আমরা মনে করি রাজাকারদের পুরো বাহিনীকে ধরনী থেকে নিশ্চিহ্ন না করা পয'ন্ত আমাদের যুদ্ধ থামানো যাবেনা-তাই সবার প্রতি আহবান, আসুন- নিজ বাড়িতে নব নব প্রজন্মকে উদ্ভুদ্ধ করি। মনে রাখবেন, পরিকল্পিত আর সংগঠিত বাংলা'র শক্তি অপ্রতিরূদ্ধ। এই লড়াইয়ে বিজয় আমাদের হবেই সম্প্রতি আওয়ামীলীগ রাশিয়ার সাথে বিলাসী চুক্তি করেছে বলে খবর। দেশের মানুষ সামরিক শক্তি বাড়ানোর কারন খুজতে ব্যস্ত। কিন্তু আমার মতে লীগ-রাশিয়ার এ চুক্তির হিসাবটা জনগণের জন্যে না।
হিসাবটা অন্যখানে।
ব্যাপারটা আমি পরিষ্কার করি। লীগ চিন্তা করছে রাশিয়াকে খুশি রাখতে আর বিএনপি চীনকে। দু পক্ষ ভালোভাবেই জানে যে ভারত আর আমেরিকাকে ধরে ক্ষমতার ইলেকশন করতে গেলে তাদেরকে বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে নাও পেতে পারে, পাছে ১/১১ ঘটে না যায়। এক্ষেত্রে লীগ আবার চিন্তা করছে যদি সামরিকরা ক্ষমতায় এসেই পড়ে, সেক্ষেত্রে রাশিয়ার সাথে এ চুক্তিকে জেনারেল সাহেবরা খুশিমনে লীগকে সাপোর্ট করবে।
স্পষ্টতই খালেদার বাড়ি কেন্টনমেন্টের মইনুল সড়ক থেকে উচ্ছেদ বিএনপিকে কিছুটা বেকায়দায় রেখেছে।
এবারে আসি ভারত আমেরিকা প্রসঙ্গে।
ভারত বিএনপিকে বলেছে, তোমাদের ক্ষমতায় আনলে তোমরা কি কি করবে। উত্তরে বিএনপি বলেছে, "আমরা টিপাইমুখ নিয়ে আপত্তি করবোনা- ট্রানজিট দিব-জঙ্গিবাদ করতে দিবনা এবং সর্বোপরি ২০১৪ সালের ভারত-বাংলাদেশ সমুদ্র নিষ্পত্তিতে রায় আমরা ছেড়ে দিবো"(যা যা বললাম সব খালেদা তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে এটা আপনারা লিখে রাখতে পারেন, পরে মিলিয়ে নিয়েন আমার কথা ২০১৪ সালে), এদিকে লীগ কিন্তু সমুদ্র ছাড়বেনা সেটা ভারত ভালো করেই বুঝে গিয়েছে কিন্তু ট্রানজিট আর জঙ্গি ইস্যুতে ভারতের পছন্দ লীগকে।
এবারে আসি আমি আমেরিকার সাথে বিএনপি-লীগের প্রতিশ্রুতিতে।
দু দলই সমুদ্র গ্যাস ও টিকফাতে আমেরিকাকে ছাড় দিবে বলে খবর। তবে তাদের দুজনের থেকে আমেরিকার পছন্দ ইউনুসকে।
ক্ষমতার গন্ধ তিনি এখনো খুজেন ব্যারিস্টার রফিকের হাত ধরে
ইউনুস-ব্যারিস্টার রফিক-মতিউর রহমানকে না আনতে পারলে আমেরিকার পছন্দ বিএনপিকে। এর কারন আমেরিকা আবারো এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের মাধ্যমে দেশকে আবারো অস্থিতিশীল দেখতে চায়, যেটা দিয়ে শুধু এদেশকে নয়-পাশের দেশ ভারতকেও আমেরিকা চাপে রাখতে পারবে
সুতরাং দেশের কথা না চিন্তা করে শেষ বছরে দু দলই বাহিরের মধ্যস্ততাকারিদের খুশি রাখতে ব্যস্ত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।