কিছু মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে। কিছু মানুষ স্বপ্নটা সত্যি করার জন্য ঘুম থেকে জেগে উঠে। জীবন আপনার কাছে সেভাবেই ধরা দিবে আপনি যেরকম থাকবেন।
ব্লগে একসময় খলিল সিরিজ লিখতাম। খলিল সিরিজের একটা পাঠক শ্রেণীও তৈরী হয়েছিল।
১৭ টা পর্ব লেখার পর আর লিখিনাই। দেড় বছর পর আবার লিখলাম। ইচ্ছা আছে সব গুলা পর্ব নতুন করে লিখে ভবিষ্যতে এই সিরিজ বই আকৃতি দেওয়ার। ভাল কথা, যারা খলিল সিরিজ কখনো পড়েনায় তাদের কাছে এটাকে বেখাপ্পা লাগতে পারে।
খলিল নামে আর বন্ধু থাকলেও এই সিরিজ সম্পূর্ন কাল্পনিক।
খলিল সিরিজ-১৮ এর পুরা অংশটা একই সাথে ব্লগে এবং ফেসবুকে দেওয়া হলো।
কেউ প্রেমে পড়লে প্রেমে প্রস্তাবনা পাঠাইতে হয়। প্রস্তাবনা বিষয়ক সমস্যায় আক্রান্ত খলিল এইবার আমার কাছে এসেছে সাহায্যের জন্য। আমিও ঠিক বুঝিনাই কেনই বা সে আমার কাছে এসেছে কি জন্যই বা এসেছে। সে আমাকে বলল,
- দোস্ত, কইয়া দে কিভাবে প্রপোজ করুম।
- প্রেম করবা তুমি আর আমি কইয়া দিমু? আচ্ছা ঠিক আছে। গিয়া মনের কথা খুইলা বলো?
- মনের কথা কি কমু এইডা বল।
- আমার মনের কথা হইল "কোক খামু"। তোর মনের কথা তো আর এইটা না। তোরটা গিয়া ব।
তার প্রতি তোর অনুভূতির কথা।
এরপর কিছুদিন বিরতি। খলিল আবার আসছে।
- দোস্ত কইতে গিয়া তো আটকায় যাই।
- তুই খলিল।
তুই তো আটকাবিই। সরাসরি তিন শব্দের ম্যাজিক লাইন , জাতীয় সঙ্গীতের দ্বিতীয় লাইন কইতে পারতেছ না?
- নারে। ।
- কইয়া ফালা। কি আসে জীবনে বলো।
বল, আমি তোমায় ভালবাসি।
- ইংলিশে কমু না বাংলায়?
- ইংলিশেও কইতে পারস।
- প্যাসিভ সেন্টেন্স কমু না একটিভ?
- যেই খানে প্যাসিভ ইউজ করা যায় সেইখানে এক্টিভ ইউজ করা ঠিক না। তারপরেও তুই পারলে ঘুরাইয়াই বল।
- আচ্ছা ঠিক আছে।
কয়েকদিন পর খলিল আবার আইসা হাজির।
- দোস্ত প্যাসিভ সেন্টেন্সে কইছি। দোয়া কর।
- ভাল করছস। ভাল কথা, I love you এর প্যাসিভ কি? You are loved by me?
- এই কথা তো কইনাই!
- তাইলে কইছস টা কি?
- You may love me.
- ইয়া সোবহানাল্লাহ! কস কি? মাইয়ার কি ঠ্যাকা পড়ছে তোর প্রেমে পড়ার? যে এই কথা কইছস?
গাধা খলিল এই কথা শুনে আমাকে ব্লক করছে।
তারপর কয়েকদিন পর দেখি আবার সেই আইডি থেকে আবার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট, আবার ম্যাসেজ।
- দোস্ত কিছু মনে করিস না। নিজের উপর মেজাজ এত খারাপ হইছে যে তোরে ব্লক করে দিছিলাম। এখন আবার ব্লক তুললাম।
- মেজাজ খারাপ হইছে নিজের উপর আর ব্লক করছস আমারে? খুব ভালো করছস।
- দোস্ত মেয়েরে তো ভুলতে পারিনা।
- এই বিষয়ে তোর সাথে আমার কোনো কথা নাই।
কয়েকদিন পর খলিল আবার এসে হাজির।
- দোস্ত। ও দোস্তো।
তুই না আমার দোস্ত। শেষবারের মত মাফ কইরা দে। বল কিভাবে প্রপোজ করা যায়।
- সোজাসুজি এক্টিভ ভয়েসে যা বলার বইলা ফালা।
আবারও কয়েকদিন পর সে আবার আইসা হাজির।
- দোস্ত ঐ মেয়ে আর আমি এখন ভাল বন্ধু হইয়া গেছি।
- ভেরি গুড। কখনো ভাবিনাই এত দূর যাইতে পারবি। শুনে বড়ই প্রীত হইলাম।
- তয় অন্য সমস্যা দেখা দিছে।
আমারে অন্য কেউ প্রপোজ করছে।
- তোমারে প্রপোজ করছে? তুমি দেখা যাইতেছে বাগদাদের রাজপুত্রের সমান হইয়া গেছ। আগে যেইখানে যাইতা সাগর শুকাইয়া যাইত। এখন দেখা যাইতেছে পালে হাওয়া লাগছে। ঘটনা কি? তাইলে প্রেম কার সাথে করবা? পুরান মেয়েটার সাথে না নতুনটা?
- দোস্ত মেয়ে প্রপোজ করেনায়।
ছেলে করছে?
- গে হইয়া গেছস?
- না কি কস!। আমি আমার জায়গায় আছি?
- তাইলে গে ছেলের পাল্লায় পড়ছস?
- আরে না কি কস এইসব!
- তাইলে ঘটনা কি?
- আমি প্রথম মেয়েটার সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য একটা ফেক আইডি খুলছি একটা মেয়ের নামে। তারপরে ঐ মেয়ের সাথে আমার বন্ধুত্ব হইছে। পরে জানতে পারছি মেয়ের বয়ফ্রেন্ড আছে। কিন্তু সেই বয়ফ্রেন্ড আবার আমাকে মেয়ে ভাইবা আমাকে প্রপোজ করছে।
- ওরে সোবহানাল্লাহ।
আবারও খলিলের কোন দেখা নাই অনেক দিন।
-দোস্ত এলাকায় আমার নামে সালিশ বসছে?
- ক্যান? কি করছস?
- আমার আম্মার কাছে বিচার আসছে।
- কি বিচার?
- আরে আর কইস না।
-ঘটনা খুইলা না কইলে বুঝমু ক্যামনে?
- আরে লিফটে করে নামতেছিলাম।
লিফটে উঠছি আমি আরা বাসার উপর তলার কাজের বুয়া।
- তারপর?
-তারপর আবার কি? বুয়ার শাড়ির আচল ছিল বড়। আমি কইছি কাপড় সরান।
- গার্লফ্রেন্ড না পাইয়া এত নিচে নাইমা গেছস? বুয়ারে এই কথা কইছস?
- আরে না বুইঝা কথা কইস না। লিফটে সেন্সর থাকে, বুয়ার শাড়ির আচলের কারনে লিফটের দরজা বন্ধ হইতেছিল না।
তাই আমি কইলাম .....
খলিলের সাথে এইসব ব্যাপার ঘটে। এত বিচলিত হওয়ার কিছু নাই। খলিল তো খলিলই ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।