মনের কথা ব্লগে বলে ফেলুন,নয়তো মনে কথার বদহজম হবে
সত্যেন্দ্রনাথ বসু :
সত্যেন্দ্রনাথ বসু বাঙালি বিজ্ঞানীদের অন্যতম একজন। তিনি সৃষ্টির রহস্য নিয়ে ব্যাপক আলোচিত হিগস কণার প্রাথমিক ধারণা দিয়েছিলেন, এটা হয়তো অনেকেই জানেন না।
বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু সুইজারল্যান্ডের ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চের (সার্ন) গবেষকেরা ৪ জুলাই ঈশ্বর কণা বা হিগস-বোসন কণার অনুরূপ একটি কণার আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে কেবল ১৯৬০ সালে হিগস -বোসন কণার ধারণার প্রবর্তক পিটার হিগসকে নিয়ে প্রশংসা করা হলেও অনেকেই বলে থাকেন সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সেই কণা মূলত ঈশ্বর কণার প্রাথমিক ধারণা দেয়।
পি সি রায় :
নিজের বাসভবনে দেশীয় ভেষজ নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে তিনি তার গবেষণাকর্ম আরম্ভ করেন।
তার এই গবেষণাস্থল থেকেই পরবর্তীকালে বেঙ্গল কেমিক্যাল কারখানার সৃষ্টি হয়। যা ভারতবর্ষের শিল্পায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। তাই বলা যায় বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ভারতীয় উপমহাদেশের শিল্পায়নে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। ১৮৯৫ সালে তিনি মারকিউরাস নাইট্রাইট আবিষ্কার করেন যা বিশ্বব্যাপী আলেড়ন সৃষ্টি করে। এটি তার অন্যতম প্রধান আবিষ্কার।
তিনি তার সমগ্র জীবনে মোট ১২টি যৌগিক লবণ এবং ৫টি থায়োএস্টার আবিষ্কার করেন। পি সি রায় বাংলাদেশের খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রাডুলি গ্রামে আগস্ট ২,১৮৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই প্রফুল্লচন্দ্র অত্যন্ত তুখোড় এবং প্রত্যুৎপন্নমতি ছিলেন। তিনি জগদীশ চন্দ্র বসুর সহকর্মী ছিলেন।
ড. মুহম্মদ কুদরাত-ই-খুদা :
ড. কুদরাত-ই-খুদা শুধু একজন বাংলাদেশি রসায়নবিদই ছিলেন না, তিনি গ্রন্থকার এবং শিক্ষাবিদ হিসেবেও সমধিক পরিচিত ছিলেন।
তিনি ১৯০০ সালের ডিসেম্বর ১ পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের মারগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ড. কুদরাত-ই-খুদার শিক্ষাজীবন শুরু হয় মারগ্রাম এমই স্কুলে। ১৯১৮ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন তিনি। তারপর তিনি ভর্তি হন বিখ্যাত প্রেসিডেন্সি কলেজে। সেখান থেকেই তিনি ১৯২৫ সালে রসায়নে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে এমএসসি পাস করেন।
পাস করার পর তিনি উচ্চশিক্ষার উদ্দেশে ইংল্যান্ড পাড়ি জমান। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯২৯ সালে রসায়নে ডিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২-৫৫ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান এবং ১৯৫৫ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারসমূহের পরিচালক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য যে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়। ড. কুদরাত-ই-খুদা তার সভাপতি নির্বাচিত হন।
তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট প্রণীত হয়। বিজ্ঞানী হিসেবে তার ও সহকর্মীদের ১৮টি আবিষ্কারের পেটেন্ট রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি পাটসংক্রান্ত। ১৯৭২ সালের জুলাই ২৬ গঠিত 'জাতীয় শিক্ষা কমিশন' প্রণীত সুপারিশমালা। এই কমিশনের সভাপতি ছিলেন ড. কুদরাত-এ-খুদা। তার নামানুসারে পরবর্তীকালে রিপোর্টটির নাম রাখা হয় 'ড. কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট'।
