গাজীপুরে আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ পোশাকশ্রমিকদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। ন্যূনতম বেতন আট হাজার টাকা করার দাবিতে শ্রমিকেরা রাজপথে নেমে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকেরা জানান, আজ সকাল নয়টা থেকে গাজীপুর ও কালিয়াকৈর এলাকার শতাধিক পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেননি। তাঁরা ন্যূনতম বেতন আট হাজার টাকা করার দাবিতে পথে নেমে আসেন। এ সময় শ্রমিকেরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নেন।
গাজীপুর সদর উপজেলার কোনাবাড়ি, ভোগরা ও কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ও বরইপাড়া এলাকার শ্রমিকেরা সকালে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অনেক পোশাক কারখানায় আজ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে শ্রমিকদের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষ ঘটে। এতে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক আহত হন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শামসুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, ঘটনাস্থলে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, প্রথমে গাজিপুর সদর উপজেলার কোনাবাড়ি এলাকায় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় পুলিশ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট নিক্ষেপ করেন। এসময় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন।
গাজিপুরের কোনাবড়ি এলাকায় প্রায় দুই ঘন্টা ধরে কয়েক দফা পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঐ এলাকায় অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এরিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে গতকাল সোমবার পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছে নিম্নতম মজুরি বোর্ড। তবে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নবম সভায় এ সিদ্ধান্ত পোশাক মালিকদের প্রতিনিধিরা মানেন নি।
গতকাল দুপুরে বৈঠক চলার সময় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন তিনটি শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।