আগামীকাল সোমবার পালিত হবে পবিত্র হজ্ব। এ উপলক্ষে হাজিরা এখন মিনায় অবস্থান করছেন। শনিবার তারা মক্কা থেকে মিনায় পৌঁছেছেন। কেউ গেছেন গাড়িতে চড়ে, কেউবা পায়ে হেঁটে। মিনা থেকে সোমবার ভোরে হাজিরা পৌঁছবেন হজ্বের মূল অনুষ্ঠানস্থল আরাফাতের ময়দানে।
সোমবার ৯ জিলহজ (বাংলাদেশে ৮ জিলহজ) ফজরের নামাজের সময় থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজিরা থাকবেন আরাফাতের ময়দানে। ওই দিন রাতে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন হাজিরা। পরদিন ভোরে সেখান থেকে আবার মিনায় ফিরবেন।
হজের অংশ হিসেবে হাজিরা ৭ থেকে ১২ জিলহজ পাঁচ দিন মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় অবস্থান করবেন।
৮ জিলহজ মিনায় সারা দিন এবং ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরবর্তী আরাফাতের ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন তারা। আরাফাত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন হাজিরা। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে জামারায়ে আকাবায় (বড় শয়তানকে) কঙ্কর বা ছোট পাথর মারা, কোরবানি ও মাথা মুড়িয়ে বা চুল ছেঁটে মক্কায় কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন।
হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে যারা আগে মদিনায় যাননি তারা মদিনায় যাবেন।
সেখানে হাজিরা সাধারণ ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। পরে শুরু হবে হাজিদের দেশে ফেরার পালা। এবার বাংলাদেশ থেকে ৯০ হাজারের বেশি হাজি অংশগ্রহণ করেছেন।
এদিকে হাজিদের সেবায় মিনায় কিছুদূর পরপরই রয়েছে হাসপাতাল। সেখানে চলছে সার্বক্ষণিক সেবাদান।
হাজিদের যেন কষ্ট না হয় সে জন্য মিনায় যাওয়ার সব রাস্তা যানজটমুক্ত রাখা হয়েছে। এছাড়া হাজিরা চৌচালা ঘরের মতো যে তাবুগুলোয় থাকছেন তার ভেতর রয়েছে পর্যাপ্ত আলো ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা। এসব তাবুতে রয়েছে শৌচাগার, পানির কল, এমনকি টেলিফোন সংযোগও।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।