ম্যাচের নায়ক তিনি। দর্শকদের দৃষ্টিতে তো বটেই। বিচারকরাও তার হাতে তুলে দিয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। কেবলমাত্র ৯৬ রানের ইনিংস খেলেছেন বলেই নয়। তার এই ইনিংসটাই ছিল বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়ের প্রধান ভিত্তি।
শামসুর রহমান শুভ। ২৫ বছরের এই তরুণের ওয়ানডে অভিষেক হতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। তবে সময়ের ব্যবধানে একজন পরিপক্ব ব্যাটসম্যান হিসেবেই মঞ্চে আগমণ হয়েছে তার। নিউজিল্যান্ডের ৩০৭ রানের ইনিংসের বিপরীতে পরম ধৈর্য্যশীল শুভ প্রমাণ করল নিজেকে। বাংলাদেশকে উপহার দিলেন একজন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান! তবে শেষ পর্যন্ত একটা আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই পেতে পারতেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। তা আর হলো কই! নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়ে ম্যাচের নায়ককে ফিরতে হলো। তবে নার্ভাস নাইনটিজে নাকি একটু নার্ভাস ছিলেন না শুভ।
'৯০'র পর আমি একটুও নার্ভাস হইনি। কেবল দলের কথাই ভাবছিলাম।
ভাবছিলাম, আমি যত ভালো করব দলের জয় তত সহজ হবে। ' শামসুর রহমান তার দায়িত্ব পালন করেছেন ঠিকই। বাকি কাজটুকু তার সতীর্থরাও ঠিক ঠাকই পালন করেছেন। এ কারণেই জয় এসেছে বাংলাদেশের। না হয় কে ভেবেছিল, যে মাঠে এর আগে সর্বোচ্চ রান ছিল মাত্র ২৫০ (অস্ট্রেলিয়া), সেই মাঠে বাংলাদেশ ৩০৭ রান তাড়া করে এতটা সহজেই জিতে যাবে! সহজেই তো জিতল বাংলাদেশ।
চার বল হাতে রেখে! তবে শামসুর রহমান একটা সাহসী উচ্চারণ করে গেলেন। 'এখন আমাদের কাছে ৩০৭ রান খুব বড় কোনো টার্গেট নয়। ' সত্যিই তো! এই লক্ষ্যটাকেও এখন খুব কাছে মনে হয় বাংলাদেশের জন্য। যে মুক্ত মন নিয়ে খেলতে শুরু করেছিলেন শুভ-জিয়া, তা একটা সময় এনে দিল বিজয়। এই মুক্ত মনে খেলার সুযোগ বাংলাদেশের যেন বার বার আসে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।