হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন বর। আর কনে শ্বশুরবাড়িতে এলেন পালকিতে। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের জয়পুরপাড়ায় ব্যতিক্রমী এই বিয়েটি সম্পন্ন হয়।
বর আলমগীর হোসেন (২৪) একজন গাড়িচালক। তাঁর বাবা জালাল উদ্দিন প্রামাণিক প্রবাসী।
গত রোববার বিয়ের দিন বেলা ১১টার দিকে হাতির পিঠে চড়ে বর আলমগীর হোসেন রওনা হন নতুন বউ আনতে। তবে বরযাত্রীরা যান মাইক্রোবাসে। ছেলের বাড়ি থেকে প্রায় ১২ কিমি. দূরে উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের ছাতনি গ্রামে মোমেনা আক্তার রূপবানের (২০) সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ে শেষে পালকিতে চড়ে আসেন বর আলম ও কনে রূপবান। আধুনিক যুগে যান্ত্রিক যানবাহন ব্যবহার না করে বিয়েতে এমন ব্যতিক্রমধর্মী হাতি ও পালকি বাহন হিসেবে ব্যবহার করায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
হাতির পিঠে চড়ে বর আসছে, এ খবরে বিয়েবাড়িতে উত্সুক মানুষের ভিড় জমে।
বর আলমগীর জানান, তাঁর বিয়েতে হাতি ভাড়া করে আনা হয় নওগাঁর শলগাছি থেকে এবং পালকি আনা হয় শিবগঞ্জের নামুজা থেকে। এতে তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আলমগীরের মা জোসনা বেগম বলেন, ‘ছেলের জন্মের সাত দিন আগে আমি স্বপ্নে আদেশ পাই, আমার ছেলেকে হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে যেতে হবে ও পালকিতে করে ছেলের বউ আনতে হবে। বিয়েতে কোনো যৌতুক নেওয়া যাবে না, এমন আদেশও পাই।
এ কারণে ছেলের বিয়েতে হাতি ও পালকির ব্যবস্থা করেছি। ’
এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি ও শিক্ষক রওশন আলী খান বলেন, আগের দিনে রাজা-বাদশাদের হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে হতো। এ এলাকায় হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে এই প্রথম দেখলাম।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।