আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিন্দু ধর্ম মতেই কথিত গনশ্রদ্ধা অনুষ্ঠান হতে পারে না।এই অনুষ্ঠান মূলত সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি এবং স্বাধীনতা ও দেশকে বিভাজনের নীল নকশা

”সব রাজাকারদের বিচার চাই”

হিন্দুধর্ম মতে রক্তের সম্পর্কের দিক থেকে মৃত কোন ব্যক্তির সর্বাধিক ক্রমনিকট জীবিত উত্তরসূরী তার শ্রাদ্ধাদি বা অন্তেষ্ট্যি ক্রিয়াদি সম্পন্ন করবে । তাছাড়া হিন্দুদের এসব পারলৌকিক ক্রিয়াদি নিষ্পন্নের ক্ষেত্রে তাদের বর্ণ, কূল, গোত্র, পূর্বপুরুষ, নারী, পুরুষ ইত্যাদি বিষয়াদি নিরূপণ করা বাঞ্ছনীয় এবং সেসবে ভিন্নতাও রয়েছে । তাহলে তারা তাদের বর্ণ, কূল, গোত্র, পূর্বপুরুষ, নারী, পুরুষ ইত্যাদি বিষয়াদি নিরূপণ না করে নিজ ধর্মকে অবমাননা করে কিসের জন্য এই অনুষ্ঠান? কোন উদ্দেশ্যে আজ ভূয়া পদ্বতি অবলম্বন করে তারা এই অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে? স্মর্তব্য যে শ্রাদ্ধাদিকরণে কোন ব্যক্তির মৃত্যুর তারিখ হতে তার সন্তান বা সন্তানহীনদের বেলায় রক্তের সম্পর্কের সর্বাধিক নিকটজন কর্তৃক বর্ণ ও গোত্রভেদে ১০ দিন, ১৫ দিন বা ৩০ দিনের অশৌচাদি পালন ও হভিষ্যান্ন গ্রহণ (তেল ও লবনহীন আতপ চালের ভাত ও নিরামিষ ভোজন), বিশেষ বসন পরিধান, কুষ-আসনে বসা, চুল, দাড়ি ও নখ কর্তন থেকে বিরত থাকা, মৃত ব্যক্তির আত্মার সদ্গতি কামনায় প্রতিদিন বিশেষ প্রার্থনা করা ইত্যাদি বাধ্যতামূলক। কিন্তু তারা তাদের ধর্মীয় অনুসঙ্গ হিসেবে কুষ-আসনে বসা, চুল, দাড়ি ও নখ কর্তন হতে বিরত ছিলনা। বিশেষ বসনও পরিধান করেনি।

তাহলে আজ অবৈধ ও অনৈতিক যুক্তিতে এই অনূষ্ঠান কেন? এই অনুষ্টান মূলত সাম্প্রদায়িকতাকে উসকানী দেয়ার অনূষ্ঠান। অপরদিকে ১৯৭১ সালে কোন্ হিন্দু কো্ তারিখে নিহত হয়েছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন তার যেমন কোন ঠিক ঠিকানা নেই, আবার অশৌচাদি পালন ও হবিষ্যান্ন গ্রহণের সর্বোচ্চ ৩০ দিনতো সর্বশেষ ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। অথচ স্বাধীনতার ৪২ বছর পর নিজ ধর্মকে বলি দিয়ে বাংলাদেশে এই অনুষ্ঠান হতে পারে না। ’১৯৭১-এ নিহত এবং নিখোঁজ হিন্দুদের ক্ষেত্রে বর্ণিত কোন বিধানই পালন করেনি। সব মিলিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত বা নিখোঁজ কোন হিন্দু ব্যক্তির শ্রাদ্ধ করা হিন্দুধর্মসম্মত নয় এবং কোনও হিন্দুধর্মগ্রন্থের কোথাও ‘গণশ্রাদ্ধ বলতে কোন অনুষ্ঠানের বিধানও বিবৃত নেই ।

মূলত এই অনুষ্টানের আড়ালে মুক্তিযুদ্ধকে হিন্দুদের মুক্তির যুদ্ধ প্রমান করাই উদ্দেশ্য। ৪২ বছর ধরে যে স্বাধীনতা অনুষ্ঠান বাংলার জনগন করে আসলো আজ সেই অনুষ্ঠান বিকৃত করতে যাচ্ছে। বিদেশ খেকে লোক ভাড়া করে এনে বাঙ্গালী সমাজে স্বাধীনতার অনুষ্টান হতে পারে না। এই অনুষ্টান স্বাধীনতাকে বিভাজন করার অনুষ্টান। বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে এই অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে।

স্বাধীনতাকে বিভাজনকারী এবং নিজ ধর্মকে অবমাননা করে , পাশ কাটিয়ে সাম্প্রদায়িকতা অনুষ্ঠান কোন মতেই বাংলার মাটিতে হতে পারে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.