কোরআন ও ইসলামের হেফাজতের জন্য সয়ং আল্লাহই যথষ্টে। এর জন্য জামায়াত বা হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠণের দরকার নেই। কোরআনে পরিস্কার বলা আছে. 'এই কোরআনকে আমিই হেফাজত করব। ' সংগঠণ করেতো ইসলামকে হেফাজত করা যাবে না। শনিবার বাংলাদেশের এক জাতীয় দৈনিকে সাক্ষাত দিতে গিয়ে এ কথা বলেন অল ইণ্ডিয়া জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদীর ছেলে সাইয়েদ হায়দার ফারুক মওদুদী।
'ধর্ম ও রাজনীতি: দক্ষিণ এশিয়া' শীর্ষক আন্তর্জাতিক গণবক্তৃতা ও সম্মেলন উপলক্ষে ৩ দিনের সফরে ঢাকা অবস্থান করছেন পাকিস্তানের এ ইসলামি চিন্তাবিদ।
ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে মাদক ব্যবসার সঙ্গে তুলনা করে ফারুক মওদুদী বলেন, আমার বাবা আমাদের সব ভাই-বোনকে সবসময় ধর্মভিত্তিক রাজনীতি কিংবা জামায়াতের রাজনীতি থেকে দুরে রেখেছেন। বিষয়টিকে তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে তুলনা করেছেন। একজন মাদক ব্যবসায়ী যেমন চায় না তার সন্তানরা কেউ মাদক সেবন করুক, বাবাও তেমনি আমাদের জামায়াতের কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখতেন। এমনকি দূরে দাড়িয়ে কখনো জামায়াতের সমাবেশও দেখতে দিতেন না।
আমাদের ৯ ভাই-বোনের কেউই জামায়াত রাজনীতির সঙ্গে জড়াননি। প্রত্যেকে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পেশায় ভালো অবস্থানে আছে। তিনি বলেন, জামায়াত একটা ফ্যাসিস্টদের দল। এ দলে আমিরের অবস্থা সেনাপ্রধানের মতো। তাকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।
এসব দলকে নিষদ্ধি করতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা পুত্র হায়দার ফারুক বলেন, ১৯৪৭ সালে জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধীতা করেছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে। এ অপরাধেই দুই রাষ্ট্রেই জামায়াতের রাজনীতি নিষদ্ধি করা দরকার। দেশের অসি্তত্বে যারা বিশ্বাস করে না তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকে না।
তিনি বলেন, পাকিস্তান স্বাধীন হয়েছিল ধর্মীয় উদ্দেশ্যে। এ দেশ হয়েছে স্বাধীনতার উদ্দেশ্যে। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের কারণেই পাকিস্তান এত সমস্যা জর্জরিত। পাকিস্তানি ইসলামি চিন্তাবিদ হায়দার ফারুক মওদুদির আজ বাংলাদেশ ত্যাগের কথা রয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।