সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১০ সাল থেকে গুগলের বিভিন্ন বিষয় তদন্ত করে দেখছে ইউরোপিয়ান কমিশন। যদি তদন্তের ফলাফল গুগলের বিপরীতে যায়, তাহলে প্রতিষ্ঠানটিকে বেশ বড় অংকের জরিমানা দিতে হবে।
ইউরোপের শতকরা ৮০ শতাংশ অনলাইন সার্চ গুগলের মাধ্যমে করা হয়। কিন্তু ইউরোপিয়ান কমিশন বেশকিছু বিষয়ে গুগলের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে আসছে এবং তাদের বেশকিছু কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তদন্ত করছে।
গুগলের বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান কমিশনের কাছে মাইক্রোসফটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অভিযোগও করেছে।
প্রধানত যেসব কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে সেগুলো হল--
১. গুগল তাদের ব্র্যান্ডকে ঠিক কী পদ্ধতিতে প্রতিদ্বন্দন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তুলনা করে দেখায়।
২. গুগল কীভাবে অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে কন্টেন্ট কপি করে। যেমন, নিজেদের সেবায় যুক্ত করার জন্য রেস্টুরেন্ট রিভিউ।
৩. গুগল তার সার্চ টার্ম ব্যবহার করে কারো কাছে একচেটিয়াভাবে বিজ্ঞাপন বিক্রি করছে কি না।
৪. বিজ্ঞাপনদাতারা যাতে গুগলের প্রতিদ্বন্দী সার্চ ইঞ্জিনের কাছে বিজ্ঞাপন না দেয়, সে বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি কেমন বাধানিষেধ আরোপ করছে।
অন্যদিকে কমপিটিশন কমিশনার জোয়াকুয়িন অ্যালমুনিয়া ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে বলেছেন, “আমরা এ মামলাটির চ‚ড়ান্ত মুহূর্তে পৌঁছেছি। এখন উল্লেখযোগ্য উন্নতি যখন হয়েছেই, তখন আমার মনে হয় আমাদের এটি নিয়ে কাজ করার আরেকটি সম্ভাবনা রয়েছে। ”
আগামী বসন্তে এ মামলার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন অ্যালুমিনিয়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।