রোজা শুরু হলেই দেশে যে কমেডি প্রতিবছর দেখি আওয়ামিলিগ বিএনপি এক দল আরেক দলকে ইফতার পার্টিতে দাওয়াত করে যদিও কেউ যায়না ...... আমারও খুব ইচ্ছা একবার মাননীয় শেখ হাসিনা মাননীয় খালেদা জিয়াকে দাওয়াত করব , জানা কথা তারা আসবেনা তাই সমস্যা নাই কিন্তু ওনাদের কিভাব
খবরটা শুনে খুব ভাল লাগলো , ভাল লাগলো এই কথা ভেবে যে এত অত্যাচার নিপীড়নের মধ্যে থেকেও সারা পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র একজন ফিলিস্তিনি হ্যাকার ই মার্ক জাকারবার্গের ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে দেখায় দিসেন যে ফেসবুক এঁর নিরাপত্তা বেবস্থা কতটা দুর্বল ।
মার্ক জাকারবার্গের ফেসবুক পেজ হ্যাক করার জন্য পুরস্কার পাচ্ছেন ফিলিস্তিনের প্রযুক্তি-বিশেষজ্ঞ খলিল শেরাত।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে তাঁকে তিরস্কার করা হলেও খলিল শেরাতকে পুরস্কৃত করবে বিভিন্ন দেশের হ্যাকাররা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি-বিশেষজ্ঞ খলিল শেরাত মার্ক জাকারবার্গের ফেসবুক পাতা হ্যাক করে সেখানে মন্তব্য পোস্ট করে প্রমাণ করেছেন যে সাইটটির নিরাপত্তা দুর্বল।
এর আগে ফেসবুকে নিরাপত্তা ত্রুটির কথা জানালেও তাঁকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কোনো গুরুত্ব দেয়নি। নিজেকে প্রমাণ করতে খলিল শেরাত জাকারবার্গের ফেসবুক পেজটিকে বেছে নেন এবং নিরাপত্তা ত্রুটি প্রমাণ করে জাকারবার্গকে সেখানে একটি পোস্টও লিখেছিলেন।
ফেসবুকের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা হচ্ছে যে, আপনি যদি কারও বন্ধু না হয়ে থাকেন তবে তার ফেসবুকের দেয়ালে কিছু লিখতে পারবেন না। খলিল শেরাত তাঁর হ্যাকিং দক্ষতার সাহায্যে এ ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে খলিল শেরাত জানিয়েছেন, শুরু থেকেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা ত্রুটি সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি।
একাধিক বার্তা পাঠালেও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেনি। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বরং এটি বাগ বা সফটওয়্যারজনিত কোনো ত্রুটি নয় বলেই জানিয়েছিল। তাই ফেসবুকের নিরাপত্তা ত্রুটি দেখাতে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের পেজটি হ্যাক করা ছাড়া আর পথ খোলা ছিল না।
খলিল শেরাত আরও জানিয়েছেন, জাকারবার্গের পেজ হ্যাক করে বার্তা লিখে দেওয়ার পর দ্রুত ফেসবুকের প্রকৌশলীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং ফেসবুকের এই নিরাপত্তা ত্রুটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগ্রহ জানায় এবং পরে তা ঠিক করে ফেলে। তবে, দুর্ভাগ্য যে, দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তাঁর বেছে নেওয়া পদ্ধতিটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের পছন্দ হয়নি।
ফেসবুকের নিরাপত্তা ত্রুটি বের করায় পুরস্কার পাওয়ার বদলে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, ফেসবুকের নিরাপত্তা ত্রুটি বের করতে পারলে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। কিন্তু খলিল যে পদ্ধতিতে তা করেছেন তা ফেসবুকের নীতিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে খলিলের সফটওয়্যার ত্রুটি বের করার বিষয়টি স্বীকৃতি না পেলেও বিশ্বজুড়ে হ্যাকারদের কাছে বীরের মর্যাদা পাচ্ছেন তিনি। সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান বিয়ন্ডট্রাস্টের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মার্ক মেফারেট এগিয়ে এসেছেন ফিলিস্তিনের এই হ্যাকারকে সাহায্যের জন্য।
পরিচিত সব হ্যাকারদের কাছ থেকে ১০ হাজার মার্কিন ডলার তহবিল সংগ্রহ করে খলিলকে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
নিজের পকেট থেকে দুই হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার হিসেবে খলিলকে দিচ্ছেন স্বশিক্ষিত হ্যাকার মার্ক মেফারেট।
মেফারেট জানিয়েছেন, ফেসবুকের কোনো ত্রুটি বের করতে পারলে তাঁকে কমপক্ষে ৫০০ মার্কিন ডলার পুরস্কৃত করে ফেসবুক। কিন্তু ফিলিস্তিনের কোথাও বসে পাঁচ বছরের পুরোনো ল্যাপটপ ব্যবহার করে খলিল যে ত্রুটি বের করেছেন তার জন্য অবশ্যই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য তিনি। হ্যাকারদের কাছ থেকে ক্ষুদ্র অর্থসাহায্য তাকে আরও অনুপ্রাণিত করবে বলেই মনে করছেন মেফারেট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।