বরিশালে স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদফতরের প্রায় পৌনে ১ কোটি টাকার দরপত্র জমাদানে সাধারণ ঠিকাদারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্র ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, দরপত্র জমার জন্য অতিরিক্ত সময় না দেওয়ায় নির্বাহী প্রকৌশলীকে অকথ্য গালগাল করেছেন তারা। নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকায় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে গতকাল দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে এ ঘটনা ঘটে। বরাবরের মতো স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী এফ এ মুরশিদ জানিয়েছেন, দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার ঘটনা তার কার্যালয়ে ঘটেনি। এ ধরনের কেনো অভিযোগও পাননি তিনি। তবে কয়েকজন দরপত্র জমাদানে অতিরিক্ত সময় চেয়েও না পেয়ে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদফতর সূত্র জানায়, সার্কের অর্থায়নে ভোলা ও পিরোজপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে বর্ধিত ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক মেরামতের ১৩টি কাজের দরপত্র জমার শেষ দিন ছিল গতকাল। ৬৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকার এই কাজের দরপত্র জমাদানকালে ভোলা ও বরিশালের ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতারা সাধারণ ঠিকাদারদের বাধা দেন। এদের নেতৃত্বে ছিলেন মহানগর যুবলীগের এক নেতার ভাই মনু সিকদার ও রিয়াজসহ অন্যরা। সোহেল নামে এক ঠিকাদার জানান, তারা দরপত্র জমা দিতে গেলে মনু নামে এক ব্যক্তি দরপত্র জমা দিতে বাধা দেন। পরে তিনি (মনু) সমঝোতার প্রস্তাব দেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করলে তিনি শেষ মুহূর্তে দরপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ পান। নাম প্রকাশ না কারার শর্তে আরেক ঠিকাদার অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডাররা তিনিসহ কয়েকজন ঠিকাদারকে দরপত্র জমা দিতে দেননি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।