খৃষ্টীয় ৮ম/৯ম শতাব্দীতে চন্দ্র বংশীয় রাজারা আরাকান শাসন করতো । উজালী(বৈশালী) ছিলো এবংশের রাজধানী । কথিত আছে এবংশের রাজা মহত ইং চন্দ্রের রাজত্বকালে (৭৮৮/৮১০ খৃঃ) কয়েকটি বাণিজ্য বহর রামব্রী দ্বীপের তীরে এক সংঘর্ষে ভেঙ্গে পড়ে । জাহাজের আরবীয় আরোহীরা তীড়ে এসে ভীড়লে রাজা তাদের উন্নত আচরনে সন্তুষ্ট হয়ে আরাকানে বসতি স্থাপন করান ।
জনশ্রুতি আছে ; আরবীয় মুসলমানেরা ভাসতে ভাসতে কুলে ভিড়লে "রহম"রহম"ধ্বণি দিয়ে সাহায্য কামনা কসরতে থাকে ।
রহম আরবি শব্দ যার অর্থ দয়া করে । কিন্তু জনগণ মনে করে এরা রহম জাতির লোক । রহমশব্দই বিকৃত হয়ে পরে রোয়াং হয়েছে বলে রোহিঙ্গারা মনে করেন ।
সুপ্রসিদ্ধ আরব ভৌগলিক সুলাইমান ৮৫১ খৃঃ "সিলসিলাত উত তাওয়ারী" নামক গ্রন্থে বঙ্গোপসাগরের তীরে রূহমী নামক একটি দেশের পরিচয় দিয়েছেন । যাকে আরাকানের সাথে সম্পর্কযুক্ত মনে করা যেতে পারে ।
কক্সবাজার এলাকার বসবাসকারী জনগণ সাধারণত নিজেদের আরব বংশদ্ভুত বলে মনে করে থাকে ন । এই এলাকার জনগণের ভাষায় ক্রিয়াপদের পূর্বে না সূচক শব্দ ব্যবহার আরবী ভাষার প্রভাবের ফল বলে পন্ডিতগণের ধারণা । এ এলাকার জনগণের ভাষায় প্রচূর আরবী ও ফার্সী এবং মঘী শব্দ এর আধিক্য দেখা যায় । মঘী জরিপের অনুরূপ অত্র এলোকার জমি পরিমাপের এক্ষ্রেত্রে দোন কানী গন্ডা ইত্যাদি হিসাবে হয়ে থাকে ।
মহাকবি আলাওল পদ্মাবতী কাব্যে রোসাঙ্গের জনগোষ্ঠীর একটি পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিয়েছেন ।
"নানা দেশী নানা লোক শুনিয়া রোসাঙ্গ ভোগ আইসন্ত নুপ ছায়াতলে । আরবী মিশরে সামী তুর্কী হাবসী রুমী খোরাসানী উজবেকী সকল । লাহোরী মূলতানী সিন্ধী কাশ্মীরি দক্ষিণী হিন্দি কামরূপী আর বঙ্গদেশেী । বহু শেখ সৈয়দজাদা মোগল পাঠান যোদ্ধা রাজপুত হিন্দি নানা জাতি । "
সন্দেরে কোন অবকাশ নাই " রোহিঙ্গারা ইতিহাস প্রসিদ্ধ রোসাঙ্গ সভ্যতার ধারক বাহক ।
তবে এটুকু বলা যায় নানা জাতির সংমিশ্রণে গঢ়ে উঠেছে এই রোহিঙ্গা জাতি । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।