আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুরবানীর মাসায়েল

এ জগতে মানুষ কারা

(১) চুল-নখ না কাটা : উম্মে সালামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার এরাদা রাখে, তারা যেন যিলহাজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হ’তে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ কর্তন করা হ’তে বিরত থাকে’। [1] কুরবানী দিতে অক্ষম ব্যক্তিগণ কুরবানীর নিয়তে তা করলে এটাই আল্লাহর নিকটে পূর্ণাঙ্গ কুরবানী হিসাবে গৃহীত হবে। [2] (২) কুরবানীর পশু : এটা তিন প্রকার- উট, গরু ও ছাগল। দুম্বা ও ভেড়া ছাগলের মধ্যে গণ্য। প্রত্যেকটির নর ও মাদি।

এগুলির বাইরে অন্য পশু দিয়ে কুরবানী করার প্রমাণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে পাওয়া যায় না। তবে অনেক বিদ্বান গরুর উপরে ক্বিয়াস করে মহিষ দ্বারা কুরবানী জায়েয বলেছেন। [3] ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, ‘উপরে বর্ণিত পশুগুলি ব্যতীত অন্য কোন পশু দ্বারা কুরবানী সিদ্ধ হবে না’। [4] কুরবানীর পশু সুঠাম, সুন্দর ও নিখুঁত হওয়া চাই। চার ধরনের পশু কুরবানী করা নাজায়েয।

যথা- স্পষ্ট খোঁড়া, স্পষ্ট কানা, স্পষ্ট রোগী ও জীর্ণশীর্ণ এবং অর্ধেক কান কাটা বা ছিদ্র করা ও অর্ধেক শিং ভাঙ্গা। [5] (৩) ‘মুসিন্নাহ’ দ্বারা কুরবানী : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমরা দুধের দাঁত ভেঙ্গে নতুন দাঁত ওঠা (মুসিন্নাহ) পশু ব্যতীত যবহ করো না। তবে কষ্টকর হ’লে এক বছর পূর্ণকারী ভেড়া (দুম্বা বা ছাগল) কুরবানী করতে পার’। [6] জমহূর বিদ্বানগণ অন্যান্য হাদীছের আলোকে এই হাদীছে নির্দেশিত ‘মুসিন্নাহ’ পশুকে কুরবানীর জন্য ‘উত্তম’ হিসাবে গণ্য করেছেন। [7] ‘মুসিন্নাহ’ পশু ষষ্ঠ বছরে পদার্পণকারী উট এবং তৃতীয় বছরে পদার্পণকারী গরু বা ছাগল-ভেড়া-দুম্বাকে বলা হয়।

[8] কেননা এই বয়সে সাধারণতঃ এই সব পশুর দুধের দাঁত ভেঙ্গে নতুন দাঁত উঠে থাকে। তবে অনেক পশুর বয়স বেশী ও হৃষ্টপুষ্ট হওয়া সত্ত্বেও সঠিক সময়ে দাঁত ওঠে না। এসব পশু দ্বারা কুরবানী করা ইনশাআল্লাহ কোন দোষের হবে না। (৪) নিজের ও নিজ পরিবারের পক্ষ হ’তে একটি পশু : (ক) মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একটি শিংওয়ালা সুন্দর সাদা-কালো দুম্বা আনতে বললেন, ... অতঃপর নিম্নোক্ত দো‘আ পড়লেন, بِسْمِ اللهِ أللّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ وَّ آلِ مُحَمَّدٍ وَّ مِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ- ‘আল্লাহর নামে (কুরবানী করছি), হে আল্লাহ! তুমি কবুল কর মুহাম্মাদের পক্ষ হ’তে, তাঁর পরিবারের পক্ষ হ’তে ও তাঁর উম্মতের পক্ষ হ’তে’। এরপর উক্ত দুম্বা দ্বারা কুরবানী করলেন’।

[9] (খ) বিদায় হজ্জে আরাফার দিনে সমবেত জনমন্ডলীকে উদ্দেশ্য করে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন,يَآ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ عَلَى كُلِّ أَهْلِ بَيْتٍ فِىْ كُلِّ عَامٍ أُضْحِيَةً وَ عَتِيْرَةً... ‘হে জনগণ! নিশ্চয়ই প্রত্যেক পরিবারের উপরে প্রতি বছর একটি করে কুরবানী ও আতীরাহ’। আবুদাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আতীরাহ’ প্রদানের হুকুম পরে রহিত করা হয়। [10] উল্লেখ্য যে, ভাগা কুরবানীর হাদীছ সফরের সাথে সংশ্লিষ্ট, মুক্বীম অবস্থায় এটি প্রযোজ্য নয়। (৫) ‘কুরবানী ও আক্বীক্বা দু’টিরই উদ্দেশ্য আল্লাহর নৈকট্য হাছিল করা’ এই (ইসতিহসানের) যুক্তি দেখিয়ে কোন কোন হানাফী বিদ্বান কুরবানীর গরু বা উটে এক বা একাধিক সন্তানের আক্বীক্বা সিদ্ধ বলে মত প্রকাশ করেছেন (যা এদেশে অনেকের মধ্যে চালু আছে)। [11] হানাফী মাযহাবের স্তম্ভ বলে খ্যাত ইমাম আবু ইউসুফ (রহঃ) এই মতের বিরোধিতা করেন।

