সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নিয়ন্ত্রকেরা প্লেনের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে যাত্রার সময় যাত্রীদের ল্যাপটপ, ট্যাবলেট এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার বিষয়টি পূণর্বিবেচনা করছে।
অনেকে মনে করেন, তাদের ব্যবহৃত যন্ত্রটি বিভিন্ন রেডিও সংকেতের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটিয়ে ফ্লাইটকে বিপদগ্রস্ত করতে পারে। আবার অনেকে মনে করেন এসব ইলেকট্রনিক্সের ব্যবহার বিমান দুর্ঘটনার প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করে।
ইলেকটনিক ওইসব ডিভাইস নির্মাতা ও সরকারি প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত এক কমিটি সম্প্রতি প্লেনে ১০ হাজার ফুটের নিচে উড়ার সময় ট্যাবলেট এবং ই-রিডার ব্যবহার করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে। কিন্তু এর চেয়ে ভারি যন্ত্র যেমন ল্যাপটপ বা ডিভিডি প্লেয়ার এখনও প্লেন উড্ডয়ণ ও অবতরণের সময় বন্ধ রাখার কথা বলা হয় এতে।
গত বছর মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে এই নিয়মকানুন পরিবর্তনের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠনের জন্য সাধারণ যাত্রী এবং কিছু কংগ্রেস সদস্য সুপারিশ করেছিলেন।
কিছু পণ্য নির্মাতা নিজে থেকেই তাদের যন্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এগিয়ে এসেছে। ২০১১ সালে অ্যামাজন ডটকম বিভিন্ন যন্ত্র প্লেনে রেখে পরীক্ষা করে দেখে সেগুলো প্লেন চালনায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে কি না। যন্ত্রগুলো বিমান যোগাযোগে কোনো বিঘ্ন ঘটায়নি বলে অ্যামাজন এফএএর কাছে পাঠানো রিপোর্টে জানায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।