আমি আমার আমিত্ব ছেড়ে বের হতে পারবোনা কখনো। ।
ঢাকা শহরে আবর্জনা অপসারনের জন্য যেসব ছোট ছোট গাড়িগুলো দেখা যায়, সেগুলোর পাশ দিয়ে চলার সময় স্বভাবতঃই আমরা নাকটা চেপে ধরি। কারণ, আমরা কেউই আবর্জনার ঘ্রানটুকু নিতে উৎসুক নয়(!) কিন্তু একবারও কি লক্ষ করেছেন, যারা আবর্জনা অপসারনের কাজে নিয়োজিত, তাদের কখনও নাক ধরে থাকতে? তাদের এই গন্ধটা সয়ে গেছে!!
একটা ছোট্ট গল্প বলি—এক সুন্দরী মেয়ের বিয়ে হল এক চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরন পরিবারে। ঐ পরিবারের ব্যবসাটা হচ্ছে_ বিভিন্ন প্রাণীর চামড়া সংগ্রহ করা এবং লবন দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা।
সভাবতঃ ঐ পরিবারে নতুন কেউ প্রবেশ করলে প্রথমেই নাকে আসে এইসব চামড়ার সুঘ্রাণ (!)
নববধুটি প্রথম প্রথম সবসময় নাক ধরে থাকতো। এভাবে সপ্তাহখানেক থাকার পরে তার আর দূর্গন্ধ লাগে না। তখন তার শ্বশুরকে বলছে_ “বাবা, একটা বিষয় লক্ষ্য করেছেন, আগে এই বাড়িতে কেমন একটা বিকট দূর্গন্ধ বের হত, কিন্তু আমি আসার পর থেকে সেই গন্ধটা আর বের হয় না (!)”
শ্বশুরমশায় হেসে জবাব দিলেন_ “বউমা, গন্ধটা এখনও বের হয়, কিছুদিন থাকার ফলে গন্ধটা তোমার সয়ে গেছে!”
তেমনি ঐসব আবর্জনা অপসারনের কাজে নিয়োজিত লোকগুলোর গন্ধটা সয়ে গেছে!
আমাদের সমাজে এইরকম আবর্জনার মত কিছু লোক দেখতে পাই। এদের পাশ দিয়ে চলার সময় আমারও ইচ্ছা করে নাকটা চেপে ধরি। কিন্তু বেপারটা কি জানেন_ দীর্ঘদিন চলতে চলতে আমাদেরও ঐরূপ গন্ধটা সয়ে গেছে! দূর্গন্ধটা আর দূর্গন্ধ মনে হয় না (!)
যখন আমরা সমাজের এই সমস্ত জঞ্জালগুলো চিহ্নিত করতে পারি, তখন আমাদের কেমন যেন অস্বস্তি লাগে! ইচ্ছা করে এগুলোকে এখনই সরিয়ে ফেলি!
সরকার যেমন ঢাকা শহরের আবর্জনা অপসারনের কাজে কিছু লোক নিয়োগ দিয়েছেন, তেমনি সমাজের সেই সমস্ত জঞ্জালপূর্ন লোকগুলোর অপসারনের কাজে বিভিন্ন বাহিনী নিয়োগ দিয়েছেন।
কিন্তু এরা সহজে বুঝতে পারে না কোনগুলো দূর্নীতিগ্রস্থ লোক (!) এদের নাকেও গন্ধটা সয়ে গেছে (!)
তবে আমরা তো বুঝতে পারি কোনগুলো সমাজের আবর্জনা। তাই , আসুন, আবর্জনা অপসারনের গাড়িতে আমরা সমাজের এই সমস্ত আবর্জনাগুলো ফেলে দিই!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।