আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আহত ছাত্রের মৃত্যু, ইজহারকে খুঁজছে পুলিশ, ম&#

হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলামের মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ছাত্র হাবিবের (২৫) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাত ২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গতকাল থেকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য মাদ্রাসাটি বন্ধ ঘোষণা করে। এদিকে গতকাল মাদ্রাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল আরও একটি তাজা হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করেছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় সিএমপি'র খুলশী থানা পুলিশ বিস্ফোরক ও এসিড নিয়ন্ত্রণ আইনে মুফতি ইজহারুল ও তার ছেলে মুফতি হারুন ইজহারকে আসামি করে দুটি মামলা করেছে। থানার এসআই গোলাম নেওয়াজ এ মামলা করেন। এদিকে মামলা হওয়ার পর থেকে পুলিশ মুফতি ইজহারুল ইসলাম ও তার ছেলে মুফতি হারুন ইজহারকে খুঁজছে পুলিশ। পুলিশ বলছে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

জানা গেছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হাবিব ওই মাদ্রাসার মাস্টার্স সমমানের ইসলামী আইন অনুষদের ফতোয়া বিভাগের ছাত্র। তার বাড়ি সিলেট। একই ঘটনায় আহত নূরুন্নবী (২৮) নামে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রের অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল সকালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, নরুন্নবীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বিস্ফোরণের পর আহত হাবিব হালিশহর জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে গোপনে চিকিৎসা নেওয়ার সময় সোমবার দুপুরে পুলিশ আটক করে। তার সঙ্গে সালমান নামে আরও একজন আটক হন। পরে দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আহত সালমানের অবস্থা কিছুটা ভালো বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক বাশার। এদিকে আহত নুরুন্নবীসহ আরও দুজন নগরীর সার্জিস্কোপ ক্লিনিকে গোপনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকালে আটক হয়।

উল্লেখ্য, সোমবার বেলা ১১টার দিকে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল পরিচালিত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ল্যাপটপ চার্জার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করলেও পরে তা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। মাদ্রাসাটির পরিচালক মুফতি ইজহারুল ও তার ছেলে হারুন ইজহারের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে। হরকাতুল জিহাদসহ (হুজি) আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বেশ কয়েকবার গ্রেফতারও হন এ দুজন। গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সন্তোষ চাকমা জানান, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভিযান চালানোর সময় মাদ্রাসা থেকে আরও একটি তাজা হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়। গত সোমবারও গ্রেনেড, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও এসিড উদ্ধার করা হয়। সিএমপি'র অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ মামলা দায়ের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিস্ফোরক আইনের মামলায় (৮ নম্বর) ১২ জন আসামি এবং এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন মামলায় (৯ নম্বর) ২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত লোকজনকে আসামি করা হয়েছে। বিস্ফোরক মামলায় আসামিরা হলেন, মুফতি ইজহারুল ইসলাম, তার ছেলে মুফতি হারুন ইজহার, আটক মাদ্রাসার প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক তফসির আহমেদ (৫০), শিক্ষক মো. এছহাক (৩৩), শিক্ষক আবদুল মান্নান (২৬) এবং শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান ও বোর্ডিং সুপার মনির হোসেন (৫৫)। এর মধ্যে হাবিব মারা গেছেন। আটক নুরুন্নবী ও সালমানকেও আসামি করা হয়েছে। এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন মামলায়ও মুফতি ইজহারুল ও মুফতি হারুন ইজহারকে আসামি করা হয়েছে। এর বাইরে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। এদিকে সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের হলেও মামলার তারিখ দেখানো হয়েছে ঘটনার দিন ৭ অক্টোবর। মুফতি ইজহারুল ও তার পুত্র হারুন ইজহার গোপনে গা ঢাকা দেওয়ার পর এদের আটকের অভিযান শুরু হলেও বিষয়টি সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত মুফতি ইজহার ঘটনাস্থলে তার বাসায় থাকলেও পুলিশ তাকে আটক করেনি। এদিকে হেফাজত নিয়ন্ত্রিত জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত অপর একটি মাদ্রাসায় মুফতি ইজহার অবস্থান করছেন খবর পেয়ে নগরীর চন্দনপুরা দারুল উলুম মাদ্রাসায় অভিযান চালালেও তার খোঁজ পায়নি পুলিশ। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। তবে নিষ্ফল এ অভিযানে মুফতি ইজাহারকে পাওয়া না গেলেও নগরীতে নাশকতার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন- মো. জাবেদ, মো. কফিল উদ্দিন, মো. মনির, আবদুল কাইয়ুম ও মিজানুর রহমান। এদের মধ্যে মিজানুর রহমানকে যাচাই-বাচাই করতে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মিজান দারুল উলুম আলীয়া মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.