সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের রাজনীতিতে এসেছেন। নিশ্চিতভাবেই এটা রাজনীতির ক্ষেত্রে হয়ত একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবে বলে জনগণ বিশ্বাস করে। দেশের্ বর্তমান পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস উঠে গেছে মানুষের। চারদিকে নানা অরাজকতা। কিন্তু তার মাঝেও দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অর্জন কম নয়।
বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক সাফল্য তারা লাভ করেছে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের আগমন নতুনের পদধ্বনি শোনায় আমাদের। কিন্তু প্রশ্ন হইল, এরপরও কি জয় বের হতে পারবেন চাটুকারের বৃত্ত থেকে?
অনলাইনে সজীভ ওয়াজেদের বন্ধু বলে নিজেকে পরিচয় দিয়ে নানা রকমের ব্যবসা করে বেরাচ্ছে নানাজন। শুধু যে অনলাইনে তা নয় অফলাইনেও এ ব্যবসার পসার জমেছে। সুশান্ত দাশগুপ্ত নামে এক ব্লগার নানাভাবে নিজেকে সজীব ওয়াজেদের বন্ধু এবং একমাত্র আস্থাভাজন হিসেবে দাবী করে নানাস্থানে ব্যবসা করে যাচ্ছে।
নিজের রাজনৈতিক তেমন কোন পরিচয় না থাকলেও সে নিজেকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সবচেয়ে কাছের মানুষ এবং পরিকল্পনাকারী হিসেবে পরিচয় দেয়। এই রাজনৈতিক প্রভাব কতটুকু তা জানা না গেলেও সুশান্ত দাশগুপ্ত সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটিত হয়েছে।
কেবল সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথেই নয় সুশান্ত তার স্বার্থ উদ্ধারে যোগাযোগ রাখছে আওয়ামী লীগের নানা মহলে। অন্যদিকে সেইসব যোগাযোগ ব্যবহার করে সার্ভ করছে জামাত-বিএনপির পারপাস। কিছুদিন আগে লন্ডনে শেখ রেহানার সঙ্গে ছবি তোলা নিয়ে আওয়ামী লীগের লন্ডন নিবাসী এক প্রবীন নেতার গায়ে হাত তোলে সুশান্ত।
বিষয়টি নিয়ে যেন কোন তর্কাতর্কি না হয় সেজন্য সেই প্রবীন নেতার মেয়ের অশ্লীল ছবি পোস্ট করে ফ্লিকারে। পরে সেই ছবিগুলো ডিলিট মারলেও শেখ রেহানার সঙ্গে তোলা ছবিটি শেখ হাসিনার নামে আপলোড করাটুকু ডিলিট করেনি সুশান্ত।
যুবলীগের পোস্ট নেবার জন্য সুশান্তের আহাজারি সকলেই অনলাইনে দেখেছে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে ঘনিষ্ঠতা প্রমাণের চেষ্টা করেছে সে। কিন্তু সুশান্ত দোয়েল কেলেঙ্কারী করে নিজের সব ইমেজ খুইয়েছে।
তাই আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড তাকে পোস্ট দেয়নি বরং তার বিষয়ে সচেতন করে দিয়েছে বিভিন্ন নেতানেত্রীকে। যুবলীগের পোস্ট না পাবার পর এই সুশান্ত নির্লজ্জভাষায় তার নিজের ব্লগ আমার ব্লগে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে। রামুর ঘটনাতেও সে সরাসরি আওয়ামী লীগকে দায়ি করে। কিন্তু পরে অবস্থা বুঝে সব ডিলিট করে দেয়। একটি স্ক্রিনশটেই তার প্রমাণ।
তবে বর্তমানে সুশান্ত সম্পূর্ণ আওয়ামী বিরোধী কাজ করছে। কেবল তাই নয় আমার নিউজ নামে যে নিউজ পোর্টালের কাজ করছে তার বড় অংশের টাকা আসছে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার অন্যতম আসামী আবদুর রহিমের পরিবারের কাছ থেকে। সম্প্রতি সুশান্তের কিছু চ্যাট হিস্ট্রি বের করে তদন্তে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থা। সুশান্তের প্রায় শ খানেক স্ক্রীনশট নিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে বেচে রাজনীতি করার অপরাধ অচিরেই প্রমাণ করবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সবচেয়ে ভয়ের কথা হল, ইউকে নিবাসী এই সুশান্ত দাশগুপ্ত বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাকে বিম্বাস না করার কথা বলেছেন নানা জায়গায়।
সুশান্তের বেশ কয়েকটি চ্যাট হিস্ট্রির স্ক্রীনশট নিচে দেয়া হল যেগুলো গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত।
গোয়েন্দা সংস্থার বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে সুশান্ত নিজের সঙ্গে জয়ের ঘনিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য মাহবুবুল হক শাকিল , আশরাফুল আলম খোকন এমনকি সজীব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মোহাম্মদ এ আরাফাতের নামেও নানাস্থানে নানা বিভ্রান্তিকর এবং বাজে মন্তব্য করে যাচ্ছে।
স্ক্রীনশটগুলো থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ যে তথ্য উদঘাটিত হয়েছে তা হল সুশান্ত টাকার জন্য গিয়াসউদ্দীন আল মামুন এবং তারেকের সঙ্গে কাজ করছে এবং সে নিজেই স্বীকার করেছে রাজনৈতিক পরিচয় তার জন্য বড় কিছু নয়।
সামনে নির্বাচন। সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিশ্চিতভাবেই ভাবতে হবে কিভাবে সে এই মানুষদের সঙ্গ থেকে নিজেকে মুক্ত করবেন।
যারা তারেক-মামুনের টাকা খেয়ে কাজ করছে তারা যে আওয়ামী লীগকে কোথায় নিয়ে যাবে সেটি আর নতুন করে বুঝাতে হবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।