ঢাকার বিভিন্ন মন্দিরে দুর্গা পূজায় বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভূয়সী প্রশংসা করেছে ভারতের শীর্ষ দৈনিক 'টাইমস অব ইন্ডিয়া'। প্রতিবেদনের শিরোনামে বলা হয়েছে ‘ঢাকার মন্দিরে পূজার জন্য সবার দরজা খোলা। ’ রবিবার টাইমস অব ইন্ডিয়া'র অনলাইন ভার্সনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে অনুষ্ঠিত পূজায় হিন্দু-মুসলমানের চমৎকার মেলবন্ধনের বিষয়টি তুলে ধরে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাপূজা অন্যন্য বহু কারণে। ৮০০ বছরের পুরানো ঢাকেশ্বরী মন্দিরের মতো মন্দির পৃথিবীর আর কোথাও নেই।
প্রতিদিন এই মন্দিরে যেমন ওড়ে জাতীয় পতাকা তেমনি সরকারি কোনো শোক দিবসে তা থাকে অর্ধনমিত। পূজার সময় এই মন্দিরে শুধু যে দেশের ১৪ লাখ হিন্দু আসেন তা নয়, একইসঙ্গে বিপুল পরিমান মুসলিমও আসেন। এমনকি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপির জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদরাও এখানে এসে অভিনন্দন জানিয়ে যান।
প্রতিবেদনে এক নারীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়, তার ওপর একাধিকবার হামলা হলেও তিনি এখনো বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ। যা এই দুর্গা পূজাতে আরো ভালোভাবে বোঝা যায়।
পূজায় মন্দিরের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে প্রতিবেদনে লেখা হয়, ওই মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে দেওয়া উৎকৃষ্টভাবে রান্না করা ভুনা খিচুড়ি। খাওয়ার জন্য প্রচুর দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। এমনকি মুসলমানরাও থাকে এই লাইনে। এছাড়া ঢাকার সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডারে পূজা শুরু হওয়ার আগে হওয়া বিজয়া সম্মিলনী অন্যতম প্রধান ইভেন্ট হিসেবে রয়েছে।
মহানগর সার্বজনিন পূজা কমিটির প্রধান বাসুদেব ধর বলেন, দুর্গা পূজা আমাদের জন্য সামাজিক সেবা ও নিজেদের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ানোর অন্যতম মাধ্যম।
এই কমিটি সারা শহরে মোট ২১২টি পূজা পরিচালনা করছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।