আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারতবর্ষের প্রথম নারী সুলতান রাজিয়ার উত্থান-পতন

তরুণ নামের জয়মুকুট শুধু তাহার, বিপুল যাহার আশা, অটল যাহার সাধনা
এ লেখাটির মাধ্যমে আপনাদের পরিচয় হবে একজন নারীর সাথে। যে নারী ভারতবর্ষ তো বটেই, মুসলিমবিশ্বের ইতিহাসে কয়েকজন আলোচিত নারীশাসকদের অন্যতম। বিস্ময়কর জীবনগল্পে ঘেরা এ নারীর নাম আজো আরবদুনিয়া তো বটেই, ইংরেজদের কাছেও প্রসিদ্ধ ও আলোচিত। তার জীবনকাহিনী নিয়ে সিনেমা তৈরী হয়েছে, লেখা হয়েছে গল্প ও সিরিজ। বাংলাভাষী পাঠকদের কাছে সেই ইতিহাস তুলে ধরার জন্যই দু পর্বের এ রচনা।

ভারতবর্ষের সুবিস্তৃত অঞ্চলের শাসকদের তালিকায় সুলতান কুতুবুদ্দীন আইবেক একজন বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব। জীবনের সূচনায় তিনি ছিলেন একজন ‘গোলাম’। সমাজে তার একটিই পরিচয়- বাজারে বেচাকেনার পণ্য, একজন অশিক্ষিত দাস। কাজী ফখরুদ্দিন কুফি নামে একজন হৃদয়বান ব্যক্তি তাকে বাজার থেকে কিনে নিয়েছিলেন। নতুন কেনা এই দাসের মধ্যে কি কোনো প্রতিভার সন্ধান পেয়েছিলেন কাজী ফখরুদ্দীন? হয়তো তা-ই! সেজন্যই তিনি তাকে কাজে ব্যস্ত না করে পড়াশোনায় লাগিয়ে দিলেন।

দিনেদিনে এই অশিক্ষিত মূর্খ দাস কুতুবুদ্দীন হয়ে উঠলেন একজন শিক্ষিত এবং গুণী মানুষ। তারপর একদিন সুলতান শিহাবুদ্দীন ঘুরী তাকে কিনে নিলেন ফখরুদ্দীনের কাছ থেকে। তাকে আরো দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য তিনি যুদ্ধকৌশল শিক্ষায় পাঠিয়ে দিলেন। ভাগ্যের প্রবাহমান স্্েরাত তাকে নিয়ে চলল বীরত্ব এবং সাহসিকতার সাফল্যময় বন্দরে। খুব অল্প দিনেই তিনি জ্ঞানে এবং গুণে অন্য দশজনের চেয়ে আলাদা অসাধারণ হয়ে উঠলেন।

তারপরের অধ্যায় শুধুই বিজয় আর এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়। ভাগ্যলিপির বদৌলতে যখন কুতুবুদ্দিন আইবেক এই সাম্রাজ্যের সুলতান পদে সমাসীন হলেন, তখন তার আশেপাশে অনেক দাস-দাসী, গোলাম-বাঁদি। এদেরই একজন শামসুদ্দীন ইলতুতমিশ। কোথাও কোথাও তাকে আলতামাশ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। কালের পরিক্রমায় এই ইলতুতমিশও সুবিশাল রাজ্যের অধিপতি হয়েছিলেন।

ইতিহাসের বিস্ময়কর অধ্যায়ে তিনিও নিজের নাম ও পরিচয় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন স্বমহিমায়। সুলতান কুতুবুদ্দীন যেভাবে শূন্য থেকে উঠে এসেছিলেন শাসনক্ষমতার শীর্ষচূড়ায়, ঠিক নিজের মতো তিনিও গড়ে তুলেছিলেন শামসুদ্দীন ইলতুতমিশকে। এই ইলতুতমিশের রূপ ও সৌন্দর্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে তার ভাইয়েরা তাকে বিক্রি করে দিয়েছিল ক্রীতদাস হিসেবে। প্রথমে বুখারার এক ক্রেতা তাকে কিনে নেন। তারপর তাকে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয় দিল্লীতে।

ততদিনে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে তিনি বেশ দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। গোলামের প্রতিভা দেখে তাকে কিনে নেন তৎকালীন সুলতান কুতুবুদ্দীন। তারপর ধীরে ধীরে তিনি আরো উন্নত শিক্ষা ও দীক্ষায় দাস থেকে অনেক উঁচুতে সমুন্নত করেছিলেন ইলতুতমিশের অবস্থান। নিজের অসীম যোগ্যতা ও অসাধারণ প্রতিভার ঝলকে সবাইকে মোহিত করে সুলতান কুতুবুদ্দীনের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও যোগ্যতম স্থলাভিষিক্ত হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন ইলতুতমিশ। কথিত আছে, সুলতান কুতুবুদ্দীন তার সাথে নিজের কন্যার বিয়ে দিয়েছিলেন।

