২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহের নামে পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের দাবি এখন রায় বাস্তবায়ন। তাঁরা এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ জানতে চান। পরিবারের সদস্যরা রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এসব দাবির কথা বারবার উচ্চারণ করেন। সেদিনের নৃশংসতায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান।
পিলখানায় নিহত কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী নেহরীন ফেরদৌসি বলেন, ‘আমরা এ রায়ের দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
রাষ্ট্রের কাজ রাষ্ট্র করেছে। আমরা আজ সেই বিচারের রায় দেখতে এসেছি। প্রতিক্রিয়া এমন কিছু নেই। আমাদের সবার চাওয়া, যেন দ্রুত রায় কার্যকর হয় এবং দোষীরা যাতে শাস্তি পায়। ’
এ রায়ে আপনি সন্তুষ্ট কি না, প্রথম আলো ডটকমের এমন প্রশ্নের জবাবে নেহরীন ফেরদৌসি বলেন, ‘এখনো এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।
এ রায় কার্যকর করার ব্যাপার আছে। কোনো কারণে রায় যদি কার্যকর না হয়, সেজন্য আমরা আগে থেকে সন্তুষ্টির কথা বলতে পারছি না। ’
নিহত লেফটেন্যান্ট কর্নেল এনশাদ ইবনে আমিনের স্ত্রী রাজিনা মতিন বলেন, ‘আমরা এত দিন এ রায়ের জন্য অপেক্ষা করেছি। দরকার হলে আরও অপেক্ষা করব। তার পরও এর কার্যকারিতা দেখে যেতে চাই।
’
মেজর মোহাম্মদ সালেহর স্ত্রী নাসরিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা পেছনের ঘটনাটি জানতে চাই। কারা, কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, আমরা সে বিষয়ে এখনো কিছুই জানি না। আমাদের পেছনের কারণ জানাতে হবে। ’
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মুছা মো.আইয়ুব কায়সারের স্ত্রী মুশরাত জাহান বলেন, ‘অতি দ্রুত ভালো একটা সমাধান চাই। এ রায় যাতে দ্রুত কার্যকর হয় সেজন্য আমরা অপেক্ষা করব।
’
কর্নেল সামসুল আরেফিনের স্ত্রী হাসিনা মমতাজ বলেন, ‘রায় যদি কার্যকর না হয়, তাই রায় নিয়ে আগাম কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে চাই না। কেননা রায় যদি কার্যকর না হয় তাহলে আমাদের আক্ষেপের আর শেষ থাকবে না। রায় যথাসময়ে কার্যকর করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি। ’
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।