আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরশু ভোর ঠিক আসবেই : উদীচী বোমা হামলার একযুগ

মরময়িা তুমি চলে গলেে দরদয়িা মোর কোথা পাবো, কারে আমি এ ব্যথা জানাবো! মরমে মরে আছি আজ একযুগ। দরদয়িা পাইনি বলে জানাতে পারনিাই আমার মনরে কথা, একান্ত গোপন কথা, হারাবার কথা, পাবার কথা বা কঠনি হয়ে যাবার কথা। আজ তাই সকলরে সামনে আমি ব্যকুল হৃদয় নয়িে বলতে বসছেি আকুল কথা। চার বছর বয়স যখন নাকি হাটতে শুরু করছেি তখন থকেইে আমি বরশিাল উদীচীতে আস-িযাই। আমার বাবার আগ্রহ।

ে উদীচী হল উত্তর দকি। যদেকিে পথহারারা তার নশিানা খুজে পায়। আমার বুদ্ধ,ি ববিচেনা, ভালো মন্দ অনকে কছিুর শুরু ওখান থকেইে। উদীচীর সবাই যনে আমার পরবিার, পরম আত্মার আত্মীয়। উদীচীর বশে কয়কেকটি জাতীয় সম্মলেনে আমি গয়িে অত্যন্ত আনন্দ নয়িে ফরিছে।

ি ১৯৯৯ সালওে যোগ দয়িছেলিাম উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মলেনে যশোর। ে আমরা ৭ জন একটি মাইক্রোবাসে করে যাচ্ছি বরশিাল থকেে যশোর, সারা পথ গান-বাজনা, খাওয়া-দাওয়া। সম্মলেনে যোগ দয়ো মানইে তো আনন্দ উৎসবে মতেে ওঠা। আমাদরে মধ্যওে এর কমতি ছলিনা। সম্মলেনরে আগরে দনি সন্ধ্যায় আমরা পৌছালাম যশোরে নর্ধিারতি স্থান।

ে দশেরে সব জলো শাখা থকেে উদীচী র্কমীদরে জমায়তে। তাদরে অর্ভ্যথনা আর আতথিয়েতায় ব্যস্ত যশোর উদীচীর র্কমীবৃন্দ। প্রথমইে রজেস্ট্রিশেন শষে করে কুশল বনিমিয় করতে করতে রাতে খয়েে আমরা বরশিাল উদীচীর সবাই চলে গলোম যশোর র্বোডরে গস্টে হাউজ। ে রাতরে অনকেটা সময় গল্প - আড্ডাবাজি করে ঘুম। সকালে উদীচী টাউন হলে আমরা যদি না জাগি মা কমেনে সকাল হবে - এই স্লোগাণ নয়িে একঝাক প্রগতশিীল মানুষ সদেনি জগেে উঠছেলি এক সকাল আনবে বল।

ে নয়িমমাফকি আনন্দ শোভাযাত্রা নাচ-েগানে পরপর্িূণ। উদীচী মানইে আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদনি, বুকরে গভীরে আমরা জনেছে,ি আমরা করব জয় একদনি। জীবন উজ্জীবীতরে গানে যখন যশোররে আকাশ বাতাস মুখরতি, রাজশাহী বশ্বিবদ্যিালয় উদীচী জলো সংসদরে নতুন সুর ভালোবাসো কনিা বাসো বন্ধু টরোই করো আমারে কত ভালো বাসি তোমার। ে হলরে ভতিরে উদ্বোধনী অধবিশেন চলল দুপুর র্পযন্ত, দুপুরে সাংগাঠনকি অধবিশেন আর সন্ধ্যায় সাংস্কৃতকি আয়োজন। একে সাং®কৃতকি আয়োজন না বলে উৎসব বলা যতেে পার।

ে মঞ্চরে সারতিে বসে থাকে একে একে গুনীজনরো আর আমরা সইে মঞ্চরে পাশে যায়গা করে বসে উৎসবে মতেে উঠ। ি রাতে ফরিে যাই গস্টে হাউজ,ে গভীর রাত র্পযন্ত ঘুম নইে চোখ,ে আমার বাবা তখনও সম্মলেনে পরর্বতী কমটিরি কাজ চলছ। ে তাকে দুটো মটর সাইকলে করে মধ্য রাত্রতিে পৌছে দয়ো হল। ভোর হতে না হতইে আবার সম্মলেন,ে সারাদনিময় উদীচীর র্কমীদরে সাথ,ে আনন্দ উৎসবে মতেে ওঠা। ৬ র্মাচ অনুষ্ঠানরে সমাপনী দনি বরশিাল র্কমীরা রাত ১০ টার পর মাইক্রোবাস নয়িে বরশিালরে পথ,ে পররে দনি সকালে বরশিালে আসবনে আলো হাতে আধারে যার বচিরণ ওয়াহদিুল হক।

নতুন উৎসবরে স্বপ্নে আমরা ফরিছ। ি ভোর ৫ টার দকিে বরশিাল, বাসায় ঢুকে ঘুম। ঘুম ভঙেে যনে স্বপ্ন। গতরাতে উদীচীর সম্মলেনে বোমা হামলা, আমরা যখোনে বসছে,ি আড্ডায় মতেছেি ঠকি সইে পাশে একটি আর একটি অন্য পাশ। ে কোন অমোঘ টানে বচেে ফরিলাম আমরা, কোন বদেনা বধিুর ভালোবাসায় হারালাম ১০ জনকে আর আমাদরে আত্মার আত্মীয়রা আহত হয়ছেে শত-শত,ে যাদরে অনকেে আজ পঙ্গু।

