আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘হত্যা, গণহত্যায় আলীম দায়ী’

এছাড়া পাঁচটি ঘটনায় হত্যা এবং লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে দেশত্যাগে বাধ্য করার একটি ঘটনাতেও আলীমকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-২ বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমের যুদ্ধাপরাধ মামলার এই রায় ঘোষণা করছে।  
আলীমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৭টি অভিযোগের মধ্যে প্রথম দুটিতে আলীম ‘লায়াবল’ বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। তবে তৃতীয় ও একাদশ অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেনি বলে বিচারক জানান।   
সাক্ষী না থাকায় চুতর্থ ও পঞ্চম অভিযোগ ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য বিবেচনা করেনি।

আর ষষ্ঠ থেকে দশম অভিযোগে বিভিন্ন স্থানে হত্যার ঘটনায় আলীমকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।  
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৭টি ঘটনায় ২০১২ সালের ১১ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই বিএনপি নেতার বিচার শুরু হয়।
সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-২ বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করবে।
আব্দুল আলীমকে ২০১১ সালের ২৭ মার্চ জয়পুরহাটে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচারের সময় বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে ছেলের জিম্মায় তাকে জামিন দেয়া হলেও গত ২২ সেপ্টেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক।

 
অভিযোগ ১: একাত্তরের ২০ এপ্রিল বিকাল ৫টার দিকে জয়পুরহাটের রাজাকার বাহিনীর একজন প্রভাবশালী নেতা এবং শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে পাকিস্তানি সেনা সদস্য এবং একদল সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার দমদমা গ্রামের মেহের উদ্দিন চৌধুরীর বাড়িতে হামলা চালান আব্দুল আলীম। এরপর বাড়ির সব মালামাল লুট করে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। ওই ঘটনার পর মেহেরউদ্দিন তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য হন।
এ ঘটনায় হামলা ও লুটপাট চালিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে।  
অভিযোগ ২: ১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মেজর আফজাল ও শান্তি কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে জয়পুরহাট থানার অধীনে হিন্দু অধ্যুষিত কড়ই কাঁদিপুর, চকপাড়া, সোনাপাড়া, পালপাড়া, মুন্সীপাড়ায় আক্রমণ চালান আলীম।

এরপর সেখানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের পর অনেককে আটক করে তারা।
পরে কাদিপুর আখের চুল্লির কাছে ৭০ জন, কাদিপুর ডোমপুকুরে ৯০ জন, চকপাড়ার কুড়ালপুরে ২৬ জন ও চকপাড়া কুড়ালপুরের কাছে রাস্তার উত্তর পাশে ৫ জনসহ মোট ৩৭০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ৯০ বছর বয়সী কাঞ্চিরা মোহনকে জবাই করে হত্যা করে রাজাকার সদস্যরা। অশ্বিনী কুমার দেবনাথকে জীবন্ত কবর দেয়া হয়।
এসব ঘটনায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর গণহত্যা চালানের অভিযোগ আনা হয়েছে আসামির বিরুদ্ধে।


অভিযোগ ৩: ১৯৭১ সালের ১৮ জুন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে আলীমের দেয়া তালিকা অনুসারে এবং তার নির্দেশে শান্তি কমিটির সদস্য রিয়াজ, মৃধা ও ১১জন পাকিস্তানি সেনা সদস্যরা পাঁচশ সাধারণ মানুষকে আটক করে জনৈক আফাজের বাড়ির উঠানে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে ২৮ জনকে স্বাধীনতার পক্ষের এবং আওয়ামী লীগের পক্ষের লোক বলে চিহ্নিত করা হয়, বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়। ওই ২৮ জনকে হাত বেঁধে একটি ঘরে নিয়ে যাওয়ার পর ২২ জনকে হত্যা করা হয়। বাকিরা কোনোক্রমে পালিয়ে যান।
আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এ ঘটনায়।


অভিযোগ ৪:  ১৯৭১ সালের মে মাসে আলীমের নির্দেশে ও উস্কানিতে তার সহযোগী শান্তি কমিটির ও রাজাকার সদস্যরা পাকিস্তানী সেনা সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে পাঁচবিবি বকুলতলা রেললাইনের কাছে যান। তারপর তারা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে কোকতারা, ঘোড়াপা, বাগজানা ও কুটাহারা গ্রামে যায় এবং বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। সেখান থেকে ১৯ জনকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যাও করা হয়।
এ ঘটনায় হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ ৫: ১৯৭১ সালের মে মাসের ৬ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে আলীমের নির্দেশে শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা জয়পুরহাটের দক্ষিণ পাহুনন্দ ও পাগলা দেওয়ান গ্রামে যায় এবং স্থানীয়দের দিয়ে গর্ত খুঁড়িয়ে ৬৭ জন হিন্দুকে মাটিচাপা দেয়।

