আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাঙালিরা চাকমাদের প্রতি ভয়ার্ত দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করে’

সম্পর্ককে খুব গুরুত্ব দিই।
পার্বত্য চট্টগ্রামে জেএসএস কিংবা ইউপিডিএফের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কথা আজ কারও অজানা নয়। সন্ত্রাস আর ভায়োলেন্সের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরী করছে তারা। সবকিছু নিয়ে লিখতে অনেক সময় প্রয়োজন। একটি নিয়েই কিছু বলি।

এই দল দুইটির হাতে সাধারন পাহাড়ীরাও নির্যাতিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। একটি তথ্য দেই, ওখানের স্কুলগুলোতে পর্যন্ত জেএসএস আর ইউপিডিএফ'র শাখা কমিটি রয়েছে! যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে ছাত্র রাজনীতির ভয়াল থাবা সম্পর্কে সচেতন নাগরিকরা উদ্বিগ্ন, সেখানে তুলনামূলকভাবে অনেক ভয়ংকর জেএসএস আর ইউপিডিএফ'এর রাজনীতি স্কুলের গন্ডিতে ঢুকে গেছে। তাদের রাজনীতি অস্ত্রের ঝনঝনানির,চাঁদাবাজির টাকা আদায়ের আর প্রতিদ্বন্দ্বী দলটির সাথে নিত্য সংঘর্ষের। তাদের আদর্শের জায়গাটুকু শুন্য, পাহাড়িদের ব্যাবহার করে কেউবা সরকারের হালুয়া-রুটি খায় আর কেউ হালুয়া-রুটির ভাগ না পেয়ে মারামারি শুরু করে। গত ৮ জুলাই ইউপিডিএফ'এর ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)'র দীঘিনালা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় শাখার সাধারন সম্পাদক এবং ঐ স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র রুবেল চাকমা (১৬), উপজেলা শাখার সদস্য ও মেরুং উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী কনক জ্যোতি চাকমা (১৯) এবং মেরুং ইউনিয়ন শাখার সভাপতি পলাশ চাকমা প্রতিদ্বন্দ্বী দলের গুলিতে মারাত্নক আহত হন।

এই স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অপরাধ, তারা ইউপিডিএফ'এর সদস্য। আসলে তারা অসহায়, তাদেরকে যেকোনো একটি দলকে বেছে নিতেই হবে। ফলশ্রুতিতে অপর দলটির শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হতে হয়। জীবনটাকে এমন এক অনিশ্চয়তা আর নিরাপত্তাহীন অবস্থায় ফেলতে হয়, যেখানে পদে পদে মৃত্যুর হাতছানি। সভা-সমাবেশে যোগদান প্রত্যেকের জন্য বাধ্যতামূলক।

নয়তো, বাড়িতে গিয়ে মারধোরের বহু ঘটনা আছে। স্কুল পর্যায়ের রাজনীতিতেই যদি অস্ত্রের ঝনঝনানি শোনা যায়, তবে মূল রাজনীতি কতটুকু ভয়ংকর তা সহজেই অনুমেয়। এসব মোটেই আমার অত্যুক্তি নয় বরং এসবই সত্য। আমি বিনীতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, দয়া করে এই কিশোরদের বিভীষিকাময় অবস্থার দিকে একটু নজর দিন। অনেকগুলো জীবন নষ্ট হচ্ছে কেবল এর ফলে।

তৈরী হচ্ছে কিছু লক্ষ্যহীন জীবন, যেগুলো হয়তো কিছুদিন পর কোন এক প্রতিদ্বন্দ্বী দলের গুলিতে মারা যাবে। বিস্তারিত দেখুন- Click This Link
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.