নরসিংদীর পলাশে যুবদল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে ছাত্রলীগের গুলি ও আরও ছয় বিএনপি নেতা-কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে তিন বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন পাঁচজন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজৈর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ সমর্থক নাদিম ও বিএনপি সমর্থক খোরশেদ আলমকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলুর সঙ্গে একই এলাকার যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মেম্বারের দ্বন্দ্ব ছিল। এর জের ধরে উভয় গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার মারপিটের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গতমাসের মাঝামাঝি মোস্তফা মেম্বারের ছোট ভাই আসাদ্দুজ্জামানকে মারপিট করেন দেলুর সমর্থকরা। এ ঘটনায় মোস্তফা পলাশ থানায় দেলুর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে মোস্তফার ওপর আরো ক্ষিপ্ত হন দেলু। এরই জের ধরে সোমবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা মোস্তফার বাড়ির চার পাশে অবস্থান নেন। বিষয়টি বিএনপি ও যুবদলের সমর্থকরা টের পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দেন। এ সময় দেলুর সমর্থক নাদিমকে আটক করে বেধড়ক পিটুনি দেন বিএনপি নেতারা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেলুর নেতৃত্বে ৩৫/৪০ জনের একটি দল অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোস্তফার বাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকেন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। পরে ছাত্রলীগ নেতারা আরো ছয় বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালান। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে ছাত্রলীগ নেতারা গাঢাকা দিয়েছেন। ছাত্রলীগ নেতা দেলুর বিরুদ্ধে হত্যা, রাহাজানি , অপহরণ, ডাকাতি, দস্যুতাসহ পলাশ থানায় ১১টি মামলা রয়েছে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসাইন জানান, পূর্বশত্রুতা ও এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এরই জের ধরের ঘটনার সূত্রপাত। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। উভয় গ্রুপের দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।