জগদীশ চন্দ্র বসুঃ
উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে এই অনবদ্য আবিষ্কার পুরো বিশ্বকে ধ্যান-ধারণাই পাল্টে দেয়। একজন সফল বাঙালি বিজ্ঞানী হিসেবে নিজেকে নিয়ে গেছেন সর্বকালের সেরাদের তালিকায়। তার গবেষণার প্রধান দিক ছিল উদ্ভিদ ও তড়িৎ চৌম্বক। তার আবিষ্কারের মধ্যে উদ্ভিদের বৃদ্ধিমাপক যন্ত্র ক্রেস্কোগ্রাফ, উদ্ভিদের দেহের উত্তেজনার বেগ নিরুপক সমতল তরুলিপি যন্ত্র রিজোনাস্ট রেকর্ডার অন্যতম। জগদীশ চন্দ্রের স্ত্রী অবলা বসু ছিলেন একজন বিদুষী ডাক্তার ও শিক্ষাবিদ।
জগদীশ চন্দ্র ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তিনি প্রথম ভারতীয় ব্যক্তি যিনি আমেরিকান প্যাটেন্টের অধিকারী। ২০০৪ সালের এপ্রিলে বিবিসি রেডিওর জরিপে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে সপ্তম স্থান অধিকার করেন।
তিনিই প্রথম পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেছিলেন, উদ্ভিদ ও প্রাণী জীবনের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। মার্কনি আধুনিক ছোট বা শর্ট তরঙ্গ মাপের বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে দূরে বেতার সংকেত পাঠাতে সফল হয়েছিলেন যার ফলশ্রুতি হলো রেডিও।
কিন্তু জগদীশ চন্দ্র কাজ করেছিলেন অতিক্ষুদ্র তথা মাইক্রো বেতার তরঙ্গ নিয়ে যার প্রয়োগ ঘটেছে আধুনিক টেলিভিশন এবং রাডার যোগাযোগের ক্ষেত্রে।
জগদীশ চন্দ্র বসু বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবারের প্রকৃত বাসস্থান ছিল বর্তমান বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলায়। জগদীশ চন্দ্রের প্রথম স্কুল ছিল ময়মনসিংহ জিলা স্কুল। তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞান পাঠের জন্যই লন্ডনের উদ্দেশে পাড়ি জমান ১৮৮০ সালে।
কিন্তু অসুস্থতার কারণে বেশিদিন পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি। অচিরেই চিকিৎসা বিজ্ঞান পাঠ ছেড়ে দিয়ে কেমব্রিজের ক্রাইস্ট কলেজে ভর্তি হন। এখান থেকে ট্রাইপস পাস করেন। দেশে ফিরে আসেন ১৮৮৫ সালে। এসে প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিজ্ঞানের অস্থায়ী অধ্যাপক পদে যোগ দেন।
তার গবেষণার সূত্রপাতও এখান থেকেই। তার মহান বৈজ্ঞানিক গবেষণাসমূহের সূতিকাগার হিসেবে এই কলেজকে আখ্যায়িত করা যায়। প্রতিদিন নিয়মিত ৪ ঘণ্টা শিক্ষকতার পর যেটুকু সময় পেতেন তখন তিনি এই গবেষণার কাজ করতেন। তার উপর প্রেসিডেন্সি কলেজে কোনো উন্নতমানের গবেষণাগার ছিল না, অর্থ সংকটও ছিল প্রকট। তার এই গবেষণা কর্মগুলোর গুরুত্ব বিবেচনা করেই ইংল্যান্ডের লিভারপুলে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
এই বক্তৃতার সাফল্যের পর তিনি বহু স্থান থেকে বক্তৃতার নিমন্ত্রণ পান। এর মধ্যে ছিল রয়েল ইনস্টিটিউশন, ফ্রান্স এবং জার্মানি। এই বক্তৃতাটি আনুষ্ঠানিকভাবে 'ফ্রাইডে ইভনিং ডিসকোর্স' নামে সুপরিচিত ছিল। এই ডিসকোর্সগুলোতে আমন্ত্রিত হতেন একেবারে প্রথম সারির কোনো আবিষ্কারক। সে হিসেবে এটি জগদীশ চন্দ্রের জন্য একটি দুর্লভ সম্মাননা ছিল।
১৮৯৮ সালের জানুয়ারি ১৯ তারিখে প্রদত্ত তার এই বক্তৃতার বিষয় ছিল 'অন দ্য পোলারাইজেশন অফ ইলেকট্রিক রেইস'। এই বক্তৃতার সফলতা ছিল সবচেয়ে বেশি। ধীরে ধীরে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।
কলেরার কারণ আবিষ্কারঃ
চিকিৎসা বিজ্ঞানে কলেরার কারণ আবিষ্কার বাঙালি বিজ্ঞানীদের অন্যতম সেরা আবিষ্কার। এই রোগের কারণে মানুষের মৃত্যুর হার অনেক কমিয়ে আনতে এই আবিষ্কার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছে।
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে কীভাবে মারাত্দক কলেরা হয় তার কারণ আবিষ্কার করেন বাংলাদেশের এক বিজ্ঞানী। আন্তর্জাতিক কলেরা রোগ গবেষণা কেন্দ্র বা আইসিডিডিআরবির আণবিক জেনেটিঙ্ বিভাগের প্রধান ডাক্তার শাহ এম ফারুক ও তার গবেষণা দল এ আবিষ্কার করেছেন।
যখন বিশ্বব্যাপী কলেরার কারণ হিসেবে নতুন ধরনের ব্যাকটেরিয়া দায়ী বলে ধারণা করা হচ্ছে, তখন গবেষক দলটি এ সাফল্য অর্জন করল। তারা বলছে, 'ভিবরিও' নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে মানুষ আক্রান্ত হয় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ গবেষণায় দেখানো হয়েছে কীভাবে অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া ভিবিরিওর সংস্পর্শে এসে একে আরও কার্যকরী বা শক্তিশালী করে তোলে।
ডাক্তার ফারুক ও তার দলের এ আবিষ্কারের খবর আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল 'নেচার' এ প্রকাশিত হয়েছে।
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে কীভাবে কলেরা ছড়ায় সেটা আবিষ্কারের পর এই বিজ্ঞানীর নতুন প্রত্যয় এই রোগকে চিরতরে পৃথিবী থেকে বিদায় দেওয়া। কলেরার কারণ আবিষ্কারের ফলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মোকাবিলায় নতুন ওষুধ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়া হলো। তার গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে কলেরা প্রতিরোধক ওষুধ আবিষ্কারের দিকে মনোযোগী হচ্ছে। এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
ড. মাকসুদুর রহমানঃ
এই সময়ের সেরা আবিষ্কারের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য দেশি পাটের জন্ম রহস্য আবিষ্কার। সারা বিশ্বেই এই আবিষ্কারের খবর ফলাও করে প্রচার করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। এই আবিষ্কারের ফলে দেশি পাট আরও উন্নত হবে। বাংলাদেশের সেরা সম্পদ হিসেবে পাটের নামও চলে আসে। পাটের জেনমের পূর্ণাঙ্গ তথ্য এর ফলে মানুষের হাতে এলো।
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষক বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুর রহমান এই আবিষ্কার করেন। এর আগে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা তোষা পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন করেছিলেন।
বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত জাতের দেশি পাটের উদ্ভাবন, উৎপাদন ও চাষে প্রতিবন্ধকতা দূর করার পথে বাংলাদেশ এখন একক নেতৃত্বে বলে জানিয়েছেন পাটের জীবন রহস্য আবিষ্কারকেরা।
পাটের জীবন রহস্য উদঘাটনকারী বিজ্ঞানীরা এর বেশ কিছু সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
সবচেয়ে ভালো জাতের পাটের অাঁশ থেকে কাগজ ও কাপড় থেকে শুরু করে গাড়ির ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের মতো আধুনিক ও বহুমাত্রিক পণ্য তৈরি সম্ভব হবে।
তাই পাটের জীবন রহস্যের মেধাস্বত্বের অধিকার পেতে যাওয়া বাংলাদেশ আগামীতে বিশ্ব নেতৃত্বে থাকা সম্ভব। গোড়া পচা রোগের কারণে সবচেয়ে ভালো মানের দেশি সাদা পাট চাষের প্রতিবন্ধকতা শীঘ্রই দূর হবে। শুধু বস্তা বা ব্যাগ তৈরি নয়, মসৃণ কাপড়, কাগজ, গাড়ির ভেতরের নকসায় ব্যবহারের মতো বহুমাত্রিক ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে। এরই মধ্যে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব প্রদানকারী সংস্থা ওয়াইপোতে আবেদন করেছে বাংলাদেশ। আগামী দেড় বছরের মধ্যে পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন মেধাস্বত্বের একক অধিকার পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
স্বাধীনতার-পরবর্তী সময়ে মূলত বস্তা বা ব্যাগ তৈরির কাঁচামাল হিসেবেই পাট দেশের ৪০ ভাগ রাজস্ব আয় করে দেশের প্রধান অর্থকরী ফসলের স্বীকৃতি পেয়েছিল পাট। পাট নিয়ে বাংলাদেশে গবেষণার কথা আর অজানা নেই কারও। সারা বিশ্বেই এই গবেষণা সাফল্য ছড়িয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে বিগত দুই বছরে তোষা পাট ও পাটের গোড়া পচা রোগ ফাংগাসের জীবন রহস্য উদঘাটন করেছেন। বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে।
বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুর রহমানের মতে, খুব শীঘ্রই মাঠ পর্যায়ে এর সুফল পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের এই পাট নিয়ে গবেষণার সাফল্য এসেছে মূলত দীর্ঘদিনের কর্মপরিকল্পনার পথ। পাটের জন্ম রহস্য যেসব ফাংগাসের ফলে পাটের গোড়া পচা রোগ হতো সেটা অনেকটাই রুখে দেওয়া যাবে। পাটের ফলন বৃদ্ধির পাশাপাশি পাটের ব্যবহার নিয়ে আরও বৈচিত্র্যময় বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা সমন্বয় হলে এই আবিষ্কারের সুফল পাওয়া যাবে।
আয়েশা আরেফিন টুম্পাঃ
আয়েশা আরেফিন টুম্পা কৃত্রিম ফুসফুস আবিষ্কার করে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন বিশ্ববাসীর কাছে।
তিনি ন্যানো-প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করেছেন কৃত্রিম মানব ফুসফুস। টুম্পা বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকোতে ন্যানো-সায়েন্সের ওপর ডক্টরেট করছেন। একই সঙ্গে লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে চলছে তার গবেষণা। আয়েশা তার ক্যারিয়ার শুরু করেন লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির বায়ো-সিকিউরিটি বিভাগে। এর পরই ওই ল্যাবের ভারতীয় গবেষক প্রখ্যাত টক্সিকোলজিস্ট রাশি আইয়ার আয়েশাকে অপ্টোজেনিক্স সংক্রান্ত গবেষণা কাজের জন্য নিয়োগ দেন।
অপ্টোজেনিকস হচ্ছে জিনবিদ্যা ও প্রোটিন প্রকৌশল (ইঞ্জিনিয়ারিং) এর মাধ্যমে জীবন্ত টিস্যুর মাঝে ঘটতে থাকা বিভিন্ন স্নায়ুবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করা। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও কৃত্রিম টিস্যু বা কলা তৈরি করা সম্ভব। আয়েশা ও রাশি আয়ারের দলের অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট বিষক্রিয়া, রোগ ও কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপনের জন্য সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছেন। তারা একটি কৃত্রিম মানব ফুসফুস তৈরি করেন। আয়েশা একই সঙ্গে বিভিন্ন স্নায়ুবিক ব্যাধি ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ নিয়েও গবেষণা করছেন।
বাংলাদেশি এই বিজ্ঞানী আয়েশা আরেফিন টুম্পা কৃত্রিম ফুসফুস আবিষ্কারের মাধ্যমে চিকিৎসাক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার কথা জানান দিয়েছেন।
তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন(রকমারি),১১ সেপ্টেম্বর,২০১৩ ইং।
লেখকঃতানভীর আহমেদ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।