এতকিছু ... ওই সিনেমার জন্যই...
হাতির ঝিল। ঝিলের পাড়ে হু হু বাতাস। বাতাসে বেসম্ভব শীতের আভাস। বসার জায়গাগুলো অবিশ্বাস্য সুন্দর। একজন বসা যায় এরকম একটা মোজাইক করা বেঞ্চের সাথে ল্যাম্পোস্টের তীব্র আলো এসে পড়েছে।
রাত এগারোটার মত বাজে তখন।
ভাবলাম বেঞ্চটা ঠিক আমার জন্যই বানানো হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে। বসে পড়লাম। ব্যাগ থেকে বের করলাম রণজিৎ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা। পড়া শুরু করলাম।
" চিঠি ভালোবাসো তুমি, ভুলে যাও- চিঠির লেখক থাকে
বহুদুরে-- সাহারাণ পুর"
কিছুক্ষন পর একটা গাড়ি এসে থামলো। ক্লিক... ক্লিক শব্দ। এক তরুণী ফটোগ্রাফার দেখি ছবি তুলছে। সেসব আমলে না নিয়ে আবার পড়া শুরু করলাম।
" ক্যালেন্ডারে এসেছিলো এপ্রিল-- আমার জন্মমাস---"
পাশ দিয়ে প্রচুর গাড়ি যাচ্ছিলো।
সেইসব চলন্ত গাড়ীরই একটি গাড়ী থেকে কয়েকজন যুবক দিয়ে গেলো সেমি ব্যাড সাউন্ড "হেইইইইইইই... ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর"
আর হ্যাঁ তখন কিন্তু বাঘ কাঁপানো শীত ছিলো।
আর এই শহরে কোথাও দুদন্ড বসে শান্তিতে একটু বই পড়বো, তার ও উপায় নাই। উপায় থাকবে কিভাবে? শহরে তো বনলতা সেনই নাই। আমাদের জানামতে উনিই দু-দণ্ড শান্তির একমাত্র অথরাইজড ডিলার। যদিও Marzuk Russell বলেছেন, 'দু দণ্ড শান্তি যে দেয়, সেইতো বনলতা সেন।
'
ছবি প্রসঙ্গ: প্রথম ছবির সাথে হাতির ঝিলের কোন সম্পর্ক নেই। এটা আমার বারান্দার ডিম লাইটের ছবি, কোন এক কুয়াশারাতে তোলা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ছবির সাথে রাতের কোন সম্পর্ক বা দুঃসম্পর্ক নেই। তবে ঘটনাস্থল এটাই। হাতির ঝিল নির্মিত হবার সময়ে আমাকে এই রুট ব্যবহার করতো হতো বলে, তুলে রেখেছিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।