নিহত নাসির হোসেন (২২) উপজেলার সোহাগপুর এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় ছাত্রদলের একজন কর্মী ছিলেন বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার সোহাগপুরে এই সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও গুলি ছুড়তে ‘বাধ্য হয়’ বলে পাটগ্রাম থানার ওসি সোহরাব হোসেন জানান।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা সকালে মিছিল করার জন্য ধরলা সেতুর সোহাগপুর প্রান্তে মিলিত হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উল্টো দিকের পুর্ব বাজার এলাকায় অবস্থান নেয়।
এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয় এবং সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের দিকেও ঢিল ছোড়া হয় বলে ওসি সোহরাব হোসেন জানান। এতে এসআই রমজানসহ অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন।
এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ও গুলি ছোড়ে বলে ওসি জানান।
সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ নাসিরকে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের আবাসিক সার্জন কল্লোল রহমান জানান, নাসিরের কোমরে গুলি লেগেছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল করিম জানান, নাসির ছাত্রদল কর্মী ছিলেন।
সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নাসির হোসেন, আজমীর,বাবু এবং আওয়ামী লীগের আসাদুল, মহুবরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন বলে দুই দলের কর্মীরা জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।