নাজমুল ইসলাম মকবুল
বিশ্বনাথে থানার প্রধান ফটকের সামনে সংখ্যালঘুর দোকানে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলা লুট
হামলাকারীকে হাতেনাতে আটক করেও ছাত্রলীগ ক্যাডার জেনে ছেড়ে দেয় পুলিশ
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি:
বিশ্বনাথে থানার প্রধান ফটকের সামনে সংখ্যালঘূ সপ্রদায়ের দোকানে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা হামলা করে। এসময় দোকানের দুজন কর্মচারীকে নির্দয়ভাবে মারধর করে মারাত্মক আহত করে ক্যাশ লুট করে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন দোকান মালিক সমরেন্দ্র বৈদ্য সমর (সমর বাবু)। বিশ টাকার ফেক্সিলোড দিতে বিলম্ব করায় শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের থানা গেটের সামনে সুসমিতা লাইব্রেরী ও ফোন সার্ভিসে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলায় আহতরা হলেন সঞ্জিত বৈদ্য (২২) ও বিপব দেব (২৫)। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, অস্ত্রসহ এক হামলাকারীকে বিশ্বনাথ থানার এসআই আবু সাঈদ ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে আটক করলেও পরে ছাত্রলীগ পরিচয় জানতে পেরে তাকে ছেড়ে দেন বলে প্রত্যদর্শীরা জানান।
জানাগেছে, উপজেলার জানাইয়া গ্রামের আবুল কালামের পুত্র ও বিশ্বনাথ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা শামিম আহমদ শুক্রবার বিকেলে সুসমিতা লাইব্রেরীতে ফেক্সিলোডের জন্য মোবাইল নাম্বার ও ২০ টাকা দিয়ে চলে যায়। দোকানে ভীড় থাকায় ফেক্সিলোড ছাড়তে দেরী হওয়ার কারণে সন্ধ্যা রাতে ঐ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমদসহ ছাত্রলীগের ক্যাডাররা সঙ্গী সাথীদের নিয়ে কর্মচারীদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা শামিম ও তার সঙ্গীয় বিশ্বনাথ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক রাজু আহমদ ও ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমদকে নিয়ে অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সুসমিতা লাইব্রেরীতে হামলা চালায়। এতে দোকানে ২ কর্মচারী গুরুতর আহত হন।
এসময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ থেকে হামলাকারীরা নগদ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপ অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে সুসমিতা লাইব্রেরেীর স্বত্ত্বাধিকারী সমরেন্দ্র বৈদ্য সমর (সমর বাবু) বলেন, ফেক্সিলোডের বিশ টাকা দেরিতে দেওয়ায় শামিমের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক ব্যবসা-প্রতিষ্টানে হামলা চালায়। এসময় তারা দোকানের ক্যাশে থাকা নগদ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। তাদের হামলায় আমার শ্যালক ও দোকানের এক কর্মচারী আহত হয়। গুরুত্ব আহত অবস্থায় তাদেরকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মুহিবুর রহমান সুইট বলেন, শামিম, রাজু ও তোফায়েল ছাত্রলীগের নেতা। তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক। ঘটনার সময় বিশৃংখলা ঠেকাতে ও জানমালের নিরাপত্তা (!) রার্থে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
অভিযুক্ত শামিম আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, বিশ টাকা দিয়ে ফেক্সি ছাড়ার কথা বলি। কিন্তু এক ঘন্টা অতিবাহিত হলেও মোবাইলে টাকা আসেনি।
পরে দোকানে গিয়ে টাকা না ছাড়ার বিষয়টি জানতে চাইলে দোকানকর্মচারিরা আমার উপর হামলা চালায়। এসময় তারা আমার সাথে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে তিনি দাবি করেন। তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন।
আওয়ামীগ নেতা ও সাবেক ইউ/পি চেয়ারম্যান মো. ছয়ফুল হক বলেন, এ অরাজকতার শেষ কোথায়? ধারাবাহিক এসব ঘটনায় ব্যবসায়ী মহলসহ সর্বস্থরের মানুষ আতংকিত, ভীত সন্ত্রস্থ, তিনি ঘটনায় সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্ঠান্ত মূলক শান্তি দাবি করেন।
থানার পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।