এদের মধ্যে সাতজনকে গ্রামবাসীর সামনেই হত্যা করা হয়।
আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এ ঘটনায়।
অভিযোগ ৬: একাত্তরের মে মাসের প্রথম দিকে আলীমের সহযোগী শান্তি কমিটি ও রাজাকার সদস্যরা জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে আব্দুস ছালাম, আব্দুল কুদ্দুস, সমিরউদ্দিন মণ্ডল, আবুল হোসেন মাঝি, আজিম হোসেনমাঝি, আব্দুর রহমান মে¤¦ার, এবারত আলী মণ্ডল, আব্দুস ছাত্তার ও ফজলুর রহমানসহ ১০ জনকে ভারত যাওয়ার পথে আটক করে। পরে আলীম তাদের হত্যা করার নির্দেশে দিলে ওই ১০ জনকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয়।   হস্তান্তর করা হয়।

পরে এদের মধ্যে নয়জনকে পাঁচবিবি থানার বাগজানা পুরনো রেলওয়ে স্টেশনের কাছে কোকতারা বকুলতলার পুকুর পাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে মোফাজ্জল নামে একজন প্রাণে বেঁচে যান।
আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এ ঘটনায়।
অভিযোগ ৭: ১৯৭১ সালের ২৬ মে রাজাকার সদস্য ও পাকিস্তানি সেনারা জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার নওদা গ্রাম আক্রমণ করে। সেখান থেকে ইলিয়াস উদ্দিন সরদার, ইউসুফ উদ্দিন সরদার, ইউনুস উদ্দিন সরদার ও আব্দুল কাদের মণ্ডল নামে চার যুবককে আটক করে বালিঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে নিয়ে যায়।

আব্দুল আলীমের পরামর্শে ও প্ররোচনায় ওই দিন সন্ধ্যায় কালী সাহার পুকুর পাড়ে নিয়ে তাদের গুলি করে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দেয়া হয়।
এ ঘটনায় আলীমের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে হত্যার অভিযোগ।
অভিযোগ ৮: একাত্তরের মে মাসের প্রথম দিকে পাকিস্তানি মেজর আফজালকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষেতলাল থানার ‘উত্তরহাট’ এলাকায় একটি সমাবেশে যান আলীম। সেখানে তিনি বলেন, “হিন্দুদের ক্ষমা করা যাবে না। এদের যা পাও লুট করে নাও”।

  এরপর মে মাসের শেষদিকে হিন্দুপল্লী, উত্তরহাট শহর, হারুনজাহাট এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়। ওই এলাকা থেকে ১০ জন হিন্দুকে ধরে শওনলাল বাজলার গদিঘরে শান্তি কমিটির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আলীমের নির্দেশে তাদের খঞ্জনপুর কুঠিবাড়ি ঘাটে নিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে আলীমের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ ৯: ১৯৭১ সালের ১৪ জুন আক্কেলপুর হয়ে বগুড়া যাওয়ার সময় ১৫ জন যুবককে মুক্তিযোদ্ধা সন্দেহে আটক করে শান্তি কমিটির সদস্যরা।

তাদের শওনলাল বাজলার গদিঘরে নিয়ে আটকে রাখা হয়। মেজর আফজালের সঙ্গে পরামর্শ করে ওই যুবকদের হত্যার নির্দেশ দেন আলীম। পরে পশ্চিম আমাত্রা গ্রামে নিয়ে তাদের নির্যাতন করে হত্যা করে গণকবর দেওয়া হয়।
এ ঘটনাতেও আলীমের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগ ১০: একাত্তরের জুন মাসের শেষ দিকে আব্দুল আলীম জয়পুরহাট সদর রোডের শওনলাল বাজলার গদিঘরে শান্তি কমিটির অফিসে বসে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ সন্দেহে পাহাড়পুর থেকে ধরে আনা ২৬ যুবককে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

এরপর দুটি ট্রাকে করে ওই যুবকদের জয়পুরহাট রেলস্টেশনের পশ্চিমে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে হাতে অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে ছবি তোলা হয়। ছবিসহ নেগেটিভগুলো আলীম নিয়ে গেলেও স্থানীয় ‘আলোখেলা’ স্টুডিওর মালিক এইচ এম মোতাছিম বিল্লাহ কয়েকটি ছবি নিজের কাছে রেখে দেন। ছবি তোলার পর ওই ২৬ যুবককে  ট্রাকে তুলে জয়পুরহাট সরকারি কলেজে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
আলীমের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় গণহত্যার অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগ ১১: মুক্তিযুদ্ধের সময় জুন মাসের শেষের দিকে কয়েকজন গাড়োয়াল এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনসহ মোট ২৬ জনকে আটক করা হয়।

