অছাত্র, বিবাহিত ও মাদক ব্যবসায়ীকে সভাপতি এবং মোটর শ্রমিককে সাধারণ সম্পাদক করে ১৬ মাস পর গঠন করা হলো রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের প্রথম কমিটি! এ নিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি করা না হলে ৪০ ছাত্রলীগ কর্মী সংগঠন থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১২ সালে রংপুর শহর শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে মহানগর ঘোষণা করা হয়। তখন থেকে কোনো কমিটি ছিল না। ২৯ অক্টোবর গঠন করা কমিটি গতকাল হাতে পান নেতা-কর্মীরা। এতে ইউনুছ আলীকে সভাপতি, মওদুদ আহমেদ ও সোহেল রানা ইমন সহসভাপতি, রফিকুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক এবং শেখ আসিফ হোসেনকে যুগ্ম সম্পাদক করে এক মাসের মধ্যে ১২১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে বলা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক সুমন সরকার বলেন, 'ইউনুছ আলীর ছাত্রত্ব নেই। বাড়ি বগুড়ায়। দুই বছর আগে বিয়ে করে নগরীর হনুমানতলায় বোনের বাসায় থাকেন। তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।' একই অভিযোগ করেন ছাত্রলীগ কাচারিবাজার শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান সবুজ। তবে এ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন ইউনুছ আলী। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মোটর শ্রমিক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য। সেখান থেকে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে ভাতা পান। তবে ওই শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, রফিকুল কিছুদিন এই শাখার অধীন বিভিন্ন গাড়ি থেকে টোল তুলেছিল। রফিকুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করে রংপুর সরকারি কলেজের ছাত্র বলে দাবি করেন। তবে রংপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান অনু বলেন, রফিকুল সংগঠনের সদস্য নন ও দলীয় কর্মকাণ্ডে কোনোদিন অংশ নেয়নি। শীঘ্রই এই কমিটি বাতিল করা না হলে ৪০ নেতা-কর্মী কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান এই নেতা। রংপুর জেলা কমিটির নেতারা জানিয়েছেন, ইউনুছ আলীর অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে ২০১২ সালে কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজুর অনুরোধেই তাদের পদ দেওয়া হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।