জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের একযুগ ধরে কাজও নেই, পদোন্নতিও নেই। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনো শিক্ষককে দেওয়া হয়নি পদোন্নতি। শুরুতেই শিক্ষকদের যে যেই পদে নিয়োগ পেয়েছেন এখনো সেই পদেই রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পিয়ন থেকে কর্মকর্তা পর্যন্ত কয়েকদফা পদোন্নতি হলেও বরাবরই পদোন্নতি বঞ্চিত রয়েছেন শিক্ষকরা। আর শিক্ষকদের পদোন্নতির ব্যবস্থা না করে সরকারের একেবারে শেষ সময়ে তড়িঘড়ি করেই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে ৩৫ জন শিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে শিক্ষকদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রায় ৭০ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩/৪ জন বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব (ভারপ্রাপ্ত) পালন করছেন। আর বাকিদের কোনো কাজে লাগানো হচ্ছে না। এ অবস্থায় পাঠদান বা শিক্ষাকার্যক্রম থেকে বঞ্চিত থেকে মানসিক, সামাজিক ও পেশাগতভাবে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন তারা।
শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রামে শিক্ষকদের জন্য নির্দিষ্ট করে কর্মবিবরণী নির্ধারিত আছে কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের নির্দিষ্ট কর্মে নিযুক্ত না করে জাতির বৃহৎ সেবা থেকে দূরে ঠেলে রেখেছেন।
প্রশ্ন উঠেছে, আগের শিক্ষকদের বছরের পর বছর বসিয়ে রেখে, তাদের কর্মে নিযুক্ত না করে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৫ জন শিক্ষক নিয়োগের আয়োজন কার স্বার্থে? নিয়োগের আবশ্যকতা, যৌক্তিকতা ও বাস্তবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন সংশ্লিষ্টরা। একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ করতে হলে যারা চাকরিরত কিন্তু কর্মহীন তাদের আগে সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগাতে হবে, নয়তো স্বাভাবিকভাবেই সরকারের শেষ সময়ে এসে শিক্ষক নিয়োগের আয়োজন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হবে। শুধু তাই নয়, সরকারের শেষ সময়ে যারা সরকারি চাকরি কিংবা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুনভাবে চাকরিতে নিয়োগ পাবেন তাদেরকেও চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তায় কাটাতে হবে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নতুন নিয়োগ এবং চাকরি নিয়ে উচ্চ আদালতে এক ডজনের মতো মামলা ঝুলছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশিদ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গাজীপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এমএ, এমএসএস, এমবিএ কোর্স চালু করা হবে। সেই কোর্সগুলো পড়ানোর জন্য ৩৫ জন শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছি। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত একজন শিক্ষকও নিয়োগ দেওয়া হবে না। আর পদোন্নতি না পাওয়া শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য খুব শীঘ্রই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তাদের তো আর ফেলে দেওয়া যাবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।