এরপর আলীমের নির্দেশে খঞ্জনপুর কুঠিবাড়ি ব্রিজের কাছে নিয়ে গুলি হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
আলীমের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এ ঘটনায়।
অভিযোগ ১২: একাত্তরের ২৪ জুলাই আলীমের নির্দেশে রাজাকাররা জয়পুরহাট থানা দেবীপুর কাজীপাড়া এলাকা থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ডা. আবুল কাশেমকে ধরে তেঘর ব্রিজ রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে সারারাত আটকে রাখে। পরদিন তাকে শওনলাল বাজলার গদিঘরে নিয়ে আসা হয়। আলীমের নির্দেশে ২৬ জুলাই খঞ্জনপুর কুঠিবাড়ি ব্রিজের কাছে নিয়ে হত্যা করা হয় কাশেমকে।


এ ঘটনায় আসামির বিরুদ্ধে আনা হয়েছে হত্যার অভিযোগ।
অভিযোগ ১৩: ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আলীমের নির্দেশে ও পরামর্শে ১১ যুবককে আটকের পর ট্রাকে করে জয়পুরহাট সরকারি ডিগ্রি কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের ভারতের চর আখ্যায়িত করে হত্যার নির্দেশ দেন আলীম। এরপর তাদের ট্রাক থেকে নামিয়ে বারঘাটি পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
আলীমের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এ ঘটনায়।


অভিযোগ ১৪: ১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল করিমসহ তিনজনকে আটক করে জয়পুরহাট সিও অফিসে নিয়ে যায় রাজাকার সদস্যরা। পরে আলীমের নির্দেশে তার উপস্থিতিতেই ওই তিনজনকে মুখে চুনকালি লাগিয়ে জয়পুরহাট শহর প্রদক্ষিণ করানো হয়। খঞ্জনপুর কুঠিবাড়ি ঘাটে নিয়ে নির্যাতনের পর তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় আলীমের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগ ১৫: একাত্তরের ২৫ আগস্ট পাঁচবিবি থানার সোলেমান আলী ফকির এবং তার দুই বন্ধু আব্দুস সামাদ মণ্ডল ও উমর আলী মণ্ডলকে পাঁচবিবি বাজারে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এরপর আলীমের নির্দেশে তাদের ওপর নির্যাতন চলে। পাকিস্তানি সেনাদের ওই ক্যাম্পে আরও ২৫ জনকে আগে থেকেই আটকে রাখা হয়েছিল। আসামি আলীম ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন কর্নেল চিনি কলের ক্লাবঘরে ‘কোর্ট’ বসিয়ে তাদের ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেয়। ওই ২৫ জনকে আট রাতে পর্যায়ক্রমে হত্যা করা হয়।
আলীমের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এ ঘটনায়।


অভিযোগ-১৬: মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ২৫ অক্টেবর থেকে পাঁচবিবি থানার সুলাইমান আলী ফকির, আফতাব হোসেন, আব্দুল খালেক ও আব্দুস সামাদসহ ২৫ জনকে জয়পুরহাট চিনিকলে আটকে রাখা হয়। আটকের নবম দিনে ওই চিনিকলের ক্লাবঘরে একটি ‘আদালত’ বসানো হয়, যেখানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন কর্নেল ছিলেন ‘বিচারক’। ওই কর্নেলকে আলীম বলেন, এদের ছেড়ে দিলে এরা ভারতে পালিয়ে গিয়ে ‘রিপোর্ট’ করবে। তবে কর্নেল তাদের ছেড়ে দিলে চারজন ভারতে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় অপহরণ ও আটকে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে আলীমের বিরুদ্ধে।

  অভিযোগ ১৭: একাত্তরের নভেম্বরে ইস্ট পাকিস্তান রেজিমেন্টের ১৭ উইংয়ের সুবেদার মেজর জব্বল হোসেন আহত অবস্থায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার ধূরোলি গ্রামের নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এ খবর পেয়ে ওই বছরের ঈদুল ফিতরের দিন আলীমের নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও রাজাকাররা নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায় এবং জব্বল হোসেনকে আটক করে জয়পুরহাটে নিয়ে যায়। পরে জব্বল হোসেনের আত্মীয়রা জানতে পারেন, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
এই ১৭টি ঘটনার মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম অভিযোগে কোনো সাক্ষী উপস্থাপন করেনি প্রসিকিউশন।
গতবছর ৬ আগস্ট এ মামলায় প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

চলতি বছরের ২২ অগাস্ট প্রসিকিউশনের ৩৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
আসামিপক্ষের তিন জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় ২৭ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.