মানব সেবাই আমার মূল ধর্ম
বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি আমেরিকা ও তার মিত্রদের বিগত দিনগুলিতে মুসলিম দেশ গুলিই যে ছিল তাদের একমাত্র টার্গেট তা আর বুঝার বাকি রহিল না। গত দুই দশক যাবত আমেরিকা মারনাস্ত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্র হিসাবে বেছে নিয়েছে মুসলিম জাহানের পবিত্র মাটি। নিছক ছোট-খাটো আঞ্চলিক ও আভ্যন্তরীন দ্বন্দকে কাজে লাগিয়ে হুমকি-ধমকি অতঃপর লক্ষ লক্ষ টন বোমার বিস্ফোরন। সর্বশেষ নিজস্ব প্রশাসন বসিয়ে হাজার হাজার মাইল দূর থেকে হোয়াইট হাউসে বসে দেশ পরিচালনা। এমনটি কিন্তু মুসলিম দেশ ব্যাতিত অন্যান্য দেশের বেলায় ঘটছে না।
যেমনটি ঘটেছে ইরাক, আফগানিস্তান, লেবানন, ফিলিস্তিনসহ বিরোধ পূর্ন অন্যান্য মুসলিম দেশ সমূহের বেলায়। ইসরাইল সর্বদাই আমেরিকার আদেশে আদিষ্ট হয়ে ফিলিস্তিন ও লেবাননে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। কিন্তু সেখানে আমেরিকার দৃষ্টিতে ইসরাইলের আত্যরক্ষার অধিকারের বুলি। জাতিসংঘ (আমেরিকা সংঘ) ও বুশ প্রশাসনের অনুরোধ উপেক্ষা করে উত্তর কুরিয়া শুধু পারমানবিক বোমাই তৈরী করেনি তার পরীক্ষা ও চালিয়েছে। অপরদিকে পাকিস্তান ও ভারত পারমানবিক বোমা তৈরীর গোপন প্রস্তুতি কালে হুংকার ছড়ালেও পরবর্তিতে পারমানবিক বোমা নিরস্ত্রীকরন চুক্তিতে সইয়ের পরিবর্তে ভারতের সাথে পারমানবিক বিনিময় চুক্তি সম্পাদন করেছে।
পাকিস্তান আমেরিকার গৃহপালিত মুসলিম দেশ। সুতরাং যাবে কোথায়? এ সবই পৃথিবী নামক গ্রহ থেকে মুসলিম জাতিকে নিশিহ্ন করার সম্মলিত প্রয়াস। তারই ধারাবাহিকতায় বুশ এর কুদৃষ্টি পড়েছিল অপর পারস্ব উপসাগরীয় মুসলিম দেশ ইরানের দিকে। ইরাক তথা মুসলিম বিশ্বের প্রতিবাদী কন্ঠ সাদ্দাম হোসেনকে রশিতে ঝুলিয়ে পবিত্র ঈদের দিন ফাসির রায় কার্যকর করার পর বুশের দীর্ঘ দুই দশকের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলো। বিশ্বব্যাপী অপেক্ষাকৃত দূর্বল জনগোষ্টীর স্বার্থ রক্ষায় এবং শক্তিধর দেশগুলির আগ্রাসন থেকে নিজের জাতিগত ঐতিহ্য আর ভূ-খন্ড রক্ষার প্রত্যয় নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত হলেও জাতিসংঘ তখন আমেরিকার দৃতীয় হোয়াইট হাইস হিসেবেই খ্যাত ছিল বলে আমি মনে করি।
তাই সে সময় ৫৫০ কোটি মানুষের আবেগ প্রতিবাদ এমনকি নিজ দেশের মানবতা বাদীদের ধিক্কার সত্বেও বিশ্ব মানবতার চিরদুশমন বুশগং (বুশের বা ও তার কুলাজ্ঞার পুত্র কন্ডোলিসা রাইস প্রমূখ) রা এমন একটি সময়ে সাদ্দামের ফাসিঁ কার্যকর করেছে। যেদিন পৃথিবী জুড়ে ফাঁসির আসামীসহ অন্যান্য আসামীদের কারাগারে ভাল খাবার দাবার পরিবেশন করা হয় এ উপলক্ষে সাজা ও মওকুফ পায় অনেকে। এখন প্রশ্ন হল বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যারা মানবাধিকার লংঘন, দূর্নীতি , অত্যাচার নিপীড়নের কাঠগড়ায় দাড় করায় যে জাতিসংঘ। তারা কি পারবে ক্ষমতাহীন বুশ ও তার মিত্রদের মানবাধিকার লংঘনের দায়ে ফাসির কাষ্টে ঝুলাতে? না পরেনি পারবেও না? সে আদালত কবে হবে তা জানি না তবে তা দেখার জন্য যদি আমি নাও বাচি প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম অপেক্ষায় থাকবে বলে আমি মনে করি। তথ্য সূত্রঃ কুমিল্লার ডাক ডট কম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।