আজ প্রায় ৩ দিন। সন্ধ্যা নামতেই আমাদের বাসায় সুমধূর রোমান্টিক গানের সব সুর ভেসে বেড়ায়। যেমন ধরুন- ”এক পায়ে নুপুর, তো আরেকটা খালি। ” অথবা
”যদি হিমালয় আল্পসের বরফ গলে যায়,........তুমি আমার। ” গ্লোবাল ওয়ামিং এর সবল ধাক্কায় হিমালয়ের বরফ গললেও, আমার ¯ত্রী কেন জানি BSRM ষ্টীলের মত জমে বসে আছে।
কপালের ফের কি আর করা- অবোধ শিশু সন্তানটিকে শেষ পর্যন্ত বান কি মুন বানিয়ে সর্ম্পক উন্নয়নের দায়িত্ব দিতে হলো। দুষ্টজনেরা প্রায়ই বলে-” তুই বেটা, বিয়ের রাতে বিড়াল না মেরে, এ ভেজাল বাজিয়েছিস। আরে মামা, ”ন্যাশনাল জিওগ্রাফি” চ্যানেল এর একনিষ্ঠ দর্শক, কি করে এমন শান্ত শিষ্ট প্রানীটিকে পিটানোর দায় নিতে পারে। উপরন্তু বাসর রাতে জনস্বার্থমূলক কার্যাদি বাদ দিয়ে, এহেন আনপ্রোডাক্টিভ কাজে হাত দেয়া- মূর্খতার শামিল নয় কি???
যাহোক ”আত্নঘাতী বাঙ্গালী”র (স্যার নীরোদ চন্দ্র ক্ষমা করবেন) বৃন্তান্তটা অনেকটা এরুপ-
সন্ধ্যা ৮.০০ টার মত বাজে। টিভি রুমে ”ষ্টার জলসা”-কে ঘিরে আরেক জলসা।
আমার স্ত্রী প্রতিদিনের মত তার 3G বূয়া সমভ্যিহারে (তিন প্রজন্মের বূয়া দল- নাবালক থেকে বৃদ্ধ) সিরিয়াল দেখছেন। সন্মানিত অংশগ্রহনকারীবৃন্দ একটানা ৭ মি: ধরে এ ডেইলী সোপ দেখেন, অত:পর বিজ্ঞাপন বিরতির ৩ মিনিট নাট্যতত্ত্ব নিয়ে গূঢ গম্ভীর আলোচনা করেন। অফিস শেষে আমি এলাম, নাস্তা খেলাম, উপস্থিতি জানাতে বার কয়েক কর্কশভাবে গলাখাকারি দিলাম; সারা ঘরে অ্যারোসল স্প্রে করলাম। যা: বাবা, কোন রেমপন্সই নেই।
নাহ আর পারা গেল না, জ্বলে উঠলাম আপন শক্তিতে।
বির্তকিত অভিযান পরিচালনা করে ”শাপলা চত্বর” খালি করলাম। বাসার পুরো পরিবেশটাই পাল্টে নিশ্চুপ হয়ে গেল, সাথে আমার বউটাও। ।
ইংরেজীতে একটা প্রবাদ আছে, টাইম ইজ দি বেষ্ট হিলার। তাই সময়ের পানে চেয়ে আছি, আর বেশী বেশী ভালবাসার জিকির ফিকির করছি।
আফসোস গানটা আমার গলায় ঠিক যায় না, নতুবা রবি বাবুর দুই টান গেয়েই দিতাম-
”সখি বহে গেল বেলা, শুধু হাসি খেলা,
এ কি আর ভালো লাগে, সখি। । । । ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।