‘বিয়ের তিন-চার দিনের মাথায় আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি শুরু হয়ে যায়। ধীরে ধীরে তা খুব মারাত্মক আকার ধারণ করতে থাকে। মানুষ বিয়ে করে সুখী হওয়ার জন্য। কিন্তু বিয়ের পর আমাদের সংসারে পর্যায়ক্রমে শান্তির চেয়ে অশান্তিই বাড়তে থাকে। একটা পর্যায়ে অশান্তির মাত্রা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে পারিবারিকভাবে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। এখন পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে। ’ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে মোবাইল ফোনে কথাগুলো বলছিলেন জনপ্রিয় মডেল, অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মোজেজা আশরাফ মোনালিসা।
২০১২ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফাইয়াজ শরীফের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মোনালিসা। একই বছরের ম্যাজিক ডে ১২.১২.১২তে ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে মোনালিসা ও ফাইয়াজের বিবাবহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে উভয় পরিবারের ঘনিষ্ঠজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
নিউইয়র্ক থেকে প্রথম আলোকে মোনালিসা বলেন, ‘একেবারে হুট করেই পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ের সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়। তাই একজন আরেকজনকে খুব ভালোভাবে জানার বা বোঝার সময়টা পাইনি। আর তাই বিয়ের অল্প কিছুদিন পরই আমাদের সংসারে একধরনের অবিশ্বাস তৈরি হয়। একটা পর্যায়ে তা বড় আকার ধারণ করে।
শুরুতে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও ধীরে ধীরে তা সহ্য সীমার বাইরে চলে যায়। আর তখনই বিচ্ছেদের পথটাকে বেছে নিতে হয়। আমি মনে করি, অশান্তি আর অবিশ্বাস নিয়ে সংসার করার চেয়ে না করাটাই ভালো। ’মোনালিসার বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতে এ বছরের জুন মাস পর্যন্ত সময় লাগবে। এর পরই তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও সেখানকার মানুষকে অনেক বেশি মনে পড়ছে। ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে হচ্ছে। বিচ্ছেদের পুরো প্রক্রিয়াটা শেষ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে ফিরব। আর ফিরেই নতুন উদ্যমে আবার কাজ শুরু করব। ’
যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার আগে মোনালিসা ‘সিকান্দার বক্স’ নামে একটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন।
নাটকটিতে মোনালিসার সহশিল্পী ছিলেন মোশাররফ করিম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।