে জরিপের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
পদ্মা সেতুর আওতায় নদীশাসনের জন্য সাত হাজার কোটি টাকার টেন্ডার গত তিনদিন আগে আহ্বান করা হয়েছে। ১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই কাজ শুরু হলে এ এলাকায় আর নদীভাঙন থাকবে না। মাওয়া পয়েন্টে পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া ও টেকনিক্যাল সামারির কাজ শুরু হয়েছে। পদ্মার ওপারে জাজিরা পয়েন্টে ১২০০ কোটি টাকার এপ্রোস রোডের কাজ অক্টোবরের মাঝামাঝি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।
সকালে মন্ত্রী মাওয়া ভাঙনকবলিত এলাকায় এলে স্থানীয় নদীভাঙনকবলিত এলাকার মানুষের তোপের মুখে পড়েন। এলাকাবাসীর দাবি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইতোপূর্বে যে ছয় কোটি টাকার কাজ শুরু করেছিল তার ৫০ হাজার টাকার কাজও করেনি মন্ত্রণালয়। অথচ পুরো টাকার কাজ করলে মাওয়ায় এ ভাঙন দেখা দিত না। ভাঙনকবলিত লোককে পদ্মা সেতুর ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নির্মিত পুনর্বাসন কেন্দ্রে জরুরি আশ্রয়ের ব্যবস্থা করবেন বলে জনতাকে আশ্বস্ত করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।