শেষ মূহুর্তে এসে দর্শকদের হৃদস্পন্দন কিছুটা বাড়িয়ে দিলেও অবশেষে সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সিরিজটি দখলে নিল বাংলাদেশের টাইগাররা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিল বাংলাদেশ।
গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৪০ রানে পরাজিত করেছে মুশফিকবাহিনী। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। জবাবে ২০৭ রানেই গুটিয়ে যায় ব্ল্যাক ক্যাপসদের ইনিংস।
২০১০ সালের পর আরো একবার নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ এসেছে মুশফিকবাহিনীর সামনে।
তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওয়ানডে রান সংগ্রাহক। গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামার আগে অবশ্য সাকিবের পেছনেই ছিলেন। তবে ক্যারিয়ারের ২৫ নম্বর হাফ সেঞ্চুরি (৫৮) তামিমকে সাকিবের উপরে তুলে দিল।
১২৪ ম্যাচে তামিমের সংগ্রহ ৩ হাজার ৭০২ রান। ১২৯ ম্যাচে সাকিবের সংগ্রহ ৩ হাজার ৬৮৮ রান। তামিম ইকবালের এই হাফ সেঞ্চুরিই বাংলাদেশকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেয়।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করার সুবিধা পেয়েছিল টাইগাররা। গতকাল টস জয়ের পরও তাই ব্যাটিংটাই নিলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
তামিম-শুভর ধীর-স্থির ব্যাটিংয়ে প্রথম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশ ৬৩ রান সংগ্রহ করে। শুভ ২৫ রান করে বিদায় নিলেও তামিম-মুমিনুল দলের হাল ধরেন। দলীয় ১১০ রানে ফিরে যান মুমিনুলও (৩১)।
অধিনায়ক মুশফিককে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান তামিম। দলীয় ১৩৬ রানে এন্ডারসনের বলে আউট হন তিনি।
এরপর মুশফিকও ৩১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। টাইগাররা বাকি পথটুকু পাড়ি দেয় সোহাগ গাজী (২৬), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (২১), নাঈম (১৬) ও মাশরাফির (১৪) ব্যাটে। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৪টি করে উইকেট শিকার করেন জেমস নিশাম ও কোরি এন্ডারসন। এ ছাড়াও একটি করে উইকেট শিকার করেন মিলস ও নাথান ম্যাককালাম। বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ২৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ব্ল্যাক ক্যাপসরা মাশরাফি-গাজী-রাজ্জাকের বোলিং আক্রমণে প্রথমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে।
মাত্র ৪৫ রানেই হারিয়ে ফেলে রাদারফোর্ড, অ্যান্টন ও এলিয়টের উইকেট। তবে রস টেলর ৪৬ ও এন্ডারসন ৩৭ রান করে এগিয়ে নেন নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। এই দুই জনের পর আর কেউ দঁাড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৪৬.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে তারা ২০৭ রান করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।