কুতুবুদ্দিন আইবেকের মৃত্যুর পর তাই তিনি নিজেকে রাজ্যের অধিপতি হিসেবে ঘোষণা করেন। বিচারপতি এবং আলেম মুফতিরা যখন তার দাসত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন, তখন তিনি সুলতান কুতুবুদ্দিনের একটি ঘোষণাপত্র বের করে দেখালেন, যেখানে সুলতান নিজের হাতে তার দাসত্বমুক্তির বিষয়ে দস্তখত করেছিলেন। রাজ্যের গুণী ব্যক্তিরা তাকে মেনে নিলেন এবং নতুন সুলতান হিসেবে ইলতুতমিশ রাজ্যশাসন শুরু করলেন। দাস হিসেবে যারা ইলতুতমিশকে বাঁকা চোখে দেখেছিলেন, তারাই মুগ্ধ চোখে তার শাসনকার্য দেখতে লাগলেন। তিনি তার মনিব ও পূর্ববর্তী সুলতান কুতুবুদ্দিন আইবেকের মতো ন্যায় ও ইনসাফের সাথে কার্যক্রম শুরু করলেন।

তার শাসনামলে সুবিশাল সাম্রাজ্যে শান্তি ও স্বস্তি নেমে এলো। ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষের পোষাক ছিল সাদা রঙের কাপড়। তিনি ঠিক করে দিলেন, যার প্রতি কোনো অন্যায় করা হয়েছে কিংবা যে প্রতারিত অথবা নির্যাতিত- সে যেন রঙিন কাপড় পরে এবং এটা দেখেই আমি তার আর্জি শোনার জন্য সহজে ডেকে নেব। বঞ্চিত এবং শোষিত মজলুম মানুষ তখন রঙিন কাপড় পরে তার দরবারে আসতো এবং তিনি তাদের বিচার শুনে ন্যায়ের সিদ্ধান্ত দিতেন। তারপরও তিনি ভাবলেন, আমার পক্ষে সবার রঙিন কাপড়ের খোঁজ নেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে, মানুষ কিংবা দরবারিদের ভিড়ে কোনো মজলুম হয়তো এ পর্যন্ত আসার সুযোগ নাও পেতে পারে- তাই তিনি তার দরবার এবং প্রাসাদে ঘন্টা ঝুলিয়ে দিলেন এবং জানিয়ে দিলেন, দিন কিংবা রাতের যে কোনো প্রহরে কোনো অসহায় তার এ ঘন্টা নাড়ালে তিনি তার আর্জি ও ফরিয়াদ শুনবেন।

তিনিই প্রথম ভারতবর্ষে আরবী খচিত রৌপ্যমুদ্রার প্রচলন করেছিলেন। তার সময়ে বাগদাদের খলীফার পক্ষ থেকে ভারতবর্ষে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছিল। প্রজাদের ন্যায়-ইনসাফের প্রতি এমন সতর্ক সচেতনতার পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন দক্ষ প্রশাসক এবং যুদ্ধবিদ্যায় পারদশী সেনাপতি। সুলতান ইলতুতমিশ নিজে এমন সফল ব্যক্তিত্বের অধিকারী হলেও তার পুত্ররা মোটেই বাবার মতো হয়নি। বাবার শাসনক্ষমতার সুবাদে আরাম-আয়েশ এবং ভোগ-বিলাসে গা ভাসিয়ে দিলো তার ছেলেরা।

নিজের সাধ্যমতো বাবা হিসেবে তাদের সংশোধন এবং ব্যক্তিত্ব গঠনে তিনি ব্যর্থ হলেন। পুত্ররা ছাড়াও তার এক কন্যা ছিল। কন্যার নাম রাজিয়া। তার জন্ম ১২০৫ সালে। রাজপরিবারের রাজকুমারী বলে নয়, সত্যিকার অর্থেই ইলতুতমিশের এই মেয়েটিকে আল্লাহ পাক মেধা ও বুদ্ধি এবং অপরূপ সৌন্দর্য দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন।

