রোববার পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী বাটেক্সপো উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, গত দুমাস ধরে দেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি আদেশ কমছে। অনেক ক্রেতা ভারত ও ভিয়েতনামে চলে যাচ্ছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “ডলারের বিপরীতে রুপীর দরপতনের কারণে ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা সহজে অর্ডার নিতে পারছে। অথচ আমাদের টাকার মান বাড়ছে।
একারণে আমরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছি। ”
তিনি বলেন, “ভারতের রুপীর মান ৩২ শতাংশ কমেছে। আর উল্টো টাকা মান বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। অর্থাৎ ভারত আমাদের তুলনায় বাজার প্রতিযোগিতায় ৩৭ শতাংশ এগিয়ে আছে।
একারণে রপ্তানির জন্য আমদানি ব্যয় এবং প্রকৃত রপ্তানি আয়ের মধ্যে ব্যবধানের সমপরিমাণ ডলার বা রিটেনশনের জন্য একটি আলাদা বিনিময় হারের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।
তার দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে সংগঠনের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, “নানা কারণেই বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাচ্ছে। নতুন করে যোগ হয়েছে প্রতিযোগী দেশের মুদ্রার দরপতন। এসময় শিল্পের প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থা জরুরি। ”
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাটেক্সপো-২০১৩
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ অ্যাপারেল অ্যান্ড টেক্সটাইল এক্সপোজিশন (বাটেক্সপো) ২০১৩-এর উদ্বোধন করতে সম্মতি দিয়েছেন।
আর ১২ অক্টোবর সমাপনী অনুষ্ঠানে থাকবেন বিরোধীদলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
এবারের বাটেক্সপোতে দেশি-বিদেশি ৮০টি স্টল থাকবে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্য, হংকং, থাইল্যান্ড, চীন, ভারত ও পাকিস্তানের ক্রেতারা থাকবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
বিদেশি ক্রেতাদের অংশগ্রহণ সহজ করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিজিএমইএ একটি ক্রেতা অভ্যর্থনা কেন্দ্র স্থাপন করেছে বলে জানানো হয়।
তিনদিনের এ প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে পোশাক খাত বিষয়ে তিনটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে, যাতে পোশাক খাতের অর্জন, সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন বিশেষজ্ঞরা।
বরাবরের মতো এবারো বাটেক্সপো থেকে গতবারের তুলনায় বেশি স্পট অর্ডার পাওয়ার আশা করছেন বিজিএমইএ নেতারা।
গত বছরের মেলা থেকে ৬০ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলারের স্পট অর্ডার এসেছিলো। আর ১ দশমিক ৪২ মিলিয়নের স্টকলট স্পট অর্ডার পায় বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।