http://www.facebook.com/Kobitar.Khata শরৎ বাবুর ব্লগে আসিফের এজাহার তুলে দেয়া হয়েছে। সে এজাহার পড়ে মনে হচ্ছে ঘটনার ভিতর ঘটনার ঘনঘটা আছে।
সে এজাহারে লিখেছে- সন্ধ্যা ৮.৩০ টার দিকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি।
এখন কথা হইল সন্ধ্যা ৮.৩০ মিনিটে কাউকে অফিসে যাইতে শুনছেন? সে যাত্রা করেছে ৮.৩০ মিনিটে অফিস শুরু নিশ্চয় ৯-১০ টার আগে না? রাইতের বেলায় আফিস!
সে আরো লিখেছে-কর্মস্থলের প্রবেশের আগ মুহূর্তে রিক্সা ভাড়া দেয়ার সময়, কর্মস্থলের গেটে অপেক্ষারত তিন জন যুবক আমাকে অতর্কিতে আক্রমণ করে। ঐ তিন জন যুবক প্রথমেই আমার মুখ ঢেকে ফেলেছিল ও চাপাতির বাঁট দিয়ে আমার চশমা ফেরে দিয়েছিল বলে তাদের আমি চিনতে পারিনি।
এখাতে আততায়ীদের কোন বর্ণনাও নাই। সে তিনজন দেখেছে কিন্তু তারা দেখতে কেমন? কি পরে ছিল? মাথায় টুপি, মুখে দাঁড়ি ছিল কিনা? তাদের চেহারা হিজবুতি নাকি ছাগু টাইপের? অথবা তারা মুখোশ পরা ছিল কিনা? কোন বর্ণনা নাই। অর্থ্যাৎ এই তিন যুবক তার চোখ ঢেকে ফেলায় সে কিছুই দেখতে পায়নি, তবে যুবক যে তিনজন তা দেখতে পেয়েছে!
আইচ্ছা অফিসের গেটে কি দারোয়ান ছিল না?
সে আরো বলেছে- তারা চাপাতি, ছুরি ও ড্যাগার দিয়ে পেছন থেকে আমাকে আক্রমণ করে।
তার বর্ণনা আনুযায়ী হামলাকারীর সংখ্যা ছিল ৩ জন। তার উপর হামলায় তিনটা অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে সে উল্লেখ্য করেছে।
চাপাতি, ছুরি ও ড্যাগার। তার মানে তিন হামলাকারীর কাছে এই তিন ধরণের অস্ত্র ছিল। তার চোখ ঢেকে ফেলায় সে কিছুই দেখতে পায়নি কিন্তু হামলাকারীদের হাতে কি কি অস্ত্র ছিল, কয়টি অস্ত্র ছিল, সেগুলোর নাম কি তা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছে এত কিছু দেখল কিন্তু হামলাকারীদের চেহারা দেখল না, এটা হয়?
সে এজাহারে কারা কারা তার প্রতিপক্ষ তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে। অতীতে কারা কারা তার উপর নাখোশ হয়েছে তাদের নামও উল্লেখ্য করেছে। এর মধ্যে আছে জামায়াত, শিবির,নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহারীর।
এ ছাড়া সাম্প্রতিক কালের গুম,খুনের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে তার মনে হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের অতিউৎসাহী চক্র অথবা অন্য কোন চক্রকেও এ ঘটনার পিছনে থাকতে পারে। তার মানে গুম,খুনের ঘটনাগুলো আওয়ামী লীগের কোন একটি চক্র করে থাকে এবং তারা আসিফের পিছনে লেগেছে। (হা হা প গে) কিন্তু ঠিক কি কারণে আওয়ামী লীগের একটি চক্র তার পিছনে অযথা অযথা লাগতে যাবে? ইলিয়াস আলী বা চৌধুরী আলমের মতো এত হাই প্রোপাইল প্রতিপক্ষ তো আসিফ নয়, তবে আসিফরে গুম করতে যাবে কেন ঠিক বুঝলাম না। আসিফ তো আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ বিএনপি না, আসিফ তো আওয়ামী লীগের বাড়া ভাতে ছাই দেয় নাই। আসিফ তো শুধু ইসলামের গুষ্টি উদ্ধার করেছে।
হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)কে গালি দিছে, আস্তিকদের মূল শুদ্ধা উৎপাটন করতে চাইছে। তাহলে আওয়ামী লীগের একটি অংশ তাকে খুন বা গুম করতে চাইতে পারে এমন সন্দেহের ভিত্তি কি?
অর্থ্যাৎ তার সন্দেহের তালিকায় আছে, জামাত-শিবির,হিযবুত তাহারীর, ক্ষমতাসীন দল অর্থ্যাৎ আওয়ামী লীগের একটা আংশ.................. ওরেব্বাপ! আসিফ কি একটা মাল!! তার কত কত শত্রু!!!
শুধু ব্লগিং এর কারণে তার এত শত্রু থাকলে তো তার ব্যাক্তিজীবনে আরো শতগুণ শত্রু থাকার কথা। এজাহারের বর্ণনা আনুযায়ী সে যে ক্যাচাইল্লা বলতে গেলে সে নিজেই তার বর্ণনা দিয়েছে।
সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে আসল ঘটনা কেউ প্রকাশ করছে না। ঘটনার ভিতরে হয় তো আরো ঘটনা আছে।
সে ঘটনা প্রকাশ করা জোর দাবী জানাই। মূল ঘটনা না জেনেই অথবা মূল ঘটনা আড়াল করে তার শুভাকাঙ্ক্ষিরা বিভিন্ন মহলকে দায়ী করছে, প্রতিবাদ সমাবেশ করছে, আসিফরে মালালা বানাতে চাইছে এটা ঠিক না।
আসিফের বাক-স্বাধীনাতা হরণ করার জন্য কেউ যদি তার উপর আক্রমন করে অবশ্যই তারা প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু সে কোন অপরাধ করতে গিয়ে যদি আক্রমণের শিকার হয় তবে তার জন্য প্রতিবাদী হওয়ার এত সময় নাই।
তাই যত দ্রুত সম্ভব সত প্রকাশ করা হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।