সুগঠিত সুন্দর দেহ এবং রূপ সৌন্দর্যে অতুলনীয় মেয়েটি যে বিরল প্রতিভা নিয়ে অন্দরমহলে বড় হয়েছেন- তাতে তার সাহসিকতা এবং মেধায় মোহিত হতেন স্বয়ং সুলতান ইলতুতমিশ। আদর সোহাগে তিনি রাজিয়াকে ভালোবাসতেন ছেলেদের চেয়েও বেশি। ছেলেদের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে রাজিয়ার প্রতি মনোযোগী হলেন সুলতান ইলতুতমিশ। পড়ালেখার পাশাপাশি সমরবিদ্যা এবং শাসনকার্য পরিচালনার নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে তিনি তাকে নিজের হাতে গড়ে তুলছিলেন। সুলতান ইলতুতমিশের মৃত্যুর পর তার সিংহাসনে উত্তরাধিকারী হলেন পুত্র রুকনুদ্দীন ফিরোজ শাহ।

ভোগবিলাসে বড় হওয়া এই পুত্র মোটেই যোগ্য ছিলেন না। স্বেচ্ছাচারিতা এবং অযোগ্যতার ফলে রাজ্যে অস্থিরতা দেখা দিল। বাবার হাতে গড়া সুশৃঙ্খল রাজ্যের সর্বত্র শঙ্কা ও অস্থিরতা জন্ম নিল। হিংসা ও বিদ্বেষে অন্ধ রুকনুদ্দিন তার আপন ভাই কুতুবুদ্দীনকে নৃশংসভাবে হত্যা করলেন। এমনকি কৌশলে বোন রাজিয়াকেও মেরে ফেলার জন্য চক্রান্ত করেছিলেন তিনি।

আর তার এ সব পরিকল্পনার পেছনে হাত ছিল তার মার। এই মহিলা তার সতীনের মেয়ে রাজিয়াকে মোটেই সহ্য করতে পারতেন না। সুলতান ইলতুতমিশের জীবদ্দশায় রাজিয়ার প্রতি তার অত্যাধিক স্নেহ দেখে এই মহিলা বেশ কয়েকবার আপত্তি তুলেছিলেন। ‘তাবাকাতে নাসিরী’ গ্রন্থের লেখক মিনহাজ সিরাজ এই অযোগ্য সুলতান রুকনুদ্দীনের ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন, ‘এই তরুণ শাসক নিজেকে অশ্লীলতা ও অনৈতিকতার সাগরে ভাসিয়ে দিলেন। ’ এমনকি কখনো তিনি প্রয়োজনীয় কাজ বাদ দিয়ে হাতির পিঠে চড়ে আমোদভ্রমণে বের হতেন এবং বাজারে বাজারে ঘুরে বেড়াতেন আর সুন্দরী রূপসী কন্যাদেরকে খুঁেজ বেড়াতেন।

মদ খেয়ে মাতাল হয়ে নারীদের বাহুবন্ধনে সময় পার করে দিতেন। তার এসব অন্যায় ও বর্বরতায় সালতানাতের প্রজারা আঁতকে উঠল। মনে মনে সবাই এই অযোগ্য সুলতানের পতন কামনা করলেও প্রাণের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছিল না। বাহিরজগতের এসব দূরবস্থা অন্দর মহলের ভেতর থেকে পর্যবেক্ষণ করছিলেন রাজিয়া। তারপর এক শুক্রবারে তিনি তার বাবার আমলে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী একটি লাল রঙের জামা পরে মসজিদে গেলেন।

তাকে দেখে আশেপাশের লোকজন জড়ো হলেন। রাজিয়া তাদের সবার কাছে বর্তমান শাসক তার ভাইয়ের কুকর্ম তুলে ধরে বাবার সুনাম রক্ষার নামে নিজের পক্ষে সাহায্য চাইলেন। সমবেত সবাই রাজিয়ার পাশে থাকার শপথ নিলেন। তখনই তিনি তাদেরকে নিয়ে প্রাসাদ অবরোধ করে সুলতান রুকনুদ্দীনকে পদচ্যুত করলেন এবং আপন ভাইকে হত্যার অভিযোগে তাকেও মৃত্যুদণ্ড দিলেন। ইবনে বতুতা লিখেছেন, ‘ওই সময় উপস্থিত ক্ষুব্ধ জনতা রাজিয়াকে সিংহাসনে সমাসীন করে এবং তাকে নিজেদের সুলতানা হিসেবে মেনে নেয়ার ঘোষণা দেয়।

’ পাকভারত উপমহাদেশের ইতিহাসে একজন নারী অপরিসীম দক্ষতা এবং অসীম দৃঢ়তায় সব প্রতিকূলতা জয় করে তুলে ধরলেন সাহসিকতার মশাল। সময়ের খাতায় সেদিনটি ছিল- ৬০৪ হিজরীর ১৮ রবিউল আওয়াল। ইংরেজী বর্ষপঞ্জিতে তখন ১২৩৬ সাল। শুধুই কি পাকভারত এবং আশেপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ইতিহাস, গোটা পৃথিবী এবং ইসলামের ইতিহাসে একজন রমনীর এমন বিস্ময়কর উত্থান এবং বিরল উপাখ্যান আজো বিমুগ্ধ করেছে ইতিহাসপ্রেমিক পাঠককুলকে। সে সময় দরবার এবং দিল্লীর সর্বত্র তুর্কিদের প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল প্রবল এবং তারা সুলতানা রাজিয়াকে নিরঙ্কুশভাবে মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলো না।