শষে দনি, গানরে আসর চলছলি আর ঠকি তখনই নাকি দুটো বোমা বস্ফিোরণ। শুনছেি শোকরে আয়ু নাকি ৩ দনি কন্তিু আমরা তো বয়ে চলছেি দনিরে পর দনি, মাসরে পর মাস, বছররে পর বছর, একযুগ। বোমা হামলায় নহিত বাবুল সূত্রধররে বাবা-মা এখন প্রতদিনি অশ্র“জলে সক্তি হয়, নহিত নূর ইসলামরে স্ত্রী তার ছলেে ময়েে দনিযাপন করছনে সরকাররে আবাসন প্রকল্প আশ্রয়ণ,ে সুকান্ত দাস এক পা হারয়িওে মনোবল না হারয়িে যনিি বশ্বিবদ্যিালয়রে র্সবােচ্চ ডগ্রিী র্অজন করছে,ে এখন তার প্রয়োজন হাতরে চকিৎিসার, দু’পা হারানো নাহদি আর গানপাগল সমরি কুমার সরকার নয়িমতি জীবনরে সাথে জয়-পরাজয়রে খলো খলেছ। ে বোমা হামলার দনি দু’পায়ে ঘুঙুর বধেে বাউলশল্পিী হরন্দ্রেনাথ অধকিারী মুগ্ধ করছলি র্দশক-শ্রোতা তার সইে ঘুঙুর বাধা দু ’টো পা-ই সদেনি হারাতে হয়ছেে তাক। ে পটেে পায়ে আঘাত প্রাপ্ত সকেন্দোর আলী, বাউল লয়িাকত আলীম হারুন অর রশীদ, মুক্তযিোদ্ধা ফটোসাংবাদকি এসএম শফরি ছলেে মনোয়ার হোসনে মনু আবার একত্রতি হয়ছেলি প্রধানমন্ত্রী শখে হাসনিার আহবান।

ে শখে হাসনিা নহিত ও আহত অস্বচ্ছল পরবিারকে ১৪ লাখ টাকা প্রদান কর। ে সদেনিও সকলরে আহবান ছলি প্রায় একযুগ হতে শুরু করল বচিার পলোম না। ১৯৯৯ সালে এই বোমা হামলায় দু’টি পৃথক মামলা হয়। প্রথমে কোতয়ালি পুলশি মামলা তদন্ত শুরু করে যা পরে ন্যস্ত হয় সআিইড’ির উপর। ওই বছর ১৪ ডসিম্বের ২৪ জনকে অভযিুক্ত করে আদালতে র্চাজশটি প্রদান করা হয়।

৭ বছর পর ২০০৬ সালরে ৩০ ম’ের রায়ে সব আসামকিে বকেসুর খালাস দয়ো হয়। উদীচী ন্যায় বচিাররে দাবতিে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়রে কাছে পুন:তদন্তরে দাবি করলে র্বধতি তদন্তরে দায়ত্বি ন্যাস্ত হয় সআিইড’ির উপর। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকাররে আমলে হরকাতুল জহিাদ নতো জঙ্গী মুফতি হান্নান আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে গ্রফেতার হলে তার জবানবন্দীতে এই মামলার রূপ বদলে যায়। মুফতি হান্নানরে জবানবন্দী ১৯৯৯ সালরে ৫ র্মাচ মাওলানা আব্দুর রউফ সাহবে আমাকে যশোর আসতে বলনে। আমি নড়াইল হয়ে বলো ৩ টার দকিে যশোর যাই।

খুরশদিয়িা মহলিা মাদ্রাসায় অবস্থান কর। ি নূরানি মাদ্রাসায় আসররে নামাজ পড়। ি মাগরবিরে কছিুক্ষন আগে মুসা, সাব্বরি, মাওলানা রউফরে সঙ্গে মাদ্রাসায় দখো হয়। আবু মুসা জানায় আমরা নর্দিশে মোতাবকে বোমা নয়িে এসছেি এবং মাদ্রাসার শক্ষিক মুফতি শামসুল হকরে বাসায় রখেছে। ি সখোনে আবুল হোসনে আছ।

ে এখন রউফ সাহবে যভোবে বলনে, সভোবে কাজ। র্সবশষেে র্বতমান সরকার ক্ষমতায় এলে উদীচী মামলার রায়রে বরিুদ্ধে হাইর্কোট রটি কর। ে ইতোমধ্যে হাইর্কোট ৩ জন মৃতসহ ২৩ জন আসামরি কাছে রটিরে বষিয়ে অবহতি করে নোটশি পাঠায়। এর মধ্যে ১৭ জন নম্নি আদালতে আত্মসর্মপন করে জামনি গ্রহণ কর। ে ভোর হয়নি আজ হলোনা, কাল হবে কনিা তাও জানা নইে, পরশু ভোর ঠকি আসবইে সইে আশাবাদ তুমি ছড়েোনা।

তাই আমরা যারা উদীচী র্কমী, যারা বোমা হামলায় হারয়িছেি স্বজন তারা কবেল এই আশা নয়িে আছি ন্যায় বচিার পাবোই, আজ-কাল না হোক পরশু ঠকি উদীচীতে জ্বলজ্বল করবে শুকতারা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.