ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখ সাবের হোসেন চৌধুরী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। তারপরও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রধান খেলা ক্রিকেটের নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবের কমতি নেই। ১৯৯৮ সাল থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের স্থায়ী কমিটি গঠন হয়ে আসছে। কিন্তু এবারের মতো আলোচনা ও উত্তেজনা কখনো দেখা যায়নি। এবারে ব্যতিক্রম হচ্ছে সভাপতি পদে নির্বাচন।
এই পদে সরকার মনোনীত বা সমর্থিত ব্যক্তিরাই দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এবারই প্রথম সভাপতি ঠিক করতে ভোট দিতে হবে বলেই বিসিবির নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবটা বেশিই লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। বোর্ড ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত সভাপতি আসছেন ঠিকই। কিন্তু এই পদে আর নির্বাচনের প্রয়োজন হবে বলে মনে হয় না। কারণ সভাপতি পদে একমাত্র প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপনই শুধু মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন।
সভাপতি নির্বাচিত হবেন নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে। এখন কোনো পরিচালক যদি সভাপতি প্রার্থী হন তাহলে পাপনকে ভোট যুদ্ধে লড়তে হবে। তবে অন্য কারও প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে এটা অনেকটা নিশ্চিত যে পাপনই ক্রিকেট বোর্ডের প্রথম নির্বাচতি সভাপতি হতে যাচ্ছেন। গতকাল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন ছিল। এ নিয়ে ক্রীড়া পরিষধ ছাড়াও পুরো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম আঙিনায় উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়।
পাপন কাল ক্রীড়া পরিষদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেননি। তারপক্ষে প্যানেলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। ক্যাটাগরির এ কাউন্সিলরশিপের সংখ্যা ৭১ জন। তবে ভোট দিতে পারবেন ৭০ জন। মেহেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা নাম পাঠায়নি।
এই ক্যাটাগরি থেকে পরিচালক নির্বাচিত হবেন ১০ জন। এ ক্যাটাগরি থেকে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে ঘিরেই উৎসাহটা ছিল বেশি। দেশের খ্যাতনামা নন্দিত এই ক্রিকেটার কেন জানি বোর্ড থেকে দূরে সরে ছিলেন। অথচ ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থে তার প্রয়োজনীয়তা ক্রিকেটপ্রেমীরা অনুভব করে আসছিলেন। সুখের কথা ক্রিকেটপ্রেমীদের এবার প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে।
কেননা দুর্জয় ঢাকা বিভাগ থেকে নিজ জেলা মানিকগঞ্জ থেকে কাউন্সিলর হয়েছেন। পরিচালক পদেও নির্বাচন করতে গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেন। অনেকের আশা জয়ী হয়ে সাবেক এই ক্রিকেটার দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে তার মেধাকে কাজে লাগাবেন। আইসিসি ট্রফি জয়ী বাংলাদেশের অধিনায়ক আকরাম খান চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। চট্টগ্রাম জেলা থেকে আ জ ম নাসিরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচত হন।
ক্যাটাগরি 'সি' থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক দুই অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ও খালেদ মাহমুদ সুজন। অর্থাৎ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বেশ ক'জন সাবেক অধিনায়ক এবার নির্বাচনে মুখোমুখি হচ্ছেন। এতেই বোঝা যায় ১০ অক্টোবর যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাতে বোর্ড যোগ্য পরিচালকদের খুঁজে পাবেন। ক্যাটাগরি 'বি' কাউন্সিলরের সংখ্যা ৫৮। পরিচালক নির্বাচিত হবেন ১২ জন।
এখান থেকে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন। গতকাল অবশ্য ১৫ জন মনোনয়ন জমা দেন। জানা গেছে, ববি ও মলি্লক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন। পরবর্তীতে দু'জনা ক্রীড়া পরিষদের কোটা থেকে পরিচালক নির্বাচিত হবেন। ৭ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।