তারপরও সব প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে প্রায় চার বছর ধরে গোটা সাম্রাজ্য শাসন করেছিলেন সুলতানা রাজিয়া। নারী হয়েও তার চালচলন এবং শাসন ছিল অদ্ভুত ও বৈচিত্রে ভরা। যেদিন আমীর-উমারা এবং প্রজারা তার নেতৃত্ব মেনে নেয়ার বাইয়াত নিল, সেদিন থেকেই যেন রাজিয়া বদলে গেলেন। বদলে গেলেন নয়, নিজেকে বদলে ফেললেন। দরবারের সভাসদরা অবাক হয়ে গেলেন যখন তারা দেখলেন, তাদের নতুন সুলতানা একজন নারী হয়েও পুরুষের পোষাক পরে তিনি সিংহাসনে বসেছেন।

রাজ্য শাসনের সব ক্ষমতা নিজের হাতে টেনে নিলেন। বাবার মতো তিনিও ন্যায় ও সাম্যের বিজয় নিশ্চিত করার আদেশ দিলেন প্রশাসনের সর্বত্র। সুলতানা রাজিয়া এখানেই থামেননি। নারীসুলভ আচার-আচরণ ও স্বভাব-প্রকৃতি বাদ দিয়ে তিনি শক্ত হাতে হাল ধরলেন সাম্রাজ্যের। সেকালের প্রথা ও প্রচলন ডিঙিয়ে তিনি ঘোষণা দিলেন, একজন সুলতান হিসেবে তিনি এখন থেকে নিজের চেহারা অনাবৃত রেখে দরবারে হাজির হবেন।

নিয়মমাফিক দরবারে এসে তিনি নিজেই সবার অভিযোগ শুনতেন, নিজেই সমাধান দিতেন। কোথাও যুদ্ধের প্রয়োজন দেখা দিলে তিনি নিজেই সেনাবাহিনী নিয়ে রওয়ানা হতেন এবং লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতেন। ইতিহাসবিদদের কেউ কেউ স্বীকৃতি দিয়েছেন, ‘সুলতানা রাজিয়ার শাসনামল হিন্দুস্তানের ইতিহাসে একটি অন্যতম সফল অধ্যায়। ’ কিন্তু প্রজাদের সবাই একজন নারীর নেতৃত্ব ও শাসনক্ষমতা মেনে নিতে পারছিলেন না। তুর্কিরা তাদের সাধ্যমতো এখানে ওখানে গুজব ও উস্কানি ছড়িয়ে ধিল।

নারীর শাসন নিয়ে নানা ধরণের কথাবার্তা শুরু হলো। ধীরে ধীরে বিরোধীপক্ষ শক্তি সংগ্রহ করে বিদ্রোহের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করলো। সুলতানা রাজিয়ার ভাগ্যাকাশে বিপদের কালোমেঘ ঘন হয়ে এলো। ষড়যন্ত্রকারীরা সুলতানা রাজিয়ার নানা দুর্বলতাকে ইস্যু করে তাকে পতনের খেলায় মত্ত হয়ে গেল। সভাসদ ও কর্মচারীদের মধ্যে একজন দাস ছিল, যার নাম জালালুদ্দীন ইয়াকুত।

ইথিওপিয়া থেকে দাস হয়ে দিল্লীতে আসা এ যুবক ছিলেন সুলতানা রাজিয়ার বুদ্ধিমান সচিবদের অন্যতম একজন। তার নানা গুণগরিমায় মুগ্ধ ছিলেন স্বয়ং সুলতানা রাজিয়া। তিনি এ ইয়াকুতকে বিভিন্ন কাজের গুরুদায়িত্ব অর্পণ করলেন এবং অন্যদের চেয়ে তাকে প্রশাসনের উঁচুপদে দায়িত্ব দিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তুর্কি ষড়যন্ত্রকারীরা তখন এ বিষয়টি নিয়ে বিচিত্র ধরণের গালগল্প প্রচার করা শুরু করলো। সুলতানা রাজিয়া এবং ইয়াকুতের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসার গুঞ্জন ছড়িয়ে দিল।

ধীরে ধীরে সবকিছু ঘোলাটে হলে এলো সুলতানা রাজিয়ার আশেপাশে। সংকলন ও রচনা- তামীম রায়হান দ্বিতীয় পর্বে সমাপ্য
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.