ঈশ্বরই সেই মানুষের অবস্থার তখনই পরিবর্তন করেন যখন সে নিজে তাঁর অবস্থার পরিবর্তন করে।
এম বি ফয়েজ। । ২৬ সেপ্টেম্বর : বানরের গলে যেমন স্বর্ণ-মাল্য শোভা পায় না, ঠিক তেমনি আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে জাতিসংঘের সদর দফতর আর শোভা পাচ্ছে না--বলেছেন বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস।
প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের কথায়, নিউ ইয়র্ক থেকে জাতিসংঘের সদর দফতর বিশ্বের অন্য কোনো দেশে সরিয়ে নিতে হবে।
"গুণ্ডারাজ" আমেরিকার ‘ব্ল্যাকমেল’ থেকে বিশ্বের জাতিগুলোকে রক্ষার জন্য এ ব্যবস্থা নিতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি তার মিত্র দেশ ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের সাম্প্রতিক অসদাচরণের তীব্র নিন্দা জানান। মোরালেস বলেন, সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার 'গুণ্ডামি' বন্ধ করার এখনই উপযুক্ত সময়।
৪০ মিনিটের ভাষণে মোরালেস বলেন, “জাতিসংঘের সদর দফতরের অবস্থান পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আমাদের গভীরভাবে ভাবতে হবে। এটি এমন একটি দেশে নিতে হবে যে দেশ জাতিসংঘের সব আইন ও চুক্তি মেনে চলে।
”
বলিভিয়ার সমাজবাদী প্রেসিডেন্ট প্রশ্ন তোলেন, আমেরিকা যখন একটি দেশের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানকে গুলি করে নামানোর হুমকি দেয় তখন সেদেশে কীভাবে জাতিসংঘের সদর দপ্তর থাকতে পারে? যারা সাম্রাজ্যবাদ এবং পুঁজিবাদে বিশ্বাসী নয় তারা নিউ ইয়র্কে নিজেদের নিরাপদ মনে করে না।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে বহনকারী বিমানকে আটলান্টিক মহাসাগরে নিজের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে দেয়নি আমেরিকা। এর জের ধরে মাদুরো ভিন্ন রুটে দীর্ঘ সময় ব্যয় করে চীন সফরে যান। এরপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে নিউ ইয়র্কে যাওয়ার জন্য ভেনিজুয়েলার প্রতিনিধিদলকে ভিসা দিতে গড়িমসি করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। পরে অবশ্য তাদের ভিসা দিলেও নিউ ইয়র্ক যাননি মাদুরো।
মাদুরোর সঙ্গে মার্কিন সরকারের এ আচরণকে ‘সুস্পষ্ট মাস্তানি’ হিসেবে অভিহিত করে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, এরকম একটি 'গুণ্ডা'র দেশে জাতিসংঘের সদর দফতর থাকতে পারে না। আমেরিকা মানবাধিকার সংক্রান্ত কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুমোদন করেনি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বলা বাহুল্য, বর্তমান বিশ্বের পরিবর্তনকামী মানুষ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন চায়। ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নিউ ইয়র্কেই এর সদর দফতর ছিল। ১৯৫২ সালে এটিকে বর্তমান ভবনে স্থানান্তর করা হয়।
জন্মলগ্ন থেকে অদ্যাবদি জাতিসংঘের অবস্থান পরিবর্তন করা হয়নি। গতিকে, আন্তর্জাতিক সমাজের আহ্বানে সাড়া দিয়ে, বিশেষ করে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের উত্থাপিত দাবীর সমর্থনে সাড়া দিয়ে অন্যান্য রাষ্ট্র প্রধানরা এগিয়ে আসলেই মঙ্গল হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।