আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আলোচনায় বসতে পারে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র সেই ববিতার এভাবে আত্মহত্যা!

যাক কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় হইসে । রায় নিয়ে এত জল ঘোলা না করলে গনজাগরণ মঞ্চ আসতনা , আস্তিক নাস্তিক আসতনা, না আসত হেফাজত । সব ই রাজনীতি , একদল ভোটের আগে আবার পালে বাতাস দিবে আরেকদল একেবারে চুপ রায়ের ব্যাপারে । হায়রে দেশ

যে কলেজছাত্রীকে বখাটেদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন নাটোরের বাগাতীপাড়ার শিক্ষক মিজানুর রহমান, সেই ঘটনার তিন বছর পর গত মঙ্গলবার আত্মহত্যা করেছেন ববিতা আক্তার (২০) নামের ওই ছাত্রী। প্রেমিকের অন্যত্র বিয়ে করার বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে বিষপানের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবারের লোকজন।

গত বুধবার বিকেলে তাঁর লাশ দাফন করা হয়েছে। ২০১০ সালের ১২ অক্টোবর কলেজে যাওয়ার পথে বখাটে রাজন ও আসিফ ববিতাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এ সময় তাঁকে বখাটেদের হাত থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন ওই কলেজের শিক্ষক মিজানুর রহমান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটেরা ওই শিক্ষকের শরীরের ওপর মোটরসাইকেল তুলে দেয়। রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

সংকটাপন্ন অবস্থায় মিজানুর রহমানকে প্রথমে রাজশাহী এবং পরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেড় মাস পর (২০ নভেম্বর) সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিক্ষক মিজানুর রহমান মারা যান। এ ঘটনায় সে সময় সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং এর কিছুদিন পরই দেশে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন (ইভ টিজিং) প্রণয়ন করা হয়। এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বাগাতীপাড়া উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের কালাচাঁদ প্রামাণিকের মেয়ে ববিতা। গত বছর লোকমানপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে রাজশাহী বরেন্দ কলেজে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে লেখাপড়া করছিলেন ববিতা।

এরই মধ্যে চাচি হীরা বেগমের আত্মীয় নাটোর শহরের কান্দিভিটা মহল্লার হৃদয় নামে এক যুবকের সঙ্গে ববিতার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হৃদয় তখন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন। পড়াশোনা শেষ করে চাকরি পাওয়ার পর ববিতাকে না জানিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেন হৃদয়। এর পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে ববিতার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। গত সোমবার হৃদয়ের সঙ্গে দেখা করতে কান্দিভিটায় গিয়ে তাঁর বিয়ের কথা জানতে পারেন ববিতা।

এরপর বাড়িতে এসে চাচি হীরা বেগমের কাছে তিনি জানতে চান, কেন হৃদয়ের বিয়ের খবর তাঁকে জানানো হয়নি। এ সময় দুজনের মধ্যে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয়। গত মঙ্গলবার দুপুরে ববিতা বিষপান করলে প্রথমে তাঁকে বাগাতীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাতে ববিতা মারা যান। গত বুধবার নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

ববিতার সহপাঠী কণা বলেন, ‘লোকমানপুর কলেজে পড়ার সময়ই হৃদয়ের সঙ্গে ববিতার সম্পর্ক হয়। ওই দিন হৃদয়ের বিয়ের কথা শোনার পরই ববিতা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তারপর সে বাড়িতে চলে যায়। পরে জানতে পারি সে আত্মহত্যা করেছে। ’ এ ব্যাপারে কথা বলতে হৃদয়ের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

হায়রে ববিতা , একজন শিক্ষক তোমার জন্য জীবন দিলেন আর তুমি এইভাবে আত্মহত্যা করে তার জীবন দেয়াকেই ব্রিতা করে দিলে !!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.