আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘প্রধানমন্ত্রী সমঝোতার পথ আটকে দিচ্ছেন’

সোমবার বিরোধীদলের হরতালের মধ্যে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে ‘সুনির্দিষ্ট সময়সূচি’ নির্ধারণ করে ‘শতহীন’ সংলাপে যেতে বিরোধী দল ‘এই ‍মুহূর্তে’ প্রস্তুত আছে।
“মহাসচিব পর্যায়ে সংলাপের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবে বিরোধী দলীয় নেতা একমত হয়েছিলেন। কিন্তু কাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিলেন তাতে সমঝোতার সেই রাস্তাও তিনি বন্ধ করে দিচ্ছেন। ”
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধান দুই দলের মুখোমুখী অবস্থানের কারণে বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কায় গত সপ্তাহে সমঝোতার উদ্যোগ নেন ব্যবসায়ীরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর শনিবার বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে বসেন তারা।

    
বৈঠক শেষে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ে নিঃশর্ত আলোচনার বিষয়ে বিরোধীদলীয় নেতা সম্মত হয়েছেন।
পরদিন রোববার  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতার উদ্দেশ্যে বলেন , “আলোচনার পথ খোলা আছে। কিন্তু হরতাল আপনাকে প্রত্যাহার করতে হবে। ”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সংলাপে আমাদের কোনো শর্ত নেই। সুনির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করে নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে সরকার যদি সংলাপের উদ্যোগ নেয়, তাতে আমরা এই মূর্হুতে বসতে রাজি আছি।

’’
তিনি অভিযোগ করেন, সংলাপের বিষয়ে সরকার আন্তরিক নয়। প্রধানমন্ত্রী জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন।
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি ও শরিকরা সোমবার ভোর ৬টা থেকে সারা দেশে টানা ৬০ ঘণ্টার হরতাল করছে। হরতালের কারণে রোববার সন্ধ্যা থেকেই নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে।
কার্যালয়ের কাছেই প্রিজন ভ্যান, জল কামান, সাঁজোয়া যান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।


দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হরতাল শুরুর আগে ভোরে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। আর যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিনসহ কয়েকজন রাত থেকেই কার্যালয়ে রয়েছেন।
সকাল থেকে নেতাকর্মীদের আর কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন তারা।   
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “আগেও বলেছি, সর্বদলীয় সরকারের বিষয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই না। নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে আমরা সংলাপ করতে চাই।

এ বিষয়ে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। ”
হরতাল প্রত্যাহার করলে সংলাপ হবে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ফখরুল বলেন, “শর্ত দিয়ে কোনো আলোচনা হতে পারে না। আমি সংকট নিরসনে সুনির্দিষ্টভাবে তাকে (সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম) চিঠি দিয়ে সংলাপ শুরুর অনুরোধ জানিয়েছিলাম। এখনো কোনো জবাব আমরা পাইনি। ”
হরতালে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ছাত্রদল কর্মী নিহতের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, “সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

সকালে রাজধানীর দৈনিকবাংলা মোড়ে ছাত্র দলের মিছিলে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। সারাদেশে পুলিশসহ আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা বিরোধীদলের ওপর আক্রমণ করছে। ”
সরকার একতরফা নির্বাচন করতে চায় বলেই বিরোধী দলীয় জোট ৬০ ঘণ্টার হরতাল দিতে বাধ্য হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গতকাল তার বক্তব্যে গত হরতালে ২০ জন নিহত হওয়ার জন্য বিরোধী দলকে দায়ী করেছেন। ওইসব নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মী গুলিতে।

এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। ”

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.