আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৯৭২ এর পরবর্তী৩০০০০ জাসদ হত্যা আর আজকের বিএনপি জামাত হত্যা একই সূত্রে গাথা



গণতন্ত্র আর স্বৈরতন্ত্রর উভয় রুপ আপরা বাংলাদেশে দেখেছি। কিন্তু বাকশাল নামক স্বৈরতন্ত্রটা কেন জানি ইতিহাসে কলঙ্কের তিলক রুপ ধারন করে আছে। কারনটা আমার যেটা ধারনা সেটা হল মুক্তিসংগ্রামে শেখমুজিবের নেতৃত্ব বাংলাদেশের মানুষের মনে তার প্রতি একটা বিমূর্ত ধারণা বাংলাদেশের মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছিল কিন্তু সেই মুজিব যখণ বাংলার মানুষকে শোনাল স্বৈরতন্ত্রের হুশিয়ার, দেখাল রক্ষীবাহীনীর বর্বরতা, দুর্ভক্ষ এনে দিল ঘরে ঘরে তখন সেই মানুষগুলো আর মুজিবকে সেই সন্মানের জায়গায় রাখতে পারিনি তাকে নামিয়ে দিয়েছিল পদতলে, মিষ্টিবিতরণের মাধ্যমে মনের গহীন কোণ থেকেও তার স্মৃতিটুকু মুছে ফেলেছিল।

আফসোস একটা জাতির জন্য তাদের মুক্তির নেতাকে ভুলে যেতে হয় তারই কারণে।

আর ভুলবেনা কেন।

ইতিহাস পড়লে আমরা দেখতে পায় রক্ষীবাহীনীর নির্মমতা নৃশংসতা,পৈশাচিকতা,অমানবিকতা। দেখতে পাই তাদেরকে মানুষকে পাকরাও করার নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেওয়ার পর দুর্বল মানুষের হাহাকার চিৎকার। তারই ধারা বাহিকতাই শেখমুজিবের লালবাহিনী দাবরাই দেওয়ার হুমকি।
দেখতে পাই সর্বহারা পার্টর সিরাজশিকদারকে পুলিশ এনকাউন্টারে হত্যা করে শেখ মুজিবের সংসদে হুঙ্কার কোথায় আজ সিরাজ শিকদার।

এর পরেই দেখতে পাই রক্ষীবাহীনীর লুটপাট, ভাঙচুর, হত্যা, ধর্ষণ।



কিন্তু এসবের কোন বিচার হয়নি। বরং শেখমুজিব রক্ষীবাহীনীকে তার দলের লোক উল্লেখ করে তাকে বলতে শুনেছি “ পাকিস্থান আমলে আমার লোকেরা যেভাবে নিপিড়ীত হয়েছে তা একটু এসব করলে দোষটা কোথায়”।

এর পরেই আমরা দেখি সারা দেশে শেখ মুজিবের বীরোধী যাতে কউ না থাকে সেই জন্য বীরোধীদের হত্যাকরতে রক্ষীবাহীনীর সদস্যদের নগ্ন হামলা।
আর তার ফলশ্রুতিতে একমাত্র বীরোধী দল হিসেবে সোচ্চার থাকা জাসদের ৩০০০০ হাজার কর্মীকে নির্মম হত্যা করতে।

ঠিক তেমনি আজকের প্রেক্ষাপটটা দাড়িয়েছে সেখানে গিয়েই।

আজ শেখমুজিবের কণ্যাও ঠিক একই রুপ নিয়ে দাড়িয়েছে। কোন বাচবিচার নাকরে তিনি একতরফা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বীরোধীদেরকে। এমন একটা পরিস্থিতি যে তিনি হল এই দেশের মালিক আমরা তার অনুকম্পা প্রার্থী। তিনি যা বলবেন সেটাই সংবিধান, তিনি যা করবেন সেটাই নীতী। তার বীরোধীতা করা মানেই দেশদ্রোহিতা এবং যে এটা করবে সে হল সন্ত্রাসী।



বীরোধীদলকে ডাকাত বলার ইতিহাস অনেক পুরানো। পাকিস্থান আমলেও ইয়াহিয়া-ভূট্টো বীরোধীদলকে ডাকাত বলেছে। কিন্তু আমার কথা হল বর্তমানন বীরোধী জোটির এ পর্যন্ত আন্দোলনে ৩০০ এর উপরে কর্মী মারা গেছে আর পুলিশ মরেছে নয় জন, সাধারণ মানুষ মরেছে ১১ জন। তাহলে সন্ত্রাসী তারা কেমনভাবে করল যে তাদেরই লোক মারা গেল ৩০০। যদিকিনা সাধারণ মানুষ মরত ৩০০ তাহলে বলতে পারতাম তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে।



অথচ আমরা দেখি আওয়ামীলীগের লোকদের নির্মমভঅবে একজন মহিলা আইনজীবীকে মারতে আরও দেখি তাদের পুরুষাঙ্গ দেখাতে আমাদের পবিত্র সুপ্রিমকোর্টর দিকে। আরওতো পূর্বর ইতিহাস আছে।

তাহলে বিনা কারণে বীরোধীদলের লোকজনকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে তাদের পুলিশি এনকাউন্টারে হত্যা করা, তাদের গুলি করে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া , তাদের ঘড়বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া, তাদের মিছিলে সরাসরি গুলি করে হত্যা করা, তাদের বাড়ি থেকে ধরে এনে নির্মমভাবে অত্যাচার করা, তাদের মাবোন দের লাঞ্চিত করা, তাদের উপর কেসের উপর কেস দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে নির্মমভাবে অত্যাচার করা এগুলো কিসের লক্ষণ, এগুলো কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে!
আমরা কিসের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি।

আজ বীরোধীদলের কউ বাসায় অবস্থান করতে পারে না। তাদের উপর চালানো হচ্ছে মানসিক অত্যাচার ।



এইগুলো আসলে মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা ।

একটা রাজনৈতিক দলের কর্মীকে সরাসরি পাখির মত গুলি করে হত্যা করা এটা কি মানা সম্ভব!!!!!!!!
এটা কেমনে সহ্য করা যায়!!!!!!!!!!

এত হিটলারের নির্মমতাকে হার মানাচ্ছে!!!!

এইরকম চলতে থাকলে জনগণ হয়ত কোন একদিণ আবার আনন্দের উচ্ছাসে আবার মিষ্টি বিতরণ করতে বাধ্য হবে।

এমনিই এখন গুঞ্জন শুনি জনগণ মনে মনে চাচ্ছে আর একজন মেজর ডালিমকে।

আসলেই এগুলো মেনে নেয়া কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। ধৈর্যর বাধ যেন ভেঙে যাচ্চে।



কোন মা তার সন্তানের, কোন ভাই তার ভাইয়ের, বা্প তার ছেলের এই রকম পাখির মত গুলি করে মৃত্যুবরণ মেনে নিতে পারে না।

এটা কারও পক্ষে মানা সম্বভ বলে আমার মনে হয়না।

সেই ৭১ এর রক্ষীবাহীনীর নির্মমতা যদি আবার ফিরে আসে তাহলে আমরা কউ এটা থেকে বাদ পড়ব না। কারণ সেই সময় রক্ষীবাহীনীর হাত থেকে মুক্তিযোদ্ধারাও রেহায় পায়নি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.