বসন্তে মাতাল আমি এক অপূর্ণতা ... যে ছেলেটি তার ভবিষ্যতের জন্য পড়াশুনায় মগ্ন থাকার করার কথা, সে কিনা আজ স্বপ্ন দেখে! দিবা স্বপ্ন! হঠাৎ বদলে দেবার স্বপ্ন..................। তার এই স্বপ্নটি ডেসটিনির কল্যাণে! ডেসটিনি তাকে স্বপ্ন দেখায় তাকে বদলে দেবার, গোটা দেশটাকে বদলে দেবার!!!
সেই ছেলেটির আসলে জানা নেই যে সফলতার কোন ছোট খাট রাস্তা নে...ই।
অতি সম্প্রতি ডেসটিনি নিয়ে দৈনিক পত্রিকাগুলোর রিপোটের বদৌলতে সবাই আজ কম বেশি জেনে গেছে যে ডেসটিনির দিবা স্বপ্ন ভেঙ্গে যেতে আর খুব বেশি দেরি নেই। আমরা জানি আইটিসিএল, জিজিএন, ইউনিপেই টু ইউএবং যুবকের ইতিহাস। আমরা ডেসটিনির কথা ও কমবেশি জানি সকলেই।
পার্থক্য হলো ডেসটিনি খুব সুন্দর করে মগজ দোলাইয়ের কাজটা ও করে থাকে। ডেসটিনি প্রশিক্ষনের নামে তাদের সদস্যদের এমনভাবে মগজ দোলাই দেয় যে তাদের নুণ্যতম আত্মসম্মান টুকু ও আর অবশেষ থাকেনা। যোগদানের পর যারা লোভে পড়ে বড় হতে চায় তারা উদ্দেশ্য সাধন করতে গিয়ে নিজেকে কত ছোট করে ফেলে তা একটি বারের জন্য ও বিবেচনা করেনা। ফলে তাদের কর্মকাণ্ডে সামাজিক পারিবারিক ও রাজনৈতিক সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে।
সামাজিক সমস্যা
১।
সদস্য ভর্তি করানোর জন্য মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা অনেক সময় সীমা ছাড়িয়ে যায়।
২। স্কুল কলেজের ছাত্রদের সদস্য করার মাধ্যমে তাদেরকে এটা বোঝানো হয় যে টাকা আয় করাই সব।
৩। অনেক ছাত্র গর্ব করে বলে থাকে বিসিএস দিয়ে কি হবে ডেসটিনিতে ক্যারিয়ার গড়বো।
৪। সমাজের প্রতিষ্টিত ডাঃ, প্রকৌশলী বিসিএস ক্যাডার, সেনা বাহিণীর সদস্যদের মাধ্যমে খুব সহজেই কোমলমতি সাধারন মানুষকে টোপে ফেলা হয়।
৫। ভাই বোন স্ত্রী সহ পরিবারের সবাইকে ডেসটিনির দিকে যেতে বাধ্য করা হয়।
৬।
সাধারন মহিলাদেরকে বুঝানো হয় যার যা কিছূ আছে তা দিয়ে শেয়ার কিনে রাখো এটা পুজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে যার ফলে ১ টাকার শেয়ার ২০০ টাকা হবে। যদি ১০০০০ টাকার শেয়ার কিনে রাখো তাহলে ১ লাখ হয়ে যাবে। আর এ সকল কথা যারা বলে থাকে তারা সমাজের পড়ালেখা জানা কমিশন ব্যবসায়ী।
৭। ছাত্ররা শেয়ার কেনার জন্য সহজ সরল মা বাবাকে সহজে রাজি করিয়ে জমি বিক্রি করে নিচ্ছে।
৮। মানুষকে বোঝাচ্ছে যে কাজ কর্ম করে কোনো লাভ নাই শুধু ডেসটিনি করেই প্রতিষ্টা পাওয়া যায়।
আসলে ডেসটিনি কি করে?
আসলে সমবায় আইনে কমিশন দেওয়া নেওয়ার কোন বিধান নাই আর বাস্তবে উল্টা কাজটাই করছে ডেসটিনি। ইউনি পে ইউ এর সোনার সনদ আর ডেসটিনির ট্রী প্লান্টেশনের সনদের ব্যবসা হুবহু একই রকম। পণ্য কেউ ই দেখতে পায়না।
জনাব রফিকুল আমিন বলেছেন যেহেতু ২ লাখ টাকা হলেই কোম্পাণী লাইসেন্স নেওয়া যায় তাই তিনি ৩৭ টি কোম্পাণির লাইসেন্স নিয়েছেন। আসল কথা হলো প্রচারের জন্য ই ডেসটিনি ৩৭ টি কোম্পানী খুলেছেন..... যাতে করে মানুষ্ কে বোঝাতে সহজ হয় যে আসলে তারা বিশ্ব জয় করে ফেলেছেন।
ফেসবুকে ডেসটিনির সদস্যদের ওয়াল্ পোষ্ট দেখলে হাসি পায়...... শুধু ডেসটিনি পত্রিকা ছাড়া বাকি সব নাকি...! তাদের কথা শুনলে মনে হয় তারা যা বুঝে তাই সত্য বাকি সব ই মিথ্যা। এইট পড়ুয়া রহিম অথবা স্কুল পাশ দিতে না পারা করিম ও আপনাকে এম এল এম এর টাই পড়া জ্ঞান দিতে দেরি করবেনা। ডেসটিনি আজ রাজণীতি জয় করেছে এদের কোন বিএনপি আওয়ামী জাতীয় কিংবা জামায়াত নাই এরা ডেসটিনি... তাদের মতে ৪৫ লাখ লোককে বেকার মুক্ত করেছে এবং ২০১৪ সালে নাকি ১ কোটি লোক বেকারমুক্ত করবে।
আসল কথা হল যারা টুকটাক সুবিধা করেছেন মানে কমিশন কামিয়েছেন তারা সরকারী বে সরকারী জব করছেন। আর যারা সমাজে ভালো অবস্থানে আছে তাদের কথাই সাধারন মানুষ শুনেছে আর নিজেকে ঠকিয়েছে।
ডেসটিনি সব সরকারকে ম্যানেজ করে ব্যবসা করেছে। তাইতো আওয়ামী বিএনপি কেউ কিছু বলছেনা! সব ম্যানেজের রাজণীতি......
অবশেষে সরকার বলছে কমিশন গঠন করবে কিন্তু সাধারন মানুষের তাতে কোন লাভ হবে বলে তো মনে হচ্ছেনা। তবে কি রফিকুল আমিনরাই চাচ্ছে ডেসটিনি বন্ধ হয়ে যাক কেননা এ যাবৎ ইউনি পে ইউ বা যুবকের কোনো পরিচালকের জেল জরিমানা হয়নি অথচ আখের গুছাতে কেউ পিছপা হননি......
[ আমার পোস্টগুলো ফেইসবুকে পেতে হলে এই পেইজটায় জয়েন করতে হবে https://www.facebook.com/dhaka.1000 ] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।