ইমাম শাওকানী (রহঃ) এর ঘোর প্রতিবাদ করে বলেন, এটি শরী‘আত, এখানে সুনির্দিষ্ট দলীল ব্যতীত কিছুই প্রমাণ করা সম্ভব নয়। [12] (৬) কুরবানী করার পদ্ধতি : (ক) উট দাঁড়ানো অবস্থায় এর ‘হলক্বূম’ বা কণ্ঠনালীর গোড়ায় কুরবানীর নিয়তে ‘বিসমিল্লা-হি আল্লাহু আকবার’ বলে অস্ত্রাঘাতের মাধ্যমে রক্ত প্রবাহিত করে ‘নহর’ করতে হয় এবং গরু বা ছাগলের মাথা দক্ষিণ দিকে রেখে বাম কাতে ফেলে ‘যবহ’ করতে হয়। [13] কুরবানী দাতা ধারালো ছুরি নিয়ে ক্বিবলামুখী হয়ে দো‘আ পড়ে নিজ হাতে খুব জলদি যবহের কাজ সমাধা করবেন, যেন পশুর কষ্ট কম হয়। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিজের ডান পা দিয়ে পশুর ঘাড় চেপে ধরতেন। যবহকারী বাম হাত দ্বারা পশুর চোয়াল চেপে ধরতে পারেন।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিজ হাতে যবহ করেছেন। অন্যের দ্বারা যবহ করানো জায়েয আছে। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতটি নিজ হাতে করা অথবা যবহের সময় স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করা উত্তম। ১০, ১১, ১২ যিলহাজ্জ তিন দিনের রাত-দিন যে কোন সময় কুরবানী করা যাবে। [14] (৭) যবহকালীন দো‘আ : (১) বিসমিল্লা-হি আল্লা-হু আকবার (অর্থ: আল্লাহর নামে, আল্লাহ মহান) (২) বিসমিল্লা-হি আল্লা-হুম্মা তাক্বাববাল মিন্নী ওয়া মিন আহলে বায়তী (আল্লাহর নামে, হে আল্লাহ! তুমি কবুল কর আমার ও আমার পরিবারের পক্ষ হ’তে)।

এখানে কুরবানী অন্যের হ’লে তার নাম মুখে বলবেন অথবা মনে মনে নিয়ত করে বলবেন, ‘বিসমিল্লা-হি আল্লা-হুম্মা তাক্বাববাল মিন ফুলান ওয়া মিন আহলে বায়তিহী’ (...অমুকের ও তার পরিবারের পক্ষ হ’তে)। এই সময় নবীর উপরে দরূদ পাঠ করা মাকরূহ’। [15] (৩) ‘বিসমিল্লা-হি আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হুম্মা তাক্বাববাল মিন্নী কামা তাক্বাববালতা মিন ইবরাহীমা খালীলিকা’ (...হে আল্লাহ! তুমি আমার পক্ষ হ’তে কবুল কর যেমন কবুল করেছ তোমার দোস্ত ইবরাহীমের পক্ষ থেকে)। [16] (৪) যদি দো‘আ ভুলে যান বা ভুল হবার ভয় থাকে, তবে শুধু ‘বিসমিল্লাহ’ বলে মনে মনে কুরবানীর নিয়ত করলেই যথেষ্ট হবে। [17] (৫) উপরোক্ত দো‘আগুলির সাথে অন্য দো‘আও রয়েছে।

যেমন ‘ইন্নী ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরযা ‘আলা মিল্লাতি ইবরাহীমা হানীফাঁও ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না ছালাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতী লিল্লা-হি রবিবল ‘আলামীন। লা শারীকা লাহু ওয়া বিযালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়া লাকা; (মিন্নী ওয়া মিন আহলে বায়তী) বিসমিল্লা-হি আল্লাহু আকবার’। [18] (৮) ঈদের ছালাত ও খুৎবা শেষ হওয়ার পূর্বে কুরবানী করা নিষেধ।

করলে তাকে তদস্থলে আরেকটি কুরবানী দিতে হবে। [19] (৯) গোশত বণ্টন : কুরবানীর গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজ পরিবারের খাওয়ার জন্য, এক ভাগ প্রতিবেশী যারা কুরবানী করতে পারেনি তাদের জন্য ও এক ভাগ সায়েল ফক্বীর-মিসকীনদের মধ্যে বিতরণ করবে। প্রয়োজনে উক্ত বণ্টনে কমবেশী করায় কোন দোষ নেই। কুরবানীর গোশত যত দিন খুশী রেখে খাওয়া যায়। [20] (১০) মৃত ব্যক্তির জন্য পৃথকভাবে কুরবানী দেওয়ার কোন ছহীহ দলীল নেই।

মৃত ব্যক্তিগণ পরিবারের সদস্য থাকেন না এবং তাদের উপরে শরী‘আত প্রযোজ্য নয়। অথচ কুরবানী হয় জীবিত ব্যক্তি ও পরিবারের পক্ষ হ’তে। এক্ষণে যদি কেউ মৃতের নামে কুরবানী করেন, তবে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (১১৮-১৮১ হিঃ) বলেন, তাকে সবটুকুই ছাদাক্বা করে দিতে হবে। [21] (১১) কুরবানীর গোশত বিক্রি করা নিষেধ। তবে তার চামড়া বিক্রি করে[22] শরী‘আত নির্দেশিত ছাদাক্বার খাত সমূহে ব্যয় করবে (তওবা ৬০)।

(১২) কুরবানীর পশু যবহ করা কিংবা কুটা-বাছা বাবদ কুরবানীর গোশত বা চামড়ার পয়সা হ’তে কোনরূপ মজুরী দেওয়া যাবে না। ছাহাবীগণ নিজ নিজ পকেট থেকে এই মজুরী দিতেন। অবশ্য ঐ ব্যক্তি দরিদ্র হ’লে হাদিয়া স্বরূপ তাকে কিছু দেওয়ায় দোষ নেই। [23] (১৩) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদুল ফিৎরের দিন কয়েকটি বেজোড় খেজুর খেয়ে ঈদগাহে বের হ’তেন এবং ঈদুল আযহার দিন ছালাত আদায় না করা পর্যন্ত কিছুই খেতেন না। [24] তিনি কুরবানীর পশুর কলিজা দ্বারা ইফতার করতেন।

[25] (১৫) কুরবানীর বদলে তার মূল্য ছাদাক্বা করা নাজায়েয। আল্লাহর রাহে রক্ত প্রবাহিত করাই এখানে মূল ইবাদত। যদি কেউ কুরবানীর বদলে তার মূল্য ছাদাক্বা করতে চান, তবে তিনি মুহাম্মাদী শরী‘আতের প্রকাশ্য বিরোধিতা করবেন। [26] (১৬) কুরবানীর বিবিধ মাসায়েল : (ক) পোষা বা খরিদ করা কোন পশুকে কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট করলে ও সেই মর্মে ঘোষণা দিলে তা আর বদল করা যাবে না। অবশ্য যদি নির্দিষ্ট না করে থাকেন, তবে তার বদলে উত্তম পশু কুরবানী দেওয়া যাবে।

(খ) কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট গাভিন গরু বা বকরী যদি কুরবানীর পূর্বেই জীবিত বাচ্চা প্রসব করে, তবে ঐ বাচ্চা ঈদের দিনগুলির মধ্যেই কুরবানী করবে। কুরবানীর পূর্ব পর্যন্ত বাচ্চার প্রয়োজনের অতিরিক্ত দুধ মালিক পান করতে পারবে বা তার বিক্রয়লব্ধ পয়সা নিজে ব্যবহার করতে পারবে। তবে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর মতে দুধ বা দুধ বিক্রির পয়সা ছাদাক্বা করে দেওয়া ভাল। অবশ্য কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট না করলে ও সেই মর্মে ঘোষণা না দিলে, সেটাকে যবহ করাও যেতে পারে, রেখে দেওয়াও যেতে পারে। (গ) যদি কুরবানীর পশু হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায়, তবে তার পরিবর্তে অন্য কুরবানী যরূরী নয়।

যদি ঐ পশু ঈদুল আযহার দিন বা পরে পাওয়া যায়, তবে তা তখনই আল্লাহর রাহে যবহ করে দিতে হবে। (ঘ) যদি কুরবানীর পূর্বে কুরবানী দাতা মৃত্যুবরণ করেন এবং তার অবস্থা এমন হয় যে, ঐ পশু বিক্রয়লব্ধ পয়সা ভিন্ন তার ঋণ পরিশোধের আর কোন উপায় নেই, তখন কেবল ঋণ পরিশোধের স্বার্থেই কুরবানীর পশু বিক্রয় করা যাবে। [27] ________________________________________ ১. মুসলিম, মিশকাত হা/১৪৫৯; নাসাঈ, মির‘আত হা/১৪৭৪-এর ব্যাখ্যা, ৫/৮৬। ২. আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/১৪৭৯ ‘আতীরাহ’ অনুচ্ছেদ; হাকেম (বৈরূত : তাবি), ৪/২২৩। ৩. আন‘আম ১৪৪-৪৫; মির‘আত ৫/৮১ পৃঃ।

৪. কিতাবুল উম্ম (বৈরূত : ছাপাঃ তারিখ বিহীন) ২/২২৩ পৃঃ। ৫. মুওয়াত্ত্বা, তিরমিযী প্রভৃতি মিশকাত হা/১৪৬৫, ১৪৬৩, ১৪৬৪; ফিক্বহুস সুন্নাহ (কায়রো ছাপাঃ ১৪১২/১৯৯২) ২/৩০ পৃঃ। ৬. মুসলিম, মিশকাত হা/১৪৫৫; নাসাঈ তা‘লীক্বাত সহ (লাহোর ছাপাঃ তারিখ বিহীন), ২/১৯৬ পৃঃ। ৭. মির‘আত (লাক্ষ্ণৌ) ২/৩৫৩ পৃঃ; ঐ, (বেনারস) ৫/৮০ পৃঃ। ৮. মির‘আত, ২/৩৫২ পৃঃ; ঐ, ৫/৭৮-৭৯ পৃঃ।

৯. মুসলিম, মিশকাত হা/১৪৫৪। ১০. তিরমিযী প্রভৃতি, মিশকাত হা/১৪৭৮। হাদীছটির সনদ ‘শক্তিশালী’ ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ১০/৬ পৃঃ; সনদ ‘হাসান’ আলবানী, ছহীহ নাসাঈ (বৈরূত : ১৯৮৮), হা/৩৯৪০। ১১. বুরহানুদ্দীন মারগীনানী, হেদায়া (দিল্লী : ১৩৫৮ হিঃ) ‘কুরবানী’ অধ্যায় ৪/৪৩৩; আশরাফ আলী থানভী, বেহেশতী জেওর (ঢাকা : এমদাদিয়া লাইব্রেরী, ১০ম মুদ্রণ ১৯৯০) ‘আক্বীক্বা’ অধ্যায় ১/৩০০ পৃঃ। ১২. নায়লুল আওত্বার, ‘আক্বীক্বা’ অধ্যায় ৬/২৬৮ পৃঃ।

১৩. সুবুলুস সালাম, ৪/১৭৭ পৃঃ; মির‘আত ২/৩৫১; ঐ, ৫/৭৫ প্রভৃতি। ১৪. ফিক্বহুস সুন্নাহ ২/৩০ পৃঃ। ১৫. মির‘আত ২/৩৫০ পৃঃ; ঐ, ৫/৭৪ পৃঃ। ১৬. মাজমূ‘ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিয়াহ (কায়রো ছাপাঃ ১৪০৪ হিঃ), ২৬/৩০৮ পৃঃ। ১৭. ইবনু কুদামা, আল-মুগনী (বৈরুত ছাপা : তারিখ বিহীন), ১১/১১৭ পৃঃ।

১৮. বায়হাক্বী ৯/২৮৭; আবু ইয়া‘লা, মির‘আত ৫/৯২; সনদ হাসান, ইরওয়া ৪/৩৫১। ১৯. মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৪৭২; মুসলিম, নায়ল ৬/২৪৮-২৪৯ পৃঃ। ২০. হজ্জ ৩৬; সুবুলুস সালাম শরহ বুলূগুল মারাম ৪/১৮৮; আল-মুগনী ১১/১০৮; মির‘আত ২/৩৬৯; ঐ, ৫/১২০ পৃঃ। ২১. তিরমিযী তুহফা সহ, হা/১৫২৮, ৫/৭৯ পৃঃ; মির‘আত ৫/৯৪ পৃঃ। ২২. আহমাদ, মির‘আত ৫/১২১; আল-মুগনী ১১/১১১ পৃঃ।

২৩. আল-মুগনী, ১১/১১০ পৃঃ। ২৪. বুখারী, মিশকাত হা/১৪৩৩; তিরমিযী, মিশকাত, হা/১৪৪০ সনদ ছহীহ। ২৫. বায়হাক্বী, মির‘আত ২/৩৩৮ পৃঃ; ঐ, ৫/৪৫ পৃঃ। ২৬. মাজমূ‘ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিয়াহ, ২৬/৩০৪; মুগনী, ১১/৯৪-৯৫ পৃঃ। ২৭. মির‘আত, ২/৩৬৮-৬৯; ঐ, ৫/১১৭-১২০; কিতাবুল উম্ম ২/২২৫-২৬।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.