কারণে অকারণে ফ্রিজ খোলা আর কিছু খাওয়ার জন্য খোঁজা আমার মত আরও অনেকের অভ্যাস। আর শুধু তারাই বুঝবেন ফ্রিজ খুলে কিছু না পেলে ভেতরে কেমন হাহাকার করে ওঠে। এই হাহাকার থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় ফ্রিজ এ কিছু খাবার থাকা যা কিছুক্ষন পর পর খাওয়া যায়। কিন্তু রাধবে কে? অত গুন থাকলে কি আর আমি বেগুন পোড়াই?? আর আম্মুর কাছে বারবার চাওয়া মানেই কঠিন ধমক!!! সম্প্রতি আমি এই হাহাকারের জয়জয়কার থেকে কিছুটা মুক্তি পেয়েছি। রান্নার ঝামেলায় না গিয়েও মজার কিছু খাওয়া – এ যে সোনায় সোহাগা।
বেশি কিছু লাগে না। কিছু চকলেট বার, মিল্ক চকলেট বা ডার্ক চকলেট যেটা ইচ্ছা। সাথে নানা ধরনের বাদাম, চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা ইত্যাদি।
প্রথমে চকলেট বার গলিয়ে নিতে হবে। চুলায় গরম পানি দিয়ে তার ওপর একটা পাত্রে চকলেট বার তুক্র করে কিছুক্ষন রেখে দিলে গলে যাবে।
মাইক্রওয়েভেও গলানো যায়। এরপর গলানো চকলেট এর ভেতর নানান ধরনের বাদাম দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। ইচ্ছা করলে চকলেট ওয়েফার বা কুকি ও ভেঙ্গে দেয়া যায়। স্বাদ বাড়ে বৈ কমে না!!! ভালভাবে মেশানো হলে একটা ছড়ানো ট্রে বা প্লেটে ঢেলে সমান করে ছড়িয়ে দিতে হবে। কতটুকু পুরু করবেন সেটা আপনার ইচ্ছা।
এবার ঘণ্টা ২/৩ ফ্রিজে রেখে দিতে হবে জমে সেট হওয়ার জন্য। ২/৩ ঘণ্টা পরে বের করে চাকু দিয়ে ছোট ছোট টুকরা করতে হবে। ব্যস হয়ে গেল। এবার রেখে দিন ফ্রিজে আর যখন তখন ফ্রিজ খুলে অন্য কিছু না পাওয়া গেলে মুখে দিয়ে ফেলুন এক টুকরা।
তবে হ্যাঁ।
ক্যালরির হিসাব যেন আমার কাছে চাবেন না। সেই দায়িত্ব আপনার। আর আজকাল চকলেটের যে দাম, আমি তাই চকলেট এর সাথে কোকো পাউডার আর একটু দুধ মিশিয়ে পরিমাণটা বাড়িয়ে নেই। টাকা তো আর গাছে ধরেনা, কি বলেন???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।