আমার বুয়েটে পড়া বেশ কিছু বন্ধু আছে। যারা বুয়েট ছাড়া অন্য কোন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করা প্রকৌশলীদের কে “প্রকৌশলী” হিসাবে মানতে নারাজ! তারা কোন দিন মন থেকে এই বিষয়টি মেনে নেবে কি না আমাদের সন্দেহ!
আবার চুয়েট, কুয়েট, রুয়েট থেকে পাশ করা কিছু “প্রকৌশলী” আছেন, তারা “ডুয়েট”কে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে কখনোই মন থেকে মেনে নিতে পারেনি। কেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার হবে? এই হিংসাপরায়ণতা আমি অন্য কোন সেক্টরে দেখিনি। যদিও একই সময়ে তারা সকলেই বিআইটি (ঢাকা,রাজশাহী,খুলনা,চট্টগ্রাম) থেকে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নিত হয়েছে। এরা একজন অন্য জনকে সতীনের চোখে দেখে বললেও ভুল হবেনা।
তাদের কাছেতো এএমআইই চিন্তারই বাহিরে! অনেকেই দাবি তুলেছেন “এএমআইই” বন্ধ করে দেয়া হোক !!!
আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়! তারা ডাল ভাত! টাকা দিয়ে সার্টিফিকেট বাণিজ্য! এখানে সবাই গরুর ঘাস কাটে !সব গুলই নাকি গাধা পিটে গরু বানানোর যন্ত্র !!
মজার বিষয় হল সেদিন “ঠেলায় পরে” (‘আইইবি’ এর প্রতিবাদ সমাবেশে সরকারী- বেসরকারী সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই আসবেন) বলে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
লজ্জা! এই সকল নিচু মানসিকতার লোকজন আবার নিজেকে “প্রকৌশলী” দাবি করে ! তারা আবার নিজেকে সবচেয়ে বড় “জ্ঞানী” দাবি করে !
আরে গাধার দল আপনাদের সময় কতজন ছাত্র এসএসসি পাশ করত তার হিসাব রাখেন? আর এখন কতজন ছাত্র এসএসসিতে A+ পায়? সময়ের প্রয়োজনে এখন অন্তত ৩০টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন। হ্যাঁ, কথা হল এই গুলির মান নিয়ন্ত্রন করা খুবই জরুরী।
তারা এতই “মহাজ্ঞানী” যে এটাও জানেনা কোন দেশ এগিয়ে নিতে হলে লেবার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রকৌশলী পর্যন্ত সকল কে সাথে নিয়েই এগুতে হবে। কারিগরি ব্যক্তিদের (দক্ষ লেবার থেকে শুরু করে ফোরম্যান বা সুপার ভাইজার, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ার এবং বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার) সম্মিলিত শ্রমই পারে একটি দেশ বা জাতিকে এগিয়ে নিতে।
যেখানে কাওকে ছাড়া কারও একা এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব।
এই সমস্ত লোকজন কাওকেই সন্মান করতে জানেনা। এই সকল জ্ঞানপাপীদের যারা অনুসরন করবে তাদের মানষিক বিকাশ কেমন হবে, আল্লাহই ভাল জানেন।
যত তাড়াতাড়ি ঐ সকল “নিচু মানসিকতার” লোকজনের মানসিকতার পরিবর্তন হবে ততই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক।
ডিপ্লোমা ভাইদের উদ্দেশ্যে বলছি, মেডিকেলে চাকরি করে বলে নার্স যেমন কখনো ডাক্তার হয়না, সেনা বাহিনীতে অফিসার ও সৈনিক এক হয়না, ঠিক তেমনি ভাবে টেকনিশিয়ান ও ইঞ্জিনিয়ার এক জিনিস না।
কারন, ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে একটা নির্দিষ্ট সিলেবাস শেষ করে আসতে হয়।
তাই আমি মনে করি এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে , বিদেশের মত ডিপ্লোমাকারীদের একটা নির্দিষ্ট টাইটেল এবং কাজের পরিধি ঠিক করে দেয়া আবশ্যক। যা ওদের জন্যও সম্মানজনক হবে এবং এ সমস্যারও একটা স্থায়ী সমাধান হবে।
ওদের গ্রুপ সহ সব কিছুই আলাদা থাকবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।