আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৃজনশীল পদ্ধতি গঠনমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা

প্রশ্ন : একজন ভালো ছাত্রের কি কি গুণাবলি থাকা উচিত?

উত্তর : একজন ভালো শিক্ষার্থীকে অবশ্যই অধ্যবসায়ী থাকতে হবে। অধ্যবসায়ের সঙ্গে দিনের পাঠ দিনে শেষ করাও ভালো ছাত্রের একটি গুণ। সব বিষয় সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।

প্রশ্ন : ভালো ফলাফলের জন্য পড়াশোনার নির্দিষ্ট রুটিনের গুরুত্ব কতটা? এ ক্ষেত্রে গৃহশিক্ষক বা কোচিংয়ের প্রয়োজন আছে কি?

উত্তর : ভালো ফলাফলের জন্য পড়াশোনার নির্দিষ্ট রুটিনের গুরুত্ব অপরিসীম। আশানুরূপ ফলাফলের পূর্বশর্ত রুটিন।

এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী তার সব পাঠকে একটি নির্দিষ্ট ছকে নিয়ে আসতে পারে। ফলে পাঠ তার কাছে সহজ হয় এবং বোঝা মনে হয় না। আসলে ভালোর শেষ নেই। আর মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা সুযোগ সন্ধানী হয়। অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা স্কুলের পাঠ শেষ করে বাসায় কোনো স্টাডি করতে চায় না।

তারা মনে করে সমস্ত পড়া শেষ হয়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে কোচিং বা গৃহশিক্ষক কম করে হলেও তাদের কিছু শিক্ষা দিতে সক্ষম হয়।

প্রশ্ন : সহশিক্ষা কার্যক্রম পড়াশোনায় কি ধরনের প্রভাব ফেলে?

উত্তর : সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের সৃষ্টি হয়। ফলে তাদের পাঠে উৎসাহ বাড়ে।

প্রশ্ন : তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষ পড়াশোনার ক্ষেত্রে কিভাবে সহায়তা হতে পারে?

উত্তর : বর্তমান যুগ তথ্য-প্রযুক্তির।

ইতিমধ্যে সরকার বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম সংযোজন করেছে। এক ঘণ্টার লেকচার ভিত্তিক ক্লাসে শিক্ষার্থীদের যা বোধগম্য না হয় তা মাল্টিমিডিয়ার একটি ক্লাসের সাহায্যে ১৫ মিনিটে বোঝানো সম্ভব। তাই তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষ পড়াশোনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

প্রশ্ন : সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাসের হার বেড়েছে। শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে কি?

উত্তর : মূলত সৃজনশীল পদ্ধতি সম্পর্কে বাংলাদেশের খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকের সুস্পষ্ট ধারণা রয়েছে।

তা কাটাতে শিক্ষকদের এ পদ্ধতির ওপর ট্রেনিংয়ের বিকল্প নেই। শত বছরের মুখস্থ নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠে সৃষ্টিশীল বা সৃজনশীল পদ্ধতি নিঃসন্দেহে গঠনমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা। এ জন্য শিক্ষক শিক্ষার্থীর মাঝে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট ধারণা পেঁৗছাতে হবে।

প্রশ্ন : দেশের শিক্ষার্থীরা সাধারণভাবে ইংরেজিতে দুর্বল। তা কাটাতে করণীয় কী?

উত্তর : বিশ্বায়নের এ যুগে টিকে থাকতে হলে দুটি জিনিস দরকার।

একটি তথ্য-প্রযুক্তি অন্যটি ইংরেজি শিক্ষা। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ের সিলেবাসে  Listening, Speaking, Reading, writing আলাদা করার ফলে শিক্ষার্থীদের ইংরেজির ভিত শক্ত হবে বলে আমি মনে করি। তবে শিক্ষার্থীরা কোনো বিষয় লেখার ক্ষেত্রে মুখস্থনির্ভর না হয়ে যদি Free writing -এর অভ্যাস গড়ে তোলে তাহলে তারা ইংরেজির দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।

প্রশ্ন : আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের ভিত্তি কি?

উত্তর : একজন শিক্ষার্থীর সাফল্যের পেছনে দুটি পক্ষ কাজ করে। একটি শিক্ষক অপরটি অভিভাবক।

আমার প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের ভিত্তি হচ্ছে শিক্ষকদের নিরলস পরিশ্রম ও অভিভাবকদের সহযোগিতা। তবে এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর আন্তরিক চেষ্টাও